'গোবৈদ্য' এর প্রবাদ বাক্য কোনাটি?
A
মূর্খ
B
চালাক
C
হাতুড়ে
D
অলস
উত্তরের বিবরণ
সঠিক
উত্তর: গ) হাতুড়ে।
------------------
‘গোবৈদ্য’ শব্দটির ব্যাখ্যা:
‘গোবৈদ্য’ শব্দটি বাংলা প্রবাদে সাধারণত — হাতুড়ে বা অদক্ষ ব্যক্তিকে
বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে
যিনি কোনো কাজে পারদর্শী
নন, কিন্তু তবুও সেই কাজ
করার চেষ্টা করেন। এটি প্রায়শই এমন
ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়
যিনি অল্প জ্ঞান নিয়ে
বড় কাজে হাত দেন,
যেমন একজন অদক্ষ ডাক্তার
বা চিকিৎসক। ‘গোবৈদ্য’ শব্দটি এসেছে ‘গো’ (গরু) এবং
‘বৈদ্য’ (ডাক্তার) থেকে, যা গরুর চিকিৎসক
বোঝায়, কিন্তু প্রবাদে এটি অদক্ষতার প্রতীক
হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য
অপশন:
(ক) মূর্খ: ‘গোবৈদ্য’ সরাসরি মূর্খতা বোঝায় না, বরং অদক্ষতা
বা হাতুড়ে কাজের প্রতি ইঙ্গিত করে।
(খ) চালাক: ‘গোবৈদ্য’ চালাকি বা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে
সম্পর্কিত নয়, বরং এটি
অদক্ষতার প্রতীক।
(ঘ) অলস: ‘গোবৈদ্য’ অলসতা বোঝায় না, বরং কাজের
অদক্ষতা বা অযোগ্যতার দিকে
ইঙ্গিত করে।

0
Updated: 22 hours ago
অপত্নীবাচক শব্দ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
ননদ
B
তেজস্বিনী
C
জেলেনি
D
দাদি
সাধারণ নারীবাচক শব্দ দুই ধরনের:
- পত্নীবাচক,
- অপত্নীবাচক।
পত্নীবাচক:
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বোঝালে পত্নীবাচক হয়।
যেমন: পিতা - মাতা, চাচা - চাচি, দাদা - দাদি, জেলে - জেলেনি, গুরু - গুরুপত্নী, নন্দাই - ননদ ইত্যাদি।
অপত্নীবাচক:
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক না বোঝালে অপত্নীবাচক হয়।
যেমন:
খোকা - খুকি, ছাত্র - ছাত্রী, শিক্ষক - শিক্ষিকা, নেতা - নেত্রী, পাগল - পাগলি, তেজস্ব - তেজস্বিনী, বালক - বালিকা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২-সংস্করণ)।

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি উপমিত কর্মধারয় সমাস?
Created: 2 days ago
A
কাজলকালো
B
তুষারপুত্র
C
চাঁদমুখ
D
শশব্যস্ত
চাঁদমুখ হচ্ছে উপমিত কর্মধারয় সমাস।
• উপমিত কর্মধারয় সমাস
- যে কর্মধারয় সমাসে উপমান ও উপমেয় পদের সমাস হয় তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।
- এই সমাসে দুটো পদই বিশেষ্য হয়।
- যেমন সোনার মতো মুখ সোনামুখ, বাস্তু লতার ন্যায় বাতুলতা।
- এ সমাসে উপমেয় পদটি সাধারণত পূর্বে বসে।
যেমন
- মুখ চন্দ্রের ন্যায় মুখচন্দ্র।
এরূপ-
করকমল, করপল্লব, অধরপল্লব, চরণকমল, চরণণয়, চাঁদবদন, চাঁদমুখ, নয়নপল্প, মুখগল্প, হাঁড়িমুখ ইত্যাদি উপমিত কর্মধারয় সমাস।
• উপমান কর্মধারয় সমাস
- যার সঙ্গে তুলনা করা হয়, তা উপমান। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমানের সঙ্গে গুণবাচক শব্দের সমাস হয়। এগুলোকে উপমান কর্মধারয় বলে।
যেমন-
ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ কেশ = ভ্রমরকৃষ্ণকেশ। এখানে ভ্রমর উপমান এবং কেশ উপমেয়। কৃষ্ণত্ব হলো সাধারণ ধর্ম।
উৎস: ১। বাংলা ভাষার ব্যাকরণ- ৯ম ও ১০ম শ্রেণি (২০২৫ সংস্করণ)। ২। ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 days ago
'চিনিপাতা' — কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 7 hours ago
A
দ্বন্দ্ব
B
তৎপুরুষ
C
বহুব্রীহি
D
কর্মধারয়
• তৎপুরুষ
সমাস:
সমস্যমান পদের বিভক্তি ও
সন্নিহিত অনুসর্গ লােপ পেয়ে যে
সমাস হয়, তার নাম
তৎপুরুষ সমাস। এই সমাসে পরপদের
অর্থ প্রাধান্য পায়।
⇒ বিভক্তি
লােপ পাওয়া তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ:
- দুঃখকে প্রাপ্ত = দুঃখপ্রাপ্ত।
- ছেলেকে ভুলানাে = ছেলে-ভুলানাে।
⇒ সন্নিহিত
অনুসর্গ লােপ পাওয়া তৎপুরুষ
সমাসের উদাহরণ:
- মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা।
- চিনি
দিয়ে পাতা = চিনিপাতা।
⇒ কিছু
ক্ষেত্রে বিভক্তি লােপ পায় না,
এসব তৎপুরুষ সমাসের নাম অলুক তৎপুরুষ।
যেমন-
- গরুর গাড়ি = গরুরগাড়ি।
- তেলে ভাজা = তেলেভাজা।

0
Updated: 7 hours ago