'গোবৈদ্য' এর প্রবাদ বাক্য কোনাটি?
A
মূর্খ
B
চালাক
C
হাতুড়ে
D
অলস
উত্তরের বিবরণ
বাংলা প্রবাদে ‘গোবৈদ্য’ শব্দটি বিশেষভাবে হাতুড়ে বা অদক্ষ ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত এমন কাউকে বোঝানো হয় যিনি কোনো বিষয়ে দক্ষ নন, অথচ তবুও সেই কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। বিশেষ করে একজন অদক্ষ ডাক্তার বা চিকিৎসকের ক্ষেত্রে এই শব্দটি বেশি প্রযোজ্য। শব্দটি এসেছে ‘গো’ (গরু) এবং ‘বৈদ্য’ (চিকিৎসক) থেকে, যার আক্ষরিক অর্থ গরুর ডাক্তার। তবে প্রবাদে এটি অদক্ষতা ও হাতুড়ে মনোভাবের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
সঠিক উত্তর: গ) হাতুড়ে
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
(ক) মূর্খ: গোবৈদ্য সরাসরি মূর্খতা বোঝায় না, বরং দক্ষতার অভাবকে প্রকাশ করে।
-
(খ) চালাক: চালাকির সঙ্গে গোবৈদ্যের কোনো সম্পর্ক নেই; বরং উল্টোভাবে অদক্ষতার প্রতি ইঙ্গিত করে।
-
(ঘ) অলস: গোবৈদ্য অলসতাকে নির্দেশ করে না; এটি কাজে অযোগ্যতা বা হাতুড়ে স্বভাবকে বোঝায়।
0
Updated: 1 month ago
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই।’-এ বাক্যটি যে গল্পে রয়েছে তার নাম-
Created: 1 month ago
A
পোস্টমাস্টার
B
মেঘ ও রৌদ্র
C
জীবিত ও মৃত
D
মধ্যবৃর্তিনী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘জীবিত ও মৃত’ একটি বিখ্যাত ছোটগল্প, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৯২ সালে। এটি তাঁর গল্পগুচ্ছ সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। গল্পটি সাহিত্যের দুই ভিন্ন রূপকে মিলিত করেছে—অতিপ্রাকৃত কাহিনি এবং ব্যঙ্গাত্মক উপমা। তবে এটি নিখুঁত অতিপ্রাকৃত গল্প নয়; বরং জীবন ও মৃত্যুর সীমানায় মানব অস্তিত্বের রহস্যকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
-
গল্পটির প্রধান চরিত্র কাদম্বিনী, যার অস্তিত্বকে রহস্যময় ও অতিপ্রাকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
গল্পে কাদম্বিনীকে এমন এক অবস্থায় দেখানো হয়েছে যেখানে সে জীবিত হলেও মৃত্যুর ছায়ায় আবদ্ধ, ফলে জীবনের সাথে মৃত্যুর এক অদ্ভুত সংঘাত তৈরি হয়।
-
মৃত্যুর রহস্য নিয়ে এই গল্পে যে দার্শনিক তাৎপর্য প্রকাশ পেয়েছে, তা বাংলা ছোটগল্প সাহিত্যে এক অনন্য অবদান।
-
গল্পের বিখ্যাত উক্তি হলো: ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প হলো:
-
দেনাপাওনা
-
রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা
-
যজ্ঞেশ্বর যজ্ঞ
-
অনধিকার প্রবেশ
-
ক্ষুধিত পাষাণ
-
কঙ্কাল
-
নিশীথে
-
মণিহারা
0
Updated: 1 month ago
‘ক্রিয়ার কাল ও পুরুষ’ ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 2 months ago
A
ধ্বনিতত্ত্বে
B
রূপতত্ত্বে
C
বাক্যতত্ত্বে
D
অর্থতত্ত্বে
শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্বে আলোচিত হয় শব্দ ও পদের গঠন, ক্রিয়ার কাল, সংখ্যা, বচন, নির্দেশক, উপসর্গ, বিভক্তি, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, ধাতু, প্রত্যয়, অনুসর্গ, চিহ্ন/লিঙ্গ, পক্ষ/পুরুষ, কারক, সমাস, দ্বিরুক্তি ইত্যাদি।
0
Updated: 2 months ago
ব্যাকরণ শব্দটি কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে?
Created: 2 months ago
A
নব্য ভারতীয় আর্যভাষা
B
ফারসি
C
সংস্কৃত
D
অসমীয়া
ব্যাকরণ শব্দটি সংস্কৃত থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে। ব্যাকরণ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ - বিশেষভাবে বিশ্লেষণ। যে শাস্ত্রে কোন ভাষার বিভিন্ন উপাদানের প্রকৃতি স্বরূপের বিচার - বিশ্লেষণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপাদানের সম্পর্ক নির্ণয় ও প্রয়োগবিধি বিশদভাবে আলোচিত হয়, তাকে ব্যাকরণ বলে।
0
Updated: 2 months ago