বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদের ক্ষমতা বর্ণিত হয়েছে?
A
৬৫ নং অনুচ্ছেদ
B
৬৬ নং অনুচ্ছেদ
C
৬৭ নং অনুচ্ছেদ
D
৬৮ নং অনুচ্ছেদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের
সংবিধানের
৬৫ অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদের গঠন, ক্ষমতা ও আইন প্রণয়নের এখতিয়ার বর্ণিত হয়েছে।
আইন বিভাগ:
- জবাবদিহিতা আইন বিভাগের প্রধান
কাজ নয়।
- আইন প্রণয়নের ক্ষমতা একমাত্র জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত হওয়ায়
বাংলাদেশের সংবিধান কর্তৃক জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলিকে বিস্তৃত
করা হয়েছে।
- বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চমভাগে জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলি সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা আছে।
- সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদ
অনুযায়ী এই প্রজাতন্ত্রের আইন
প্রণয়ন সংক্রান্ত সকল ক্ষমতা জাতীয়
সংসদের উপর ন্যস্ত।
- বাংলাদেশের আইন সভা সংবিধান
প্রণয়ন ও সংশোধন সংক্রান্ত
যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে।
- দেশের সংবিধান উল্লিখিত দুইটি ক্ষমতাই আইন সভাকে প্রদান
করেছে।
- এক্ষেত্রে আইন সভা সংবিধান
সংশোধনকল্পে বিভিন্ন সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ ও
প্রয়োজনে গণভোটের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
- বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে
আইন বিভাগ এই কাজটি করে
থাকে।
- এই বিভাগটি নতুন আইন প্রণয়ন
ও পুরাতন আইন বাতিলের ক্ষমতা
রাখে।
৬৫। (১) "জাতীয় সংসদ" নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকিবে এবং এই সংবিধানের বিধানাবলী-সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের আইনপ্রণয়ন-ক্ষমতা সংসদের উপর ন্যস্ত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সংসদের আইন-দ্বারা যে কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন বা আইনগত কার্যকরতাসম্পন্ন অন্যান্য চুক্তিপত্র প্রণয়নের ক্ষমতার্পণ হইতে এই দফার কোন কিছুই সংসদকে নিবৃত্ত করিবে না।

0
Updated: 8 hours ago
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কতজন পুলিশ সদস্যকে রাষ্ট্রীয় উপাধি প্রদান করা হয়?
Created: 8 hours ago
A
৪ জন
B
৭ জন
C
১১ জন
D
১৫ জন
মুক্তিযুদ্ধে
বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৩ জন পুলিশ সদস্য এবং ১ জন অফিসারকে রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা/সদস্য রাষ্ট্রীয় খেতাব পান।
মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অবদান:
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনী অসাধারণ বীরত্ব ও আত্মত্যাগের পরিচয়
দিয়েছে। স্বাধীনতার আন্দোলনের সূচনালগ্ন থেকেই পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশ
সদস্যরা।
- ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের কালরাতে
রাজশাহী ও রাজারবাগ পুলিশ
লাইনে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কনস্টেবল
মো. শাহজাহান মিয়া ওয়ারলেস বার্তায়
সারা দেশে পাক সেনাদের
আক্রমণের খবর ছড়িয়ে দেন,
যার ফলে অন্যান্য অঞ্চলেও
প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়।
- চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার এম এ সামসুল
হক-এর নেতৃত্বে পুলিশ
সদস্যরা স্থানীয় ইপিআর, সেনা ও মুক্তিকামী
জনতার সঙ্গে মিলে প্রতিরোধে অংশ
নেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা
জীবন বাজি রেখে পাক
সেনাদের মোকাবিলা করেছেন।
- ২৬–২৮ মার্চ সময়ে
রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাক সেনাদের ব্যাপক
হামলা হয়। ট্যাঙ্ক, মর্টার
শেল ও মেশিনগানের গোলায়
বহু পুলিশ সদস্য শহীদ হন। পুলিশ
বাহিনীর বহু সদস্যকে নির্মমভাবে
হত্যা করা হয়। তবুও
পুলিশের এই আত্মত্যাগ মুক্তিযুদ্ধের
ইতিহাসে অনন্য অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।
- মোট ৫৭৫ জন পুলিশ
সদস্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
খেতাবপ্রাপ্ত
পুলিশ সদস্যরা:
বীর বিক্রম (৩ জন):
১। মাহবুবউদ্দিন আহমেদ (এসডিপিও, ঝিনাইদহ);
২। তৌফিক আলী (পুলিশ কনস্টেবল);
৩। আব্দুল মান্নান (পুলিশ কনস্টেবল);
বীর প্রতীক (১ জন):
৪। মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (পুলিশ কনস্টেবল)।
উল্লেখ্য, বাংলাপিডিয়া অনুসারে, পুলিশ বাহিনী থেকে খেতাবপ্রাপ্তের সংখ্যা ৫ জন।

0
Updated: 8 hours ago
চৌসার যুদ্ধ কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল?
Created: 3 days ago
A
শের খান ও বাবর
B
হুমায়ুন ও শের খান
C
শের শাহ ও আকবর
D
হুমায়ুন ও জাহাঙ্গীর
চৌসার যুদ্ধ ১৫৩৯ সালের ২৬ জুন বিহারের চৌসাতে সংঘটিত হয়, যেখানে মুঘল সম্রাট হুমায়ুন এবং আফগান নেতা শের খান (পরে শের শাহ সূরি) এর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এই যুদ্ধের ফলাফল এবং তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা নিম্নরূপ:
-
শের খান বিজয়ী হন এবং সম্রাট হুমায়ুনকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
-
এর ফলে মুঘল শাসনের পতন শুরু হয় এবং সূরি বংশের উত্থান ঘটে।
-
সম্রাট হুমায়ুন গৌড় পরিত্যাগ করার পূর্বে জাহাঙ্গীর কুলী বেগকে বাংলার শাসনভার অর্পণ করেন।
-
হুমায়ুন তাঁর বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে আগ্রা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন, কিন্তু বক্সারের নিকটবর্তী চৌসায় শের খান ও তাঁর আফগান অনুচররা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
-
১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন চৌসায় দুইপক্ষের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
-
এই যুদ্ধ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে চৌসার যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
হুমায়ুন শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।
-
শের খানের জয়লাভের ফলে তাঁর রাজ্য পশ্চিমে কনৌজ থেকে পূর্বে আসাম ও চট্টগ্রাম এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে বীরভূম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
-
শেরখান পরে শেরশাহ উপাধি গ্রহণ করেন, নিজ নামে মুদ্রা প্রচলন এবং পাঠের নির্দেশ প্রদান করেন।
-
এই যুদ্ধে হুমায়ুনের পরাজয় মুঘলদের সামরিক ও কূটনৈতিক দুর্বলতা প্রকাশ করে।
উৎস:

0
Updated: 3 days ago
মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
অশোক
B
বিন্দুসার
C
চন্দ্রগুপ্ত
D
বৃহদ্রথ
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নন্দ বংশের শেষ রাজা ধননন্দকে পরাজিত করে মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
-
মৌর্য সাম্রাজ্য ভারতের ইতিহাসে প্রথম সর্বভারতীয় সাম্রাজ্য।
-
খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ অব্দে ব্যাবিলনে আলেকজান্ডারের মৃত্যু ঘটে, যার ফলে তার অধিকৃত ভারতীয় অঞ্চলে গ্রিকদের মধ্যে আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা ও বিরোধ দেখা দেয়।
-
সেই সময় মগধে নন্দবংশীয় সম্রাট ধননন্দ রাজত্ব করছিলেন, যিনি মোটেও জনপ্রিয় ছিলেন না।
-
সুযোগে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য মগধের সিংহাসন দখল করেন এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে গ্রিকদের বিতাড়িত করে এক বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
-
এই সাম্রাজ্য ইতিহাসে মৌর্য সাম্রাজ্য নামে পরিচিত।
-
মৌর্য সম্রাটরা বহু-বিভক্ত ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
-
এই বংশের মধ্যে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এবং অশোক বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago