‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই।’-এ বাক্যটি যে গল্পে রয়েছে তার নাম-
A
পোস্টমাস্টার
B
মেঘ ও রৌদ্র
C
জীবিত ও মৃত
D
মধ্যবৃর্তিনী
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘জীবিত ও মৃত’ একটি বিখ্যাত ছোটগল্প, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৯২ সালে। এটি তাঁর গল্পগুচ্ছ সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। গল্পটি সাহিত্যের দুই ভিন্ন রূপকে মিলিত করেছে—অতিপ্রাকৃত কাহিনি এবং ব্যঙ্গাত্মক উপমা। তবে এটি নিখুঁত অতিপ্রাকৃত গল্প নয়; বরং জীবন ও মৃত্যুর সীমানায় মানব অস্তিত্বের রহস্যকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
-
গল্পটির প্রধান চরিত্র কাদম্বিনী, যার অস্তিত্বকে রহস্যময় ও অতিপ্রাকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
গল্পে কাদম্বিনীকে এমন এক অবস্থায় দেখানো হয়েছে যেখানে সে জীবিত হলেও মৃত্যুর ছায়ায় আবদ্ধ, ফলে জীবনের সাথে মৃত্যুর এক অদ্ভুত সংঘাত তৈরি হয়।
-
মৃত্যুর রহস্য নিয়ে এই গল্পে যে দার্শনিক তাৎপর্য প্রকাশ পেয়েছে, তা বাংলা ছোটগল্প সাহিত্যে এক অনন্য অবদান।
-
গল্পের বিখ্যাত উক্তি হলো: ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প হলো:
-
দেনাপাওনা
-
রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা
-
যজ্ঞেশ্বর যজ্ঞ
-
অনধিকার প্রবেশ
-
ক্ষুধিত পাষাণ
-
কঙ্কাল
-
নিশীথে
-
মণিহারা
0
Updated: 1 month ago
কোনটি অনুবর্ণের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 2 months ago
A
অর্ধস্বর অর্ধস্বর
B
অর্ধস্বর
C
দ্বিস্বর
D
বর্ণসংক্ষেপ
ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপ: অনুবর্ণ
বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপকে অনুবর্ণ বলা হয়। অনুবর্ণের মধ্যে প্রধানত তিনটি ধরন রয়েছে: ফলা, রেফ এবং বর্ণসংক্ষেপ।
ফলা
-
ব্যঞ্জনবর্ণের কিছু সংক্ষিপ্ত রূপ অন্য ব্যঞ্জনের নিচে বা ডান পাশে ঝুলে থাকে। এধরনের রূপগুলোকে ফলা বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
ন-ফলা
-
ব-ফলা
-
ম-ফলা
-
য-ফলা
-
র-ফলা
-
ল-ফলা
-
রেফ
-
রেফ হলো র-এর একটি অনুবর্ণ।
-
এটি মূলত অন্য ব্যঞ্জনের উপরে বসে র-এর সংক্ষিপ্ত রূপ প্রকাশ করে।
বর্ণসংক্ষেপ
-
যুক্তবর্ণ লেখার সময় কখনও কখনও ব্যঞ্জনবর্ণকে সংক্ষেপে লেখা প্রয়োজন হয়।
-
এই সংক্ষিপ্ত রূপগুলোকে বর্ণসংক্ষেপ বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
ৎ বর্ণটি ত-এর একটি বর্ণসংক্ষেপ, যা বাংলা বর্ণমালায় স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে স্বীকৃত।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
'সংস্কৃতির সংকট’ গ্রন্থের রচয়িতা -
Created: 1 month ago
A
হাসান আজিজুল হক
B
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
C
বদরুদ্দীন উমর
D
আবুল ফজল
‘সংস্কৃতির সংকট’ বদরুদ্দীন উমর রচিত একটি প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থ, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৭ সালে। এ গ্রন্থে তিনি সংস্কৃতি, সমাজ ও রাজনীতির পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন এবং সমাজের দ্বন্দ্ব ও সংকটের মূল উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন।
বদরুদ্দীন উমর সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি ছিলেন বাংলাদেশি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী তাত্ত্বিক, রাজনৈতিক সক্রিয়তাবাদী, ইতিহাসবিদ, লেখক, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী।
-
তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম নেতা ছিলেন।
-
জন্ম: ২০ ডিসেম্বর, ১৯৩১; পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে।
-
তিনি ‘সংস্কৃতি’ সাময়িকী সম্পাদনা করেছিলেন, যা তাঁর বৌদ্ধিক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
সাম্প্রদায়িকতা
-
সংস্কৃতির সাম্প্রদায়িকতা
-
সংস্কৃতির সংকট
-
পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি
-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও উনিশ শতকের বাঙালী সমাজ
-
যুদ্ধপূর্ব বাঙলাদেশ
-
যুদ্ধোত্তর বাঙলাদেশ
-
ভাষা আন্দোলন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
-
বঙ্গভঙ্গ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago
‘বাগযন্ত্রের উচ্চারণ প্রক্রিয়া’ কোন শাখায় আলোচনা করা হয়?
Created: 1 month ago
A
অর্থতত্ত্ব
B
রূপতত্ত্ব
C
ধ্বনিতত্ত্ব
D
বাক্যতত্ত্ব
ধ্বনিতত্ত্ব:
ধ্বনিতত্ত্ব হলো বাংলা ব্যাকরণের একটি শাখা, যার মূল আলোচ্য বিষয় হলো ধ্বনি। ধ্বনিকে লেখায় প্রকাশ করতে বর্ণ ব্যবহার করা হয়, তাই বর্ণমালাও ধ্বনিতত্ত্বের অন্তর্গত।
প্রধান আলোচ্য বিষয়সমূহ:
-
বাগ্যন্ত্র ও তার উচ্চারণ-প্রক্রিয়া
-
ধ্বনির বিন্যাস
-
স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য
-
ধ্বনিদল ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago