A
হাসান হাফিজুর রহমান
B
জহির রায়হান
C
শহীদুল্লাহ কায়সার
D
আনোয়ার পাশা
উত্তরের বিবরণ
রাইফেল রােটি আওরাত
- 'রাইফেল রােটি আওরাত' (১৯৭৩) আনােয়ার পাশা রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
- অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহীন এই উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।
- এই উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্রগুলাে হচ্ছে: ড. খালেক, ড. মালেক, ছাবেদ আলী, হাসমত, জামাল সাহেব প্রমুখ।
- উপন্যাসটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়েই রচিত এবং ১৯৭৩ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
---------------------------
• আনোয়ার পাশা:
- আনোয়ার পাশা ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক।
- তাঁর জন্ম ১৯২৮ সালের ১৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের ডাবকাই গ্রামে।
- তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সিনিয়র লেকচারার।
- তাঁর সাহিত্যকর্মে গভীর দেশাত্মবোধ, মননশীলতা এবং প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনার পরিচয় পাওয়ার যায়।
• আনোয়ার পাশা রচিত উপন্যাস:
- নিশুতি রাতের গাথা,
- নীড় সন্ধানী ও
- রাইফেল রোটি আওরাত (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক)।
• গল্পগ্রন্থ: নিরুপায় হরিণী।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- নদী নিঃশেষিত হলে,
- সমুদ্র শৃঙ্খলতা উজ্জয়িনী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা-ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 weeks ago
শরৎচন্দ্রের কোন উপন্যাসটি সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল?
Created: 2 weeks ago
A
পথের দাবী
B
নিষ্কৃতি
C
চরিত্রহীন
D
দত্তা
সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হওয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর উপন্যাস হলো 'পথের দাবী'।
• 'পথের দাবী' উপন্যাস:
- 'পথের দাবী' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি রাজনৈতিক উপন্যাস। কাহিনির পটভূমি ব্রহ্মদেশ।
- এক গুপ্ত দলের নায়ক সব্যসাচী উপন্যাসের প্রধান চরিত্র।
- কারো কারো মতে সব্যসাচী চরিত্রে বিপ্লবী রসবিহারীবসুর ছায়াপাত ঘটেছে।
- উপন্যাসটি বিপ্লববাদীদের প্রতি সমর্থনের অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করে।
- ভারতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে এই গ্রন্থ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
- বঙ্গবাণী পত্রিকার ১৩২৯-এর ফাল্গুন সংখ্যা থেকে 'পথের দাবি' ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
-----------------------------
• শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়:
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর প্রথম উপন্যাস বড়দিদি (১৯০৭) ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম 'মন্দির'।
- তিনি 'মন্দির' গল্পের জন্য ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন।
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস হলো 'পথের দাবী' যা ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।
তাঁর রচিত বিখ্যাত উপন্যাস:
- দেনা-পাওনা,
- বড়দিদি,
- দত্তা,
- বিরাজ-বৌ,
- পণ্ডিতমশাই,
- পরিণীতা,
- চন্দ্রনাথ,
- দেবদাস,
- পল্লীসমাজ,
- চরিত্রহীন,
- গৃহদাহ,
- পথের দাবী,
- শেষ প্রশ্ন,
- শেষের পরিচয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 weeks ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গ্রন্থটি উপন্যাস?
Created: 2 weeks ago
A
শেষের কবিতা
B
বলাকা
C
ডাকঘর
D
কালান্তর
শেষের কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনবদ্য রোমান্টিক উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৮ সালে প্রবাসী পত্রিকায় এবং গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায় ১৯২৯ সালে।
কাব্যিক ভাষার জৌলুস, চিন্তার দীপ্তি ও সাহিত্যের গুণগত উৎকর্ষে পরিপূর্ণ এই উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
উপন্যাসটির মূল চরিত্রগুলো হলো—অমিত রায়, লাবণ্য, কেতকী ও শোভনলাল। তাদের মধ্যে সম্পর্ক, মনস্তত্ত্ব ও দার্শনিক দ্বন্দ্ব এই উপন্যাসের মূল আকর্ষণ। এর বহু সংলাপ ও উক্তি আজ প্রবাদের মর্যাদা পেয়েছে, যেমন—“ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী”।
সাহিত্য বিশারদ ড. সুকুমার সেন মন্তব্য করেছিলেন, “বৈষ্ণব সাধনার পরকীয়াতত্ত্ব রবীন্দ্রনাথের কবি-চেতনায় যে রূপান্তর ঘটায়, তার রূপ লক্ষ করা যায় শেষের কবিতা উপন্যাসে।”
এই উপন্যাসটি শেষ হয় কবিতার মাধ্যমে—“কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও”—যা এক গভীর দার্শনিক আবেদন বহন করে।
• রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য সাহিত্যকর্ম:
-
বলাকা (১৯১৬): গতি ও চেতনার কাব্য হিসেবে পরিচিত; আধুনিকতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
-
ডাকঘর (১৯১২): একটি রূপকধর্মী নাটক, যা মানুষের মুক্তি ও পরিণতির গভীর ভাব প্রকাশ করে।
-
কালান্তর: তাঁর রচিত রাজনৈতিক ও দার্শনিক প্রবন্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকলন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৮৬১ সালের ৭ই মে (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিশিষ্ট ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সুরকার, দার্শনিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ ও সমাজচিন্তক।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য ‘বনফুল’ প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে তিনি গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন—যা তাঁকে প্রথম এশীয় নোবেল বিজয়ী হিসেবে পরিচিত করে তোলে।
তিনি ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) জোড়াসাঁকোর নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
গোরা
-
শেষের কবিতা
-
ঘরে বাইরে
-
চোখের বালি
-
নৌকাডুবি
-
যোগাযোগ
-
রাজর্ষি
-
বউঠাকুরানীর হাট
-
দুই বোন
-
মালঞ্চ
-
চতুরঙ্গ
-
চার অধ্যায়
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 weeks ago
'পথের দাবি' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 2 weeks ago
A
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
C
সত্যেন সেন
D
সুকান্ত ভট্টাচার্য
'পথের দাবী' উপন্যাস
'পথের দাবী' হলো ভারতীয় লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি রাজনৈতিক উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে।
উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট ব্রহ্মদেশ, যেখানে কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছেন এক গুপ্ত বিপ্লবী দলের নায়ক সব্যসাচী। ইতিহাস ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সব্যসাচী চরিত্রে বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর ছায়া স্পষ্ট। বইটিতে ব্রিটিশ শাসনের তীব্র সমালোচনা এবং সশস্ত্র বিপ্লবের প্রতি গভীর সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে।
প্রকাশের পরপরই সরকার কর্তৃক এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও নান্দনিক দৃষ্টিকোণ থেকে 'পথের দাবী' উৎকৃষ্ট সাহিত্যকর্ম কিনা তা নিয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই উপন্যাস একটি প্রাণপ্রদীপের মতো কাজ করেছে।
উপন্যাসের সমাপ্তিতে লেখা ছিল —
“আমি বিপ্লবী, ভারতের স্বাধীনতাই আমার একমাত্র লক্ষ্য, আমার একমাত্র সাধনা।”
এই সংলাপটি ভারতীয় রাজনৈতিক ইতিহাসে এই গ্রন্থের গুরুত্বকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
'পথের দাবী' ধারাবাহিক রূপে প্রথম প্রকাশিত হয় 'বঙ্গবাণী' পত্রিকার ১৩২৯ সালের ফাল্গুন সংখ্যায়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 weeks ago