বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা ডব্লিউ. এ. এস. ওডারল্যান্ড কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
A
পোল্যান্ড
B
জার্মানি
C
রাশিয়া
D
নেদারল্যান্ডস
উত্তরের বিবরণ
ডব্লিউ. এ. এস. ওডারল্যান্ড – মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বীর
-
জাতীয়তা: অস্ট্রেলিয়ান (জন্ম নেদারল্যান্ডস)
-
মুক্তিযুদ্ধে অবদান:
-
১৯৭১ সালে ঢাকা বাটা সু কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
-
২ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
-
-
খেতাব: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র বিদেশি নাগরিক যিনি বীর প্রতীক খেতাব পান।
-
মৃত্যু: ১৮ মে ২০০১, অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষেপে, ওডারল্যান্ড বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দিয়ে একমাত্র বিদেশি হিসেবে বীর প্রতীক খেতাব অর্জন করেন।
0
Updated: 1 month ago
মীর শওকত আলী মুক্তিযুদ্ধের কত নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
২ নং
B
৪ নং
C
৫ নং
D
৯ নং
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরসমূহ
১. ৫ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল) ও জেলার পূর্বসীমা পর্যন্ত
-
সদরদপ্তর: বাঁশতলা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর মীর শওকত আলী
২. ১ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা, নোয়াখালী জেলার পূর্বাঞ্চল (বেলোনিয়া বুলগের মুহুরী নদীর তীরে)
-
সদরদপ্তর: হরিণা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মুন্সী আব্দুর রব
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর জিয়াউর রহমান (পরবর্তীতে মেজর রফিকুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত)
৩. ২ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: ঢাকা, কুমিল্লা ও ফরিদপুর জেলা, নোয়াখালী জেলার অংশ
-
সদরদপ্তর: মেলাঘর
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর খালেদ মোশাররফ (পরবর্তীতে মেজর এটিএম হায়দার)
৪. ৩ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: উত্তরে চূড়ামনকাঠি (শ্রীমঙ্গল) থেকে সিলেট এবং দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল
-
সদরদপ্তর: হেজামারা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর কে এম শফিউল্লাহ (পরবর্তীতে মেজর এএনএম নুরুজ্জামান)
৫. ৪ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: উত্তরে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট থানা (১০০ মাইল সীমান্ত এলাকা)
-
সদরদপ্তর: প্রথমে করিমগঞ্জ, পরে আসামের মাসিমপুর
-
বীরশ্রেষ্ঠ: হামিদুর রহমান
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর চিত্তরাজন দত্ত (পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন এ রব)
৬. ৬ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সমগ্র রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা
-
সদরদপ্তর: বুড়ি মাড়ি (বাংলাদেশের একমাত্র অভ্যন্তরীণ সদরদপ্তর)
-
সেক্টর কমান্ডার: উইং কমান্ডার এম খেদেমুল বাশার
৭. ৭ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর
-
সদরদপ্তর: তরঙ্গপুর
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর নজরুল হক (পরবর্তীতে সুবেদার মেজর এ রব ও মেজর কাজী নুরুজ্জামান)
৮. ৮ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: কুষ্টিয়া, যশোর থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মোস্তফা কামাল, নূর মোহাম্মদ শেখ
-
সদরদপ্তর: কল্যাণী
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী (পরবর্তীতে মেজর এম এ মঞ্জুর)
৯. ৯ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা, খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ
-
সদরদপ্তর: বশিরহাট
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম জলিল (পরবর্তীতে মেজর এম এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন)
১০. ১০ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সকল নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: রুহুল আমিন
১১. ১১ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: টাঙ্গাইল জেলা ও কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা
-
সদরদপ্তর: মহেন্দ্রগঞ্জ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম আবু তাহের
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন?
Created: 1 month ago
A
সরাসরি ভোটে
B
রাষ্ট্রপতির নিয়োগে
C
সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে
D
নির্বাচনী বোর্ডের সিদ্ধান্তে
বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম হলো আইনসভা, যার নাম জাতীয় সংসদ। এটি এককক্ষবিশিষ্ট একটি সংসদ এবং দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
-
জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন।
-
এর মধ্যে ৩০০ জন জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন।
-
অবশিষ্ট ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
-
বাংলাদেশকে মোট ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা হয়েছে।
-
প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
-
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা বিভিন্ন দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যার আনুপাতিক হারে নির্বাচিত হন, তবে তাদের নির্বাচন হয় সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে।
-
মহিলা সদস্যরা চাইলে সরাসরি ৩০০ আসনের যেকোনো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হতে পারেন।
-
সংসদে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন, যাঁরা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর, তবে এর আগেও রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।
-
সংসদের একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন আহ্বান করতে হয়।
-
সংসদীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ন্যূনতম ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি কোরাম হিসেবে গণ্য হয়।
-
প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সংসদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
নির্বাচনে আসন সংখ্যার দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দলের প্রধানকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশ্যে কোন শুল্ক ধার্য করা হয়?
Created: 1 month ago
A
ডাম্পিং শুল্ক
B
আবগারি শুল্ক
C
রপ্তানি শুল্ক
D
অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক
আবগারি শুল্ক (Excise Duties) হলো দেশের ভেতরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের উপর ধার্যকৃত কর।
মূল বিষয়সমূহ:
-
আবগারি শুল্কের উদ্দেশ্য:
-
রাজস্ব সংগ্রহ করা
-
বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করা
-
-
বাংলাদেশে প্রধানত নিম্নলিখিত দ্রব্যের উপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়:
-
চা
-
সিগারেট
-
চিনি
-
তামাক
-
কেরোসিন
-
ওষুধ
-
স্পিরিট
-
দিয়াশলাই
-
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago