বাংলাদেশের সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের বিধান চালু করা হয়?
A
৪র্থ সংশোধনী
B
৭ম সংশোধনী
C
৬ষ্ঠ সংশোধনী
D
৯ম সংশোধনী
উত্তরের বিবরণ
১৯৮৯
সালে গৃহীত ৯ম সংশোধনীর মাধ্যমে উপরাষ্ট্রপতি পদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের বিধান চালু করা হয়।
নবম সংশোধনী আইন:
- সংবিধান আইন, ১৯৮৯ (নবম
সংশোধনী) পাস হয় ১৯৮৯
সালের জুলাই মাসে।
- এই সংশোধনী দ্বারা রাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের বিধান করা হয়; রাষ্ট্রপতির পদে একই ব্যক্তির
দায়িত্ব পালন পর পর
দুই মেয়াদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয় (প্রতি
মেয়াদকাল ৫ বছর)।
- এই সংশোধনীতে আরও বলা হয়
যে, শূন্যতা সৃষ্টি হলে একজন উপ-রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করা যেতে পারে,
তবে সেই নিয়োগের পক্ষে
জাতীয় সংসদের অনুমোদন আবশ্যক হবে।
এছাড়াও,
প্রথম সংশোধনী: সংবিধানের প্রথম সংশোধনী আনা হয় ১৯৭৩
সালের জুলাই মাসে।
দ্বিতীয় সংশোধনী: ১৯৭৩ সালের ২২
সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সংশোধনী আনা হয়।
তৃতীয় সংশোধনী: মূলত ভারত ও
বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণী একটি চুক্তি বাস্তবায়ন
করার জন্য ১৯৭৪ সালের
২৩ নভেম্বর এ সংশোধনী আনা
হয়।
চতুর্থ সংশোধনী: ১৯৭৫ সালের ২৫
জানুয়ারি এ সংশোধনীর মাধ্যমেই
বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন
ঘটানো হয়।
পঞ্চম সংশোধনী: জাতীয় সংসদে এ সংশোধনী আনা
হয় ১৯৭৯ সালের ৬
এপ্রিল।
ষষ্ঠ সংশোধনী: ১৯৮১ সালের ১০
জুলাই এ সংশোধনী আনা
হয়।
সপ্তম সংশোধনী: ১৯৮৬ সালের ১১
নভেম্বর জাতীয় সংসদে সপ্তম সংশোধনী আনা হয়।
অষ্টম সংশোধনী: ১৯৮৮ সালের ৯
জুন সংবিধানে অষ্টম সংশোধনী আনা হয়।
নবম সংশোধনী: নবম সংশোধনী আনা
হয় ১৯৮৯ সালের ১১
জুলাই।
দশম সংশোধনী: ১৯৯০ সালের ১২
জুন দশম সংশোধনী বিল
পাস হয়।
একাদশ সংশোধনী: গণঅভ্যুত্থানে এইচ এম এরশাদের
পতনের পর বিচারপতি মো.
সাহাবুদ্দিনের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে ১৯৯১ সালে
এ সংশোধনী পাস হয়।
দ্বাদশ সংশোধনী: ১৯৯১ সালের এ
সংশোধনীর মাধ্যমে ১৭ বছর পর
দেশে পুনরায় সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
ত্রয়োদশ সংশোধনী: ১৯৯৬ সালের ২৬
মার্চ এ সংশোধনীর মাধ্যমে
সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়।
চতুর্দশ সংশোধনী: ২০০৪ সালের ১৬
মে এ সংশোধনী আনা
হয়।
পঞ্চদশ সংশোধনী: ২০১১ সালের ৩০
জুন এ সংশোধনী আনা
হয়।
ষোড়শ সংশোধনী: উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের
অপসারণের ক্ষমতা আইন প্রণেতাদের হাতে
ফিরিয়ে দিতে সংবিধানের ষোড়শ
সংশোধন পাস হয় ২০১৪
সালের ১৭ সেপ্টেম্বর।
সপ্তদশ সংশোধনী: ২০১৮ সালের ২৯
জানুয়ারি আনা হয় সপ্তদশ
সংশোধনী।

0
Updated: 8 hours ago
'দ্বিজাতি তত্ত্বের' প্রবক্তা কে?
Created: 6 days ago
A
স্যার সৈয়দ আহমদ খান
B
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
C
এ.কে. ফজলুল হক
D
নওয়াব সলিমুল্লাহ
জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্ব (Two-Nation Theory)
-
সংজ্ঞা: জাতিতত্ত্বের বিশ্লেষণে একটি জনগোষ্ঠীকে তখনই জাতি বলা যায়, যার ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, মনন, কৃষ্টি, ধর্ম, এমনকি অর্থনীতি একটি একক সত্তায় পরিণতি লাভ করে।
-
জিন্নাহর ধারণা: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারতের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়কে দুটি পৃথক জাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এ ভাবনাকেই বলা হয় দ্বিজাতি তত্ত্ব।
-
ঘোষণা:
-
জিন্নাহ ১৯৩৯ সালে দ্বিজাতি তত্ত্ব ঘোষণা করেন।
-
পরবর্তী বছর, ১৯৪০ সালে লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশনে এরই প্রতিধ্বনি প্রকাশ পায়।
-
২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে লাহোর অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-
-
লাহোর প্রস্তাব: বাংলার নেতা ও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী এ.কে. ফজলুল হক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এতে বলা হয় যে, কোনো শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা ভারতে কার্যকর বা মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না যদি এটি একটি নিম্নবর্ণিত মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত না হয়।

0
Updated: 6 days ago
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নারী যোদ্ধাদের মধ্যে কে বীর প্রতীক উপাধি পান?
Created: 8 hours ago
A
তারামন বিবি
B
কাকলী রায়
C
সুলতানা বেগম
D
রওশন আরা
মুক্তিযুদ্ধে
নারীর অবদান:
- ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে
বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নিয়েছেন।
- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ প্রকৃত অর্থেই ছিল জনযুদ্ধ।
- নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সর্বাত্মক এই যুদ্ধে শামিল
হয়েছিল সমানভাবে।
- মোট গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ২০৩
জন।
- বর্তমানে মোট বীরাঙ্গনা নারী
মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৪৪৮ জন।
- এদের মধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ২
জন।
- ২ জন নারী বীর
প্রতীক: ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম
এবং তারামন বিবি।

0
Updated: 8 hours ago
প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় -
Created: 6 days ago
A
ভুটান
B
যুক্তরাজ্য
C
পোল্যান্ড
D
ফ্রান্স
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ধাপে ধাপে দেশটিকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।
-
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথম দেশ হিসেবে ভুটান এবং দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
বিশ্বের তৃতীয় দেশ ও প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে পূর্ব জার্মানি ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
অন্যান্য দেশগুলোর স্বীকৃতি সময়সূচি:
-
পোল্যান্ড: ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি
-
যুক্তরাজ্য: ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২
-
ফ্রান্স: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২
-
স্পেন: ১২ মে, ১৯৭২
-

0
Updated: 6 days ago