মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ম, ৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে কোন বাহিনী গঠিত হয়েছিল?
A
জেড ফোর্স
B
কে ফোর্স
C
এস ফোর্স
D
যৌথ কমান্ড
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধে নিয়মিত ব্রিগেড ফোর্সসমূহ
মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন নিয়ে তিনটি নিয়মিত ব্রিগেড ফোর্স গঠন করা হয়: জেড ফোর্স, কে ফোর্স, এস ফোর্স।
১. জেড ফোর্স (Z Force)
-
নেতৃত্ব: মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান
-
গঠনকাল: জুলাই ১৯৭১
-
উপাদান: ১ম, ৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
-
বিশেষত্ব: নিয়মিত বাহিনীর প্রথম ব্রিগেড; মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে সক্রিয়
২. এস ফোর্স (S Force)
-
নেতৃত্ব: কে.এম. সফিউল্লাহ
-
গঠনকাল: অক্টোবর ১৯৭১
-
উপাদান: ২য় ও ১১তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
-
বিশেষত্ব: দ্বিতীয় নিয়মিত ব্রিগেড; কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে অংশগ্রহণ
৩. কে ফোর্স (K Force)
-
নেতৃত্ব: কর্ণেল খালেদ মোশারফ
-
গঠনকাল: অক্টোবর ১৯৭১
-
উপাদান: ৪র্থ, ৯ম ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
-
বিশেষত্ব: মুক্তিযুদ্ধের তৃতীয় নিয়মিত ব্রিগেড; সেক্টরভিত্তিক কার্যক্রমে সক্রিয়
উপসংহার:
মুক্তিযুদ্ধকালে এই তিনটি নিয়মিত ব্রিগেড—জেড, কে ও এস ফোর্স—ই মুক্তিকামী বাহিনীর নিয়মিত অংশ হিসেবে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করেছিল।
0
Updated: 1 month ago
রাখাইন জনগোষ্ঠী প্রধানত কোথায় বসবাস করে?
Created: 1 month ago
A
কক্সবাজার, পটুয়াখালী, বরগুনা
B
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা
C
রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট
D
খুলনা, যশোর, মাগুরা
রাখাইন হলো বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী, যাদের ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। তারা মূলত উপকূলীয় অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে।
-
রাখাইন জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি জনগোষ্ঠীর নাম।
-
তারা মগ নামেও পরিচিত।
-
আঠারো শতকের শেষে আরাকান থেকে তারা বাংলাদেশে এসে কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে বসতি স্থাপন করে।
-
বর্তমানে রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রধান বসবাস কক্সবাজার, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায়।
-
এছাড়া রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায়ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তাদের বসতি রয়েছে।
-
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়ও রাখাইন জনগোষ্ঠীর বসতি রয়েছে।
-
‘রাখাইন’ শব্দটির উৎস পলি ভাষা।
-
ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, ১৭৮৪ সালে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে রাখাইনদের আগমন ঘটে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের ব্যাখ্যাকারক বা অভিভাবক কাকে বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
আইন মন্ত্রণালয়
B
সুপ্রিম কোর্ট
C
নির্বাহি বিভাগ
D
কোনটি নয়
বাংলাদেশের সংবিধান সংক্ষেপে:
-
প্রয়োজনীয়তা: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সংবিধান অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
-
প্রণয়ন কমিটি: ১৯৭২ সালে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
-
প্রথম অধিবেশন: খসড়া কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৭২।
-
সর্বোচ্চ আইন: বাংলাদেশের সংবিধান হলো দেশের মৌলিক ও সর্বোচ্চ আইন।
-
সুপ্রীম কোর্টের ভূমিকা: সংবিধানের ব্যাখ্যা ও রক্ষার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের।
0
Updated: 1 month ago
স্বাধীন বঙ্গ রাজ্যের পতন ঘটে কীভাবে?
Created: 1 month ago
A
বিজয় সেনের হাতে
B
সম্রাট অশোকের হাতে
C
মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের হাতে
D
চালুক্য বংশের রাজা কীর্তিবর্মণের হাতে
গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমগ্র দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গে একটি স্বাধীন রাজ্যের উত্থান ঘটে, যাকে ঐতিহাসিকরা স্বাধীন বঙ্গরাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই রাজ্যের রাজারা তামার পাতে খোদাই করা রাজ নির্দেশ জারি করতেন, যেগুলোকে তাম্রশাসন বলা হতো। এখন পর্যন্ত মোট ৭টি তাম্রশাসন পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ করে যে গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচার দেব নামে তিনজন রাজা স্বাধীন বঙ্গরাজ্য শাসন করেছেন। তারা ৫২৫-৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মোট ৭৫ বছর রাজত্ব করেছেন এবং ‘মহাধিরাজ’ উপাধি ধারণ করতেন, যা তাদের সার্বভৌম ক্ষমতার পরিচয় বহন করে।
-
স্বাধীন বঙ্গরাজ্যের রাজারা তাম্রশাসন জারি করতেন।
-
গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচার দেব এই রাজ্য শাসন করেছিলেন।
-
৫২৫-৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তারা মোট ৭৫ বছর রাজত্ব করেছেন।
-
তাদের ‘মহাধিরাজ’ উপাধি ছিল, যা সার্বভৌম ক্ষমতার প্রতীক।
-
ধারণা করা হয়, দক্ষিণ ভারতের চালুক্য বংশের রাজা কীর্তি বর্মণের হাতে স্বাধীন বঙ্গরাজ্যের পতন ঘটে।
-
অন্য মত অনুযায়ী, স্বাধীন গৌড় রাজ্যের উত্থান বঙ্গরাজ্যের পতনের কারণ হয়।
-
কিছু ইতিহাসবিদের মতে, সপ্তম শতকের পূর্বে দক্ষিণ বাংলার সমতট রাজ্যে ভদ্র, খড়গ, রাঢ় প্রভৃতি স্বাধীন সামন্ত রাজার উত্থানও বঙ্গরাজ্যের পতনের পেছনে দায়ী।
-
সপ্তম শতকের গোড়ার দিকে গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের নেতৃত্বে বাংলার পুন্ড্রবর্ধন, গৌড় ও বঙ্গ একত্রিত হয়ে একটি বিশাল গৌড় রাজ্য স্থাপিত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago