'যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা ব্যবধান'- চরণটি কোন কবিতার?
A
বিদ্রোহী
B
কুলিমুজুর
C
সাম্যবাদী
D
প্রলয়-শিখা
উত্তরের বিবরণ
সঠিক তথ্য:
'যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা ব্যবধান' চরণটি কাজী নজরুল ইসলামের 'সাম্যবাদী' কবিতার অন্তর্গত।
'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থ ও কবিতা সম্পর্কে তথ্য:
-
লেখক: কাজী নজরুল ইসলাম
-
কাব্যগ্রন্থ: সাম্যবাদী
-
প্রকাশকাল: ১৯২৫
-
সংকলিত কবিতা সংখ্যা: ১১টি
-
মূল ভাবনা: মানুষের সমতা, সমাজে সাম্যবাদের চেতনা
-
নজরুলের সাম্যবাদী চেতনার প্রকাশ ঘটেছে অন্যান্য গ্রন্থেও যেমন: সাম্যবাদী, ভাঙার গান, সর্বহারা
-
'সাম্যবাদী' কবিতা:
-
উদাহরণ চরণ:
"যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান,
যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম ক্রীশ্চান।" -
অন্যান্য অংশ:
"কে তুমি?- পার্সি? জৈন? ইহুদি? সাঁওতাল, ভীল, গারো?
কনফুসিয়াস্? চার্বাক-চেলা? বলে যাও, বল আরও!"
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বিদ্রোহী, প্রলয়-শিখা, ধূমকেতু – কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত 'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থের কবিতা
-
'কুলি-মজুর' কবিতাটি 'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থে সংকলিত হয়েছে
0
Updated: 1 month ago
অর্থতত্ত্বকে আর কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
বাক্যতত্ত্ব
B
বাগার্থতত্ত্ব
C
রূপতত্ত্ব
D
ধ্বনিতত্ত্ব
অর্থতত্ত্ব হলো ব্যাকরণের সেই শাখা যা শব্দ, বর্গ এবং বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করে। একে বাগার্থতত্ত্ব নামেও বলা হয়।
আলোচ্য বিষয়সমূহ:
-
বিপরীত শব্দ
-
প্রতিশব্দ
-
শব্দজোড়
-
বাগ্ধারা
-
শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago
'মহিমা' শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মহি+মা
B
মহা+ইমা
C
মহৎ+ইমন
D
মহিম+আ
তদ্ধিত প্রত্যয় হলো এমন একটি প্রত্যয় যা শব্দের মূলের শেষে যোগ করে নতুন শব্দ সৃষ্টি করে এবং সাধারণত বিশেষ্য অর্থ বহন করে।
-
যদি শব্দের শেষে ইমা থাকে, তবে এটি ইমন্ রূপে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ:
-
মহৎ + ইমন্ = মহিমা
-
নীল + ইমন্ = নীলিমা
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে?
Created: 3 weeks ago
A
সংস্কৃত
B
প্রাকৃত
C
অপভ্রংশ
D
পালি
বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত প্রাকৃত ভাষা থেকে, যা ছিল সাধারণ মানুষের কথ্য ভাষা। সংস্কৃত ছিল শিক্ষিত ও ধর্মীয় মানুষের ভাষা, আর প্রাকৃত ছিল সাধারণ জনগণের। সময়ের বিবর্তনে প্রাকৃত থেকে অপভ্রংশ, আর অপভ্রংশ থেকে আধুনিক বাংলা ভাষা গড়ে ওঠে।
নিচে বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিবর্তন সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো সাজানো হল—
-
প্রাকৃত ভাষার সংজ্ঞা: প্রাকৃত বলতে বোঝানো হয় সেই ভাষাগুলিকে, যা ছিল সংস্কৃতের তুলনায় সহজ ও লোকভাষাভিত্তিক। এই ভাষাগুলোই সাধারণ মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল।
-
ভাষা পরিবার: প্রাকৃত ভাষাগুলি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের ইন্দো-ইরানীয় শাখার ইন্দো-আর্য উপশাখার অন্তর্গত।
-
প্রাকৃত ভাষার বৈশিষ্ট্য:
-
এগুলো ছিল অসংস্কৃত বা অমার্জিত রূপের ভাষা।
-
সংস্কৃতের তুলনায় উচ্চারণ ও ব্যাকরণে সহজ।
-
ধর্মীয় ও সাহিত্যিক কাজেও ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন পালি ভাষায় বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ রচিত হয়েছিল।
-
-
প্রধান প্রাকৃত ভাষাসমূহ: মাগধী প্রাকৃত, শৌরসেনী প্রাকৃত, অর্ধমাগধী প্রাকৃত, মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত প্রভৃতি।
-
বাংলা ভাষার উৎস: বাংলা ভাষার সরাসরি উৎপত্তি মাগধী প্রাকৃত থেকে। মাগধী প্রাকৃত → অপভ্রংশ → প্রাচীন বাংলা → মধ্য বাংলা → আধুনিক বাংলা।
-
অন্যান্য ভাষার উদ্ভব:
-
মাগধী প্রাকৃত → বাংলা, অসমীয়া, ওড়িয়া, বিহারী।
-
শৌরসেনী প্রাকৃত → পশ্চিমী হিন্দি, পাঞ্জাবি।
-
অর্ধমাগধী প্রাকৃত → পূর্বী হিন্দি।
-
মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত → মারাঠি।
-
-
প্রাকৃত থেকে অপভ্রংশ: সময়ের পরিবর্তনে প্রাকৃত ভাষার উচ্চারণ, শব্দরূপ ও ব্যাকরণে পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তিত রূপকে বলা হয় অপভ্রংশ ভাষা।
-
অপভ্রংশ থেকে বাংলা: প্রায় ১০০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে অপভ্রংশ ভাষা থেকে বাংলা ভাষার প্রাথমিক রূপ দেখা যায়, যা পরে আরও পরিশোধিত হয়ে আজকের আধুনিক বাংলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
-
ভৌগোলিক ভূমিকা: বাংলা ভাষার উৎপত্তিস্থল ছিল প্রাচীন মাগধ অঞ্চল, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অংশবিশেষ এবং ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত।
-
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।বিশ্বের সপ্তম সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা (প্রায় ২৩ কোটি মানুষ এই ভাষায় কথা বলে)। বাংলা ভাষার সাহিত্যিক ঐতিহ্য প্রায় এক হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো।
বাংলা ভাষা প্রাকৃত, বিশেষত মাগধী প্রাকৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত। এটি এক দীর্ঘ ভাষাগত বিবর্তনের ফল, যেখানে লোকভাষা থেকে ধীরে ধীরে গঠিত হয়েছে সমৃদ্ধ সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভাষা — আধুনিক বাংলা।
0
Updated: 3 weeks ago