বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনের বিধান রয়েছে?
A
১৪১ নং অনুচ্ছেদ
B
১৪২ নং অনুচ্ছেদ
C
১৪৩ নং অনুচ্ছেদ
D
১৪৪ নং অনুচ্ছেদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের
সংবিধানের ১৪২ নং অনুচ্ছেদে সংবিধান সংশোধনের বিধান উল্লেখ রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, সংসদের কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে অনুমোদিত হলে সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদ সংশোধন, সংযোজন বা রহিত করা যেতে পারে।
অনুচ্ছেদ
১৪২: সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা:
- বাংলাদেশের সংবিধানের দশম ভাগের ১৪২
নং অনুচ্ছেদে সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
- ১৪২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এই সংবিধানে যা
বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও -
- সংসদের আইন-দ্বারা এই
সংবিধানের কোন বিধান সংযোজন,
পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের দ্বারা
সংশোধিত হতে পারবে:
তবে শর্ত থাকে যে,
- অনুরুপ সংশোধনীর জন্য আনীত কোন
বিলের সম্পূর্ন শিরনামায় এই সংবিধানের কোন
বিধান সংশোধন করা হক]ব
বলে স্পষ্টরুপে উল্লেখ না থাকলে বিলটি
বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা
যাবে না;
- সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার
অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে
গৃহীত না হইলে অনুরুপ
কোন বিলে সম্মতিদানের জন্য
তা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হবে
না;
- উপরি-উক্ত উপায়ে কোন
বিল গৃহীত হবার পর সম্মতির
জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট তা উপস্থাপিত
হলে উপস্থাপনের সাত দিনের মধ্যে
তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করবেন, এবং তিনি তা
করতে অসমর্থ হলে উক্ত মেয়াদের
অবসানে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান
করেছেন বলে গণ্য হবে।
অন্যদিকে,
- ১৪৩নং অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি,
- ১৪১নং অনুচ্ছেদে জরুরী বিধানাবলী,
- ১৪৪নং অনুচ্ছেদে সম্পত্তি ও কারবার প্রভৃতি
প্রসঙ্গে নির্বাহী কর্তৃত্ব সম্পর্কে উল্লেখ আছে।

0
Updated: 8 hours ago
'দ্বিজাতি তত্ত্বের' প্রবক্তা কে?
Created: 6 days ago
A
স্যার সৈয়দ আহমদ খান
B
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
C
এ.কে. ফজলুল হক
D
নওয়াব সলিমুল্লাহ
জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্ব (Two-Nation Theory)
-
সংজ্ঞা: জাতিতত্ত্বের বিশ্লেষণে একটি জনগোষ্ঠীকে তখনই জাতি বলা যায়, যার ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, মনন, কৃষ্টি, ধর্ম, এমনকি অর্থনীতি একটি একক সত্তায় পরিণতি লাভ করে।
-
জিন্নাহর ধারণা: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারতের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়কে দুটি পৃথক জাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এ ভাবনাকেই বলা হয় দ্বিজাতি তত্ত্ব।
-
ঘোষণা:
-
জিন্নাহ ১৯৩৯ সালে দ্বিজাতি তত্ত্ব ঘোষণা করেন।
-
পরবর্তী বছর, ১৯৪০ সালে লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশনে এরই প্রতিধ্বনি প্রকাশ পায়।
-
২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে লাহোর অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-
-
লাহোর প্রস্তাব: বাংলার নেতা ও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী এ.কে. ফজলুল হক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এতে বলা হয় যে, কোনো শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা ভারতে কার্যকর বা মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না যদি এটি একটি নিম্নবর্ণিত মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত না হয়।

0
Updated: 6 days ago
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহিদ কে?
Created: 1 week ago
A
মতিউর রহমান
B
সার্জেন্ট জহুরুল হক
C
ড. শামসুজ্জোহা
D
আসাদুজ্জামান আসাদ
১৯৬৯ সালের ২০শে জানুয়ারি ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান আসাদ পুলিশের গুলিতে শহিদ হলে গণঅভ্যুত্থান নতুন মাত্রা লাভ করে।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান:
-
আইয়ুব সরকারের নিপীড়নের প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসভা ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে পুলিশের গুলিতে আসাদুজ্জামান নিহত হন, যা গণঅভ্যুত্থানকে তীব্রতা দেয়।
-
আসাদুজ্জামান বা শহিদ আসাদ ছিলেন ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।
-
২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস, এই দিনে সংগ্রামী জনতা সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে মিছিল বের করে। পুলিশের গুলিতে নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর এবং ছুরিকাঘাতে রুস্তম নিহত হন।
-
১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি ড. শামসুজ্জোহা শহিদ হন।
-
এই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে আইয়ুব সরকারের পতন ঘটে এবং আইয়ুব খান ইয়াহিয়া খানের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago
স্বাধীন বঙ্গ রাজ্যের পতন ঘটে কীভাবে?
Created: 3 days ago
A
বিজয় সেনের হাতে
B
সম্রাট অশোকের হাতে
C
মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের হাতে
D
চালুক্য বংশের রাজা কীর্তিবর্মণের হাতে
গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমগ্র দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গে একটি স্বাধীন রাজ্যের উত্থান ঘটে, যাকে ঐতিহাসিকরা স্বাধীন বঙ্গরাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই রাজ্যের রাজারা তামার পাতে খোদাই করা রাজ নির্দেশ জারি করতেন, যেগুলোকে তাম্রশাসন বলা হতো। এখন পর্যন্ত মোট ৭টি তাম্রশাসন পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ করে যে গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচার দেব নামে তিনজন রাজা স্বাধীন বঙ্গরাজ্য শাসন করেছেন। তারা ৫২৫-৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মোট ৭৫ বছর রাজত্ব করেছেন এবং ‘মহাধিরাজ’ উপাধি ধারণ করতেন, যা তাদের সার্বভৌম ক্ষমতার পরিচয় বহন করে।
-
স্বাধীন বঙ্গরাজ্যের রাজারা তাম্রশাসন জারি করতেন।
-
গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচার দেব এই রাজ্য শাসন করেছিলেন।
-
৫২৫-৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তারা মোট ৭৫ বছর রাজত্ব করেছেন।
-
তাদের ‘মহাধিরাজ’ উপাধি ছিল, যা সার্বভৌম ক্ষমতার প্রতীক।
-
ধারণা করা হয়, দক্ষিণ ভারতের চালুক্য বংশের রাজা কীর্তি বর্মণের হাতে স্বাধীন বঙ্গরাজ্যের পতন ঘটে।
-
অন্য মত অনুযায়ী, স্বাধীন গৌড় রাজ্যের উত্থান বঙ্গরাজ্যের পতনের কারণ হয়।
-
কিছু ইতিহাসবিদের মতে, সপ্তম শতকের পূর্বে দক্ষিণ বাংলার সমতট রাজ্যে ভদ্র, খড়গ, রাঢ় প্রভৃতি স্বাধীন সামন্ত রাজার উত্থানও বঙ্গরাজ্যের পতনের পেছনে দায়ী।
-
সপ্তম শতকের গোড়ার দিকে গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের নেতৃত্বে বাংলার পুন্ড্রবর্ধন, গৌড় ও বঙ্গ একত্রিত হয়ে একটি বিশাল গৌড় রাজ্য স্থাপিত হয়।
উৎস:

0
Updated: 3 days ago