বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি?
A
আটটি
B
নয়টি
C
সাতটি
D
দশটি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা বর্ণমালাকে মাত্রার ভিত্তিতে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়—পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা ও মাত্রাহীন বর্ণ। এভাবে বিভাজনের মাধ্যমে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ উভয়েরই সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারিত হয়।
-
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ সংখ্যা ১০টি
-
বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রার বর্ণ সংখ্যা ৩২টি
-
বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রার বর্ণ সংখ্যা ৮টি
ব্যঞ্জনবর্ণের ক্ষেত্রে:
-
পূর্ণমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬টি
-
অর্ধমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ ৭টি
-
মাত্রাহীন ব্যঞ্জনবর্ণ ৬টি
স্বরবর্ণের ক্ষেত্রে:
-
পূর্ণমাত্রার স্বরবর্ণ ৬টি
-
অর্ধমাত্রার স্বরবর্ণ ১টি
-
মাত্রাহীন স্বরবর্ণ ৪টি
0
Updated: 1 month ago
'শ' বর্ণের [শ] উচ্চারণের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সাধারণ
B
শত
C
শৃগাল
D
শ্রমিক
বাংলা ভাষায় শ, ষ, স তিনটি বর্ণ থাকলেও উচ্চারণে এদের মধ্যে অনেক সময় মিল লক্ষ্য করা যায়। ধ্বনিগত কারণে এগুলোর উচ্চারণ প্রসঙ্গভেদে পরিবর্তিত হয়।
-
শ বর্ণ কখনো [শ], আবার কখনো [স] উচ্চারণে প্রকাশ পায়।
-
স বর্ণ কখনো [শ], আবার কখনো [স] উচ্চারণে প্রকাশিত হয়।
-
ষ বর্ণ সর্বদা [শ] উচ্চারণে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
শ বর্ণের [শ] উচ্চারণ: শত [শতো], শসা [শশা]
-
শ বর্ণের [স] উচ্চারণ: শ্রমিক [স্রোমিক্], শৃগাল [সৃগাল্]
-
ষ বর্ণের [শ] উচ্চারণ: ভাষা [ভাশা], ষােলাে [শােলাে]
-
স বর্ণের [শ] উচ্চারণ: সাধারণ [শাধারােন], সামান্য [শামান্নো]
-
স বর্ণের [স] উচ্চারণ: আস্তে [আসতে], সালাম [সালাম্]
0
Updated: 1 month ago
কোন ভাষারীতিতে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
আঞ্চলিক ভাষা
B
বিদেশি ভাষা
C
চলিত ভাষা
D
সাধু ভাষা
সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য:
-
সাধু ভাষার রূপ অপরিবর্তনীয়; অঞ্চল বা সময়ের সঙ্গে কোনো পরিবর্তন হয় না।
-
এটি ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে, এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট থাকে।
-
সাধু ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার বেশি, ফলে ভাষায় আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য থাকে।
-
সাধু ভাষারীতি মূলত লিখিত রূপে ব্যবহৃত হয়; কথ্য ভাষা, বক্তৃতা বা ভাষণে ব্যবহার উপযোগী নয়।
-
এতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
‘বাবা’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
Created: 3 days ago
A
তুর্কী
B
ফার্সী
C
হিন্দি
D
উর্দু
‘বাবা’ শব্দটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত প্রচলিত একটি শব্দ, যা আদর, স্নেহ ও শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই শব্দটির মূল উৎস তুর্কি ভাষা, যেখান থেকে এটি বাংলাসহ অনেক ভাষায় গৃহীত হয়েছে।
– তুর্কি ভাষায় ‘বাবা’ শব্দের অর্থ পিতা বা অভিভাবক।
– এই শব্দটি প্রাচীন তুর্কি সমাজে সম্মানিত পুরুষ বা গুরুজন বোঝাতেও ব্যবহৃত হতো।
– পরবর্তীকালে এটি আরবি, ফার্সি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় প্রচলিত হয়।
– বাংলায় শব্দটি এখন শুধু পিতা নয়, স্নেহ, মমতা ও আদরের প্রকাশেও ব্যবহৃত হয়।
– এভাবে ‘বাবা’ শব্দটি তুর্কি উৎস থেকে আগত হয়ে আজ সর্বজনস্বীকৃত একটি সার্বজনীন শব্দে পরিণত হয়েছে।
0
Updated: 3 days ago