'স্বজনপ্রীতি' কোন ধরনের অপরাধ?
A
ভদ্রবেশী অপরাধ
B
ফৌজদারি অপরাধ
C
আত্মবিনাশ অপরাধ
D
সংগঠিত অপরাধ
উত্তরের বিবরণ
অপরাধ হলো সমাজ বা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠিত রীতি-নীতি ও আইনবিরোধী আচরণ, যা সমাজ কর্তৃক অনুমোদিত নয় এবং নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধবিজ্ঞানীরা অপরাধকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন, প্রতিটির বৈশিষ্ট্য আলাদা।
-
কিশোর অপরাধ (Juvenile delinquency): ১৮ বছরের কম বয়সী ছেলে বা মেয়ে কর্তৃক সংঘটিত অপরাধকে কিশোর অপরাধ বলা হয়। কিশোর-কিশোরীর অপরিণত মানসিকতা, পারিবারিক অবহেলা, পরিবেশের নেতিবাচক প্রভাব ইত্যাদি এ ধরনের অপরাধের কারণ হতে পারে।
-
আত্মবিনাশ অপরাধ (Self-destroyed crime): যে অপরাধে অপরাধীর নিজের ক্ষতিই ঘটে তাকে আত্মবিনাশ অপরাধ বলা হয়। মাদকাসক্তি, ধূমপান, জুয়াখেলা, পতিতাবৃত্তি ইত্যাদি এর উদাহরণ। এসব অভ্যাস একজন ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।
-
ভদ্রবেশী অপরাধ (White-collar crime): সাধারণত শিক্ষিত, পেশাজীবী ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা এ ধরনের অপরাধ করে থাকে। দায়িত্বে অবহেলা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, আয়কর ফাঁকি, প্রতারণা, জালিয়াতি, তহবিল তছরূপ, মিথ্যা সাক্ষ্যদান, ট্রেডমার্ক বা বইয়ের পাণ্ডুলিপি চুরি ও নকল ভদ্রবেশী অপরাধের মধ্যে পড়ে। এ ধরনের অপরাধ সমাজে মারাত্মক প্রভাব ফেলে, কারণ এগুলো প্রভাবশালী শ্রেণির মাধ্যমে সংঘটিত হয়।
-
সংগঠিত অপরাধ (Organized crime): এটি দলগত অপরাধ, যা পরিকল্পিতভাবে সিন্ডিকেট বা চেইন অব কমান্ড অনুসরণ করে সংঘটিত হয়। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক মাফিয়াচক্র, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, মানব ও নারী পাচারকারী চক্র, মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী এসব অপরাধে জড়িত থাকে। চোরাচালান, পতিতাবৃত্তি, সরকারি সেবা ক্ষেত্রেও (যেমন ভিসা-পাসপোর্ট, স্বাস্থ্যসেবা, ভূমি অফিস) সিন্ডিকেটভিত্তিক অপরাধ দেখা যায়।
-
ফৌজদারি অপরাধ (Criminal crime): এটি সরাসরি আইনের লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তি, পরিবার বা গোষ্ঠী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন-জখম, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, রাহাজানি, সম্পত্তি আত্মসাৎ বা জবরদখল ইত্যাদি ফৌজদারি অপরাধের অন্তর্ভুক্ত।
0
Updated: 1 month ago
ক্ষমতায় 'স্বতন্ত্রীকরণ নীতির' প্রবক্তা কে?
Created: 1 month ago
A
টি, এইচ, গ্রীন
B
জন স্টুয়ার্ট মিল
C
মন্টেস্কু
D
হেগেল
ক্ষমতায় স্বতন্ত্রীকরণ নীতি প্রথম প্রতিষ্ঠিত ধারণা চার্লস মন্টেস্কুর নামে জড়িত। এই নীতির মূল ধারণা হলো রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষমতা এক ব্যক্তির বা এক সংস্থার হাতে集中 না করে পৃথকভাবে বিতরণ করা, যাতে এক বিভাগ অন্য বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করতে না পারে।
-
প্রত্যেক রাষ্ট্রের সরকার সাধারণত তিনটি বিভাগে বিভক্ত: আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ, এবং বিচার বিভাগ।
-
আইন বিভাগ আইন প্রণয়ন করে, শাসন বিভাগ আইন অনুযায়ী শাসন করে, এবং বিচার বিভাগ আইন লঙ্ঘনকারীর বিচার করে শাস্তি প্রদান করে।
-
ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি বোঝায় যে আইন প্রণয়ন, শাসন এবং বিচার ক্ষমতা পৃথক ব্যক্তি বা ব্যক্তিগোষ্ঠীর হাতে রাখা।
-
এরিস্টটলও ক্ষমতার বণ্টনের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি সরকারের কাজকে তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন: (ক) আলোচনামূলক, (খ) শাসন সম্পর্কিত, (গ) বিচার বিষয়ক। একত্রিত হলে প্রশাসনের দক্ষতা হ্রাস পায়।
-
চার্লস মন্টেস্কু ১৭৪৮ সালে তার The Spirit of Laws গ্রন্থে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির আধুনিক ব্যাখ্যা দেন।
-
মন্টেস্কুর মতে, প্রত্যেক সরকারের তিন ধরনের ক্ষমতা—আইন প্রণয়ন, শাসন ও বিচার—এক হাতে বা এক ব্যক্তিগোষ্ঠীর হাতে একত্রিত হলে ব্যক্তি স্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন হয়।
0
Updated: 1 month ago
শূন্যবাদ কোন ধরনের দার্শনিক মতবাদ হিসেবে বিবেচিত হয়?
Created: 1 month ago
A
আদর্শবাদী
B
সংশয়বাদী
C
বস্তুবাদী
D
উপযোগবাদী
শূন্যবাদ একটি দার্শনিক মতবাদ, যার ইংরেজি প্রতিশব্দ Nihilism। শব্দটি এসেছে ল্যাটিন Nihil থেকে, যার অর্থ হলো “কিছুই না” বা “Nothing”। শূন্যবাদের মূল বক্তব্য হলো সবকিছুই শূন্য, অথবা শূন্য থেকেই সবকিছুর সৃষ্টি। এটি মূলত এক ধরনের সংশয়বাদী দর্শন, যেখানে প্রচলিত সত্য, মূল্যবোধ বা বিশ্বাসকে অস্বীকার করা হয়।
-
Nihilism-এর প্রতিশব্দ শূন্যবাদ।
-
এর অর্থ হলো সবই মিথ্যা বা কিছুই নেই।
-
শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন Nihil থেকে, যার মানে “কিছুই না”।
-
শূন্যবাদ মতে, সবকিছুর ভিত্তি শূন্য কিংবা সবকিছু শেষ পর্যন্ত শূন্যে মিলিয়ে যায়।
-
এটি মূলত একটি সংশয়বাদী দার্শনিক মতবাদ।
-
উনিশ শতকে পশ্চিমা সমাজে প্রথাগত মূল্যবোধ ও নৈতিকতার অবমূল্যায়ন প্রসঙ্গে ফ্রিডরিখ নীটশে এই ধারণাটিকে বিশেষভাবে ব্যবহার করেন।
0
Updated: 1 month ago
সর্বপ্রথম আইন ও নৈতিকতার মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ম্যাকিয়াভেলি
B
টমাস হবস
C
জেরেমি বেন্থাম
D
এরিস্টটল
নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি ১৪৬৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ মে ইতালির ফ্লোরেন্সে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন ইতালীয় রাষ্ট্রদার্শনিক এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত, যাকে আধুনিক রাজনীতি ও দর্শনের জনক বলা হয়। ম্যাকিয়াভেলি 'জাতীয় রাষ্ট্রের' প্রবক্তা হিসেবে বিবেচিত এবং আইন ও নৈতিকতার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করার ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। ১৫২৭ সালে তিনি ফ্লোরেন্সে মারা যান।
-
পেশা ও অবদান: তিনি ছিলেন রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, উপদেষ্টা, নাট্যকার, কবি, দার্শনিক, ঐতিহাসিক, সামরিকবিদ এবং প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা।
-
বিখ্যাত গ্রন্থ:
-
The Prince
-
Discourses on Livy
-
The Life of Castruccio Castracani of Lucca
-
Florentine Histories
-
Lettera to Francesco Vettori
-
The Portable Machiavelli
-
The Complete Art of War
-
0
Updated: 1 month ago