শুদ্ধ বানান কোনটি?
A
জলচ্ছাস
B
জলোচ্ছাস
C
জলোচ্ছ্বাস
D
জলোচ্চাস
উত্তরের বিবরণ
• বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
সঠিক বানান হলো - জলোচ্ছ্বাস।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।

0
Updated: 21 hours ago
বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 1 week ago
A
১৮৩৩ সালে
B
১৮৩৮ সালে
C
১৮৮৩ সালে
D
১৮৩৯ সালে
বাংলা ভাষার ব্যাকরণের ইতিহাসে প্রথম প্রকাশিত কাজটি ১৭৪৩ সালে পর্তুগিজ ভাষায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তী কয়েক দশকে ইংরেজি এবং বাংলায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণ রচনা করা হয়েছে।
-
১৭৪৩ সালে প্রথম বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয় পর্তুগিজ ভাষায়, লেখক মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ।
-
১৭৭৮ সালে নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড প্রণীত ইংরেজি ভাষার একটি পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয়, যার নাম ‘এ গ্রামার অব দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ’।
-
১৮০১ সালে উইলিয়াম কেরি এবং ১৮২৬ সালে রামমোহন রায় ইংরেজি ভাষায় আরও দুটি উল্লেখযোগ্য বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন।
-
১৮৩৩ সালে প্রকাশিত রামমোহন রায়ের ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম ব্যাকরণ।

0
Updated: 1 week ago
'তিলত্তোমা' কোন উপন্যাসের প্রধান নারী চরিত্র?
Created: 3 weeks ago
A
কৃষ্ণকান্তের উইল
B
দুর্গেশনন্দিনী
C
কপালকুণ্ডলা
D
মৃণালিনী
দুর্গেশনন্দিনী
-
লেখক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
প্রকাশ: ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দ
-
বাংলা সাহিত্যের গুরুত্ব: প্রথম সার্থক বাংলা উপন্যাস
-
কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র: তিলোত্তমা
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, আয়েশা, বিমলা
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়র অন্যান্য উপন্যাস ও চরিত্র
উপন্যাস | উল্লেখযোগ্য চরিত্র |
---|---|
কৃষ্ণকান্তের উইল | রোহিনী, গোবিন্দলাল, ভ্রমর |
দুর্গেশনন্দিনী | আয়েশা, তিলোত্তমা |
কপালকুণ্ডলা | কপালকুণ্ডলা, নবকুমার, কাপালিক |
মৃণালিনী | হেমচন্দ্র, মৃনালিনী, পশুপতি, মনোরমা |
বিষবৃক্ষ | কুন্দনন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ |
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 3 weeks ago
'লাপাত্তা' শব্দের 'লা' উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে-
Created: 3 months ago
A
আরবি ভাষা থেকে
B
ফরাসি ভাষা থেকে
C
হিন্দি ভাষা থেকে
D
উর্দু ভাষা থেকে
না বা অভাবসূচক ‘লা’ আরবি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ‘না’ বা অভাব বোঝাতে ব্যবহৃত ‘লা’ উপসর্গটি আরবি ভাষা থেকে আগত। এটি মূলত কোনো কিছুর অনুপস্থিতি বা অভাবের অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ:
-
লাপাত্তা (অদৃশ্য বা হারিয়ে যাওয়া)
-
লাজওয়াব (যার সমতুল্য নেই)
-
লাখেরাজ (জ্বরের এক ধরনের)
-
লাওয়ারিশ (যার কোনো দায়বদ্ধ ব্যক্তি নেই)
বাংলা ভাষায় বিদেশি উপসর্গের প্রভাব
বাংলা ভাষায় আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষার শব্দ ও উপসর্গ দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত হয়ে প্রচলিত। এর ফলে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বিভিন্ন বিদেশি উপসর্গও বাংলা শব্দের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিদেশি উপসর্গের শ্রেণীবিভাগ:
-
আরবি উপসর্গ:
যেমন - আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের।
এগুলো সাধারণত শব্দের অর্থ নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। -
ফারসি উপসর্গ:
যেমন - কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
ফারসির উপসর্গগুলো বাংলায় বিভিন্ন ভাববৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। -
উর্দু উপসর্গ:
যেমন - হর।
এটি বাংলা ভাষায় কিছু বিশেষ শব্দে ব্যবহৃত হয়। -
ইংরেজি উপসর্গ:
যেমন - হেড, সাব, ফুল, হাফ।
আধুনিক ইংরেজি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলায় ব্যবহার হচ্ছে।
উপসংহার
বাংলা ভাষা একটি বহুভাষিক মিশ্রণ যা আরবি, ফারসি, উর্দু ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ ও শব্দ গ্রহণ করে নিজের ভাষাসমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে। এই উপসর্গগুলো বাংলা শব্দের অর্থ ও গঠনকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রদান করে এবং ভাষাকে আরও প্রাঞ্জল ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 3 months ago