বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকের চিন্তা, বিবেক ও বাক স্বাধীনতার অধিকার কোন অনুচ্ছেদে নিশ্চিত করা হয়েছে?
A
অনুচ্ছেদ ৩৮
B
অনুচ্ছেদ ৩৯
C
অনুচ্ছেদ ৪০
D
অনুচ্ছেদ ৪১
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ সংবিধান – অনুচ্ছেদ ৩৯: চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা
-
মূল বক্তব্য: প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার অধিকার রয়েছে।
বিস্তারিত:
-
চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা:
-
৩৯(১) অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিক স্বাধীনভাবে চিন্তা ও বিবেকের অধিকার রাখে।
-
-
বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা:
-
৩৯(২) অনুযায়ী, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, নৈতিকতা, আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংগঠনের প্ররোচনার মতো কারণে আইনসঙ্গত সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যেতে পারে।
-
এই সীমাবদ্ধতা যুক্তিসঙ্গত এবং আইনানুগ হতে হবে।
-
-
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা:
-
৩৯(২)(খ) অনুযায়ী, সংবাদপত্র প্রকাশের স্বাধীনতাও নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত।
-
সংযুক্ত অনুচ্ছেদসমূহ:
-
অনুচ্ছেদ ৩৮: শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংঘবদ্ধ হওয়ার অধিকার।
-
অনুচ্ছেদ ৪০: পেশা ও ব্যবসা করার স্বাধীনতা।
-
অনুচ্ছেদ ৪১: ধর্মীয় স্বাধীনতা।
সংক্ষেপে, অনুচ্ছেদ ৩৯ নাগরিকদের মৌলিক চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার অধিকার সুনিশ্চিত করে, যেখানে প্রয়োজনীয় সীমাবদ্ধতাগুলি আইন অনুযায়ী আরোপ করা যায়।
0
Updated: 1 month ago
ড. মিলন কোন আন্দোলনে শহিদ হয়?
Created: 1 month ago
A
ছয় দফা আন্দোলন
B
ভাষা আন্দোলন
C
শিক্ষা আন্দোলন
D
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নব্বইয়ের দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ গণআন্দোলন, যা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করে। আন্দোলনে ছাত্র, জনতা, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এবং অনেক নেতাকর্মী প্রাণ হারান।
-
ডা. মিলন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় শহিদ হন।
-
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর, ছাত্র-জনতা, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন ঘটে।
-
নব্বইয়ের আন্দোলনের সময়, ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর, ঢাকার জিরো পয়েন্টে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন মারা যান। তাঁর গায়ে লেখা ছিল—"স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক"।
-
আন্দোলনে প্রাণ হারান নূর হোসেন, সেলিম, দেলোয়ার, তাজুল, ডা. মিলন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ বহু আন্দোলনকারী।
-
শেষপর্যন্ত স্বৈরাচারী শাসক এরশাদকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ অনুযায়ী, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP) জিডিপির কত শতাংশ?
Created: 1 month ago
A
৩.২%
B
৪.১%
C
৩.৭%
D
৪.৫%
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও বাজেটের প্রধান তথ্যসমূহ নিম্নরূপ:
-
বাজেটের ক্রম: ৫৪তম (অন্তবর্তীকালীনসহ ৫৫তম)
-
শিরোনাম: 'বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়'
-
উত্থাপনকারী: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ (অর্থ উপদেষ্টা)
-
উত্থাপন তারিখ: ২ জুন, ২০২৫
-
অনুমোদন: ২২ জুন, ২০২৫
-
কার্যকরী তারিখ: ১ জুলাই, ২০২৫
-
অর্থনৈতিক সূচক:
-
জিডিপির আকার: ৬২,৪৪,৫৭৮ কোটি টাকা
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৫%
-
মাথাপিছু আয়: ২,৮২০ মার্কিন ডলার
-
অনুমিত মুদ্রাস্ফীতি: ৬.৫%
-
-
বাজেটের আকার ও ঘাটতি:
-
মোট বাজেট: ৭,৯০,০০০ কোটি টাকা
-
অনুদান ব্যতিত ঘাটতি: ২,২৬,০০০ কোটি টাকা
-
অনুদান সহ ঘাটতি: ২,২১,০০০ কোটি টাকা
-
-
বরাদ্দবিন্যাস:
-
সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত (পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট): জনপ্রশাসন
-
উন্নয়ন বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত: পরিবহন ও যোগাযোগ
-
অনুন্নয়ন (পরিচালন) বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত: সুদ
-
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP): ২,৩০,০০০ কোটি টাকা (জিডিপির ৩.৭%)
-
উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ: ২,৪৫,৬০৯ কোটি টাকা
-
0
Updated: 1 month ago
একটি চেকের বৈধতার মেয়াদ কত দিন?
Created: 1 month ago
A
৩ মাস
B
৬ মাস
C
১ বছর
D
২ বছর
চেক (Cheque) ও চেক বুক
-
সংজ্ঞা:
-
চেক হলো বিশেষভাবে মুদ্রিত একটি কাগজপত্র, যা ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহকের হিসাবের বিপরীতে ইস্যু করা হয়।
-
এটি একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল।
-
ব্যবহার:
-
ব্যাংক সাধারণত গ্রাহককে চেক প্রদান করে।
-
গ্রাহক ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রয়োজনে চেক ইস্যু করতে পারেন।
-
চেকের বৈধতা:
-
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, চেকের বৈধতা ইস্যু করার তারিখ থেকে ৬ মাস (১৮০ দিন) পর্যন্ত।
-
বৈধতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা যাবে না।
-
প্রয়োজনে তারিখ পরিবর্তন ও প্রস্তুতকারকের স্বাক্ষরের মাধ্যমে পুনরায় টাকা উত্তোলন করা সম্ভব।
সংজ্ঞা:
-
চেক হলো বিশেষভাবে মুদ্রিত একটি কাগজপত্র, যা ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহকের হিসাবের বিপরীতে ইস্যু করা হয়।
-
এটি একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল।
ব্যবহার:
-
ব্যাংক সাধারণত গ্রাহককে চেক প্রদান করে।
-
গ্রাহক ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রয়োজনে চেক ইস্যু করতে পারেন।
চেকের বৈধতা:
-
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, চেকের বৈধতা ইস্যু করার তারিখ থেকে ৬ মাস (১৮০ দিন) পর্যন্ত।
-
বৈধতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা যাবে না।
-
প্রয়োজনে তারিখ পরিবর্তন ও প্রস্তুতকারকের স্বাক্ষরের মাধ্যমে পুনরায় টাকা উত্তোলন করা সম্ভব।
উৎস:
i) জাতীয় তথ্য বাতায়ন
ii) ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago