জসীমউদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
A
রাখালী
B
সোজন বাদিয়ার ঘাট
C
নক্শী কাঁথার মাঠ
D
বালুচর
উত্তরের বিবরণ
রাখালী কাব্যগ্রন্থ ও কবি জসীমউদ্দীন
বাংলা সাহিত্যের পল্লিকবি হিসেবে পরিচিত জসীমউদ্দীনের সাহিত্যিক যাত্রা শুরু হয় তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ দিয়ে।
- ১৯২৭ সালে প্রকাশিত এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে তাঁর সর্বাধিক পরিচিত কবিতা ‘কবর’ অন্যতম। কলেজে অধ্যয়নকালেই রচিত এই কবিতাটি তাঁকে সাহিত্যে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।
- জসীমউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে তাঁর মাতুলালয়ে। তাঁর পৈতৃক ঠিকানা একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে অবস্থিত। কর্মজীবনে তিনি প্রথমে গ্রামীণ জীবনের সাহিত্য সংগ্রাহক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
- বাংলার মাটি ও মানুষের প্রাণস্পর্শী চিত্র ফুটিয়ে তোলা এই কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে— বালুচর, রূপবতী, রাখালী, নক্সী কাঁথার মাঠ, ধানখেত, সোজন বাদিয়ার ঘাট, মাটির কান্না এবং মা যে জননী কান্দে।
তাঁর লেখনীতে গ্রামীণ বাংলার চিরন্তন রূপ, মানুষের আবেগ, সুখ-দুঃখ ও জীবনের বাস্তবতা নিপুণভাবে উঠে এসেছে, যা বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ ও হৃদয়গ্রাহী।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'বিদ্রোহী' কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
Created: 2 days ago
A
সিন্ধু হিন্দোল
B
অগ্নিবীণা
C
ভাঙার গান
D
বিষের বাঁশি
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতা ‘বিদ্রোহী’-এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য বিপ্লবের সূচনা করেন। এই কবিতাটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’-তে অন্তর্ভুক্ত, যা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পাঠক সমাজে আলোড়ন তোলে। নিচে এই কবিতা ও কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো।
• ‘অগ্নিবীণা’ প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালে। এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যে নিজের অবস্থান শক্ত করে তোলেন। এই গ্রন্থেই প্রকাশ পায় তাঁর বিদ্রোহী, মানবতাবাদী ও স্বাধীনতাকামী মনোভাব।
• ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২১ সালের জানুয়ারিতে। কবিতাটি প্রথম ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরই এটি বাংলার সাহিত্য ও সমাজে বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি করে, কারণ এতে প্রকাশ পেয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক অগ্নিমূর্তির মতো প্রতিবাদ।
• কবিতার মূল ভাব হচ্ছে বিদ্রোহ ও মুক্তির আহ্বান। নজরুল এখানে নিজেকে রূপান্তরিত করেছেন বিশ্বমানবের প্রতীক হিসেবে—যিনি অত্যাচার, অন্যায় ও দাসত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
• ‘অগ্নিবীণা’ গ্রন্থের অন্যান্য বিখ্যাত কবিতা হলো—‘প্রলয়োল্লাস’, ‘রক্তাম্বর ধরণী মা’, ‘রণভেরী’, ‘দারিদ্র্য’, ‘শাত-ইল-আরব’ প্রভৃতি। সবগুলো কবিতাতেই আগুন, শক্তি, প্রতিবাদ ও মানবতার বার্তা ধ্বনিত হয়েছে।
• ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় ব্যবহৃত প্রতীক ও অলংকার নজরুলের অসাধারণ কাব্যশক্তির প্রমাণ বহন করে। দেব-দেবী, ইতিহাস, পুরাণ, প্রকৃতি—সবকিছুর সঙ্গে তিনি বিদ্রোহী মানসিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন।
• নজরুলের এই কবিতার প্রভাব ছিল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উভয় ক্ষেত্রেই। এটি শুধু সাহিত্য নয়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। তরুণ প্রজন্ম এই কবিতাকে স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে।
• ‘অগ্নিবীণা’ নামের প্রতীক অর্থও গভীর। ‘অগ্নি’ মানে আগুন—ধ্বংস ও সৃষ্টির প্রতীক; আর ‘বীণা’ সংগীত ও সৌন্দর্যের প্রতীক। দুইয়ের মিলনে নজরুল প্রকাশ করেছেন ধ্বংসের মধ্য দিয়েই নতুন সৃষ্টির তত্ত্ব।
• এই কাব্যগ্রন্থ নজরুলকে ‘বিদ্রোহী কবি’ উপাধি এনে দেয়। তাঁর কবিতার ভেতর দিয়ে প্রকাশ পায় সমাজের শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর।
• অন্য বিকল্পগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
– ‘সিন্ধু হিন্দোল’ (১৯২৭): এই কাব্যগ্রন্থে প্রেম, প্রকৃতি ও সৃষ্টির ভাব প্রাধান্য পেয়েছে।
– ‘ভাঙার গান’ (১৯২৪): এখানে সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান শোনা যায়।
– ‘বিষের বাঁশি’ (১৯২৪): রাজনৈতিক প্রতিবাদের তীব্র সুর এই গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে।
সুতরাং, ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত, যা কাজী নজরুল ইসলামকে চিরকালীন বিদ্রোহী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0
Updated: 2 days ago
‘বাংলার মুখ’ কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
Created: 1 week ago
A
মহাপৃথিবী
B
মাল্যদান
C
রূপসী বাংলা
D
ঝরা পালক
0
Updated: 1 week ago
'পৃথক পালঙ্ক' কাব্যগ্রন্থের কবি -
Created: 1 week ago
A
আল মাহমুদ
B
রফিক আজাদ
C
আবুল হাসান
D
আবুল হোসেন
আবুল হাসান, যাঁর প্রকৃত নাম ছিল আবুল হোসেন মিয়া, ছিলেন একজন প্রখ্যাত কবি ও সাংবাদিক। তিনি ১৯৪৭ সালের ৪ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার বর্ণি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার সৃষ্টিকর্মের মধ্যে ‘পৃথক পালঙ্ক’ কাব্যগ্রন্থটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয়।
আবুল হাসান মূলত কবিতার জন্য খ্যাতি লাভ করেন, তবে তাঁর সাহিত্যকর্মে কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প সংকলন এবং কাব্যনাট্যও রয়েছে। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
‘রাজা যায় রাজা আসে’,
-
‘যে তুমি হরণ করো’,
-
‘পৃথক পালঙ্ক’।
তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় কাব্যনাট্য ‘ওরা কয়েকজন’ এবং গল্প সংকলন ‘আবুল হাসান গল্প সংগ্রহ’।
তিনি বাংলা সাহিত্যে তাঁর বিশেষ শৈলী এবং সাহসী প্রকাশভঙ্গির জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।
0
Updated: 1 week ago