কোনটি তদ্ভব শব্দ?
A
চাঁদ
B
সূর্য
C
নক্ষত্র
D
গগন
উত্তরের বিবরণ
• তদ্ভব শব্দ:
যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তদ্ভব শব্দ।
যেমন:
- হাত, পা, মাথা, কান ইত্যাদি।
• চাঁদ শব্দের উৎপত্তি: {(তৎসম বা সংস্কৃত) চন্দ্র > (পালি)চন্দ; (প্রাকৃত) চংদ > চাঁদ}। সুতরাং চাঁদ তদ্ভব শব্দ।
অন্যদিকে,
সূর্য, নক্ষত্র, গগন- শব্দগুলো তৎসম শব্দ।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং অভিগম্য অভিধান।
0
Updated: 5 months ago
নিচের কোনটি তদ্ভব শব্দের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
মই
B
জোছনা
C
পাতা
D
কাগজ
পাতা- তদ্ভব শব্দের উদাহরণ। তদ্ভব শব্দ: যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তদ্ভব শব্দ।
তদ্ভব একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ, ‘তৎ’ (তার) থেকে ‘ভব’ (উৎপন্ন)। যেমন – সংস্কৃত হস্ত, প্রাকৃত – হথ, তদ্ভব – হাত। সংস্কৃত – চর্মকার, প্রাকৃত – চম্মআর, তদ্ভব – চামার ইত্যাদি। একইভাবে সংস্কৃত ‘চন্দ্র’ শব্দ থেকে ‘চাঁদ’ শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। এই তদ্ভব শব্দগুলোকে খাটি বাংলা শব্দও বলা হয়।
0
Updated: 1 month ago
২৬) মধ্যস্বর লোপ পেয়েছে নিচের কোন উদাহরণে?
Created: 2 months ago
A
আশা > আশ
B
আজি > আজ
C
অগুরু > অগ্র
D
উদ্ধার > উধার > ধার
সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ
সংজ্ঞা:
দ্রুত উচ্চারণের জন্য শব্দের আদি, অন্ত্য বা মধ্যবর্তী কোনো স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
বসতি → বস্তি
-
জানালা → জান্লা
স্বরলোপের প্রকারভেদ
-
আদি স্বরলোপ:
-
প্রথম স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে আদি স্বরলোপ বলে।
-
উদাহরণ:
-
অলাবু → লাবু → লাউ
-
উদ্ধার → উধার → ধার
-
-
-
মধ্যস্বর লোপ:
-
শব্দের মধ্যে থাকা স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে মধ্যস্বর লোপ বলে।
-
উদাহরণ:
-
অগুরু → অগ্র
-
সুবর্ণ → স্বর্ণ
-
-
-
অন্ত্যস্বর লোপ:
-
শব্দের শেষে থাকা স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্ত্যস্বর লোপ বলে।
-
উদাহরণ:
-
আশা → আশ
-
আজি → আজ
-
চারি → চার
-
সন্ধ্যা → সঞঝা → সাঁঝ
-
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম ও দশম শ্রেণি (২০১৯-সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
'হাতি' কোন শ্রেণির শব্দ?
Created: 2 months ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
উৎস বিবেচনায় শব্দের শ্রেণিবিভাগ
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দভান্ডারকে চার শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়: তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি। এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শ্রেণিকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শ্রেণিকে আগন্তুক উৎসের শব্দ হিসেবে গণ্য করা হয়।
১. তৎসম শব্দ: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব বাংলা শব্দের লিখিত চেহারা সংস্কৃত ভাষার শব্দের অনুরূপ সেগুলোকে তৎসম শব্দ বলে। যথা: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ। সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসরণ করে গঠিত পারিভাষিক শব্দকেও তৎসম শব্দ বলা হয়। যথা: অধ্যাদেশ, গণপ্রজাতন্ত্রী, মহাপরিচালক, সচিবালয় ইত্যাদি।
২. তদ্ভব শব্দ: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলোকে তদ্ভব শব্দ বলা হয়। উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, জিভ, দাঁত; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ: বাংলা অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে কিছু শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান পেয়েছে, এগুলোকে দেশি শব্দ বলা হয়। উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি ইত্যাদি।
৪. বিদেশি শব্দ: ঐতিহাসিক কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের আন্তঃসম্পর্ক তৈরি হওয়ায় সেসব দেশের বহু শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, এই শব্দগুলোকে বিদেশি শব্দ বলে। এসব বিদেশি শব্দের মধ্যে রয়েছে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম ও দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)।
0
Updated: 2 months ago