মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন সেক্টরে কোনো নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিল না?
A
৯ নং সেক্টর
B
১০ নং সেক্টর
C
১১ নং সেক্টর
D
১ নং সেক্টর
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল, যার প্রতিটি সেক্টরের একটি করে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তবে ১০ নং সেক্টর কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও সাব-সেক্টর সম্পর্কিত তথ্য:
-
দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় এবং এই সেক্টরের অধীনে মোট ৬৪টি সাব-সেক্টর গঠন করা হয়।
-
১নং সেক্টর: চট্টগ্রাম অঞ্চলকে নিয়ে গঠন করা হয়।
-
প্রথম সেক্টর প্রধান ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, পরে দায়িত্ব নেন মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
-
২নং সেক্টর: ঢাকা ও কুমিল্লা অঞ্চল নিয়ে গঠন করা হয়।
-
প্রথমে নেতৃত্ব দেন মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে দায়িত্ব নেন মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
-
১০নং সেক্টর: নৌসেক্টর হিসেবে গঠিত, এখানে নিয়মিত কোনো সেক্টর কমান্ডার থাকেননি।
উল্লেখযোগ্য:
-
অন্যান্য সেক্টরের প্রতিটি সেক্টরের একটি নির্দিষ্ট কমান্ডার থাকলেও, ১০ নং নৌসেক্টরের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।
-
সেক্টর ও সাব-সেক্টরের এই বিন্যাস মুক্তিযুদ্ধের সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেন বিশিষ্ট সেতু কোনটি?
Created: 1 month ago
A
যমুনা সেতু
B
পদ্মা সেতু
C
মধুমতী সেতু
D
কোনটি নয়
মধুমতী সেতু, যা কালনা সেতু নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এটি দেশের প্রথম ৬ লেনবিশিষ্ট সেতু হিসেবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
অবস্থান: নড়াইল।
-
সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: ৬৯০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২৭.১০ মিটার প্রস্থ।
-
সংযোগ সড়ক: উভয় পাশে ৪.২৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়ক, যার প্রস্থ ৩০.৫০ মিটার।
-
নির্মাণ প্রকল্প: সওজের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জাইকার অর্থায়নে নির্মিত।
-
মোট নির্মাণ ব্যয়: ৯৫৯.৮৫ কোটি টাকা।
-
সংযোগ: নড়াইল, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার সঙ্গে ঢাকাকে সরাসরি সংযুক্ত করছে।
0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে দেশে কতটি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে? (আগস্ট-২০২৫)
Created: 1 month ago
A
১০টি
B
১২টি
C
৮টি
D
১৩টি
সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের প্রশাসন ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
-
বর্তমানে দেশে ১২টি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে।
-
সিটি কর্পোরেশনের এলাকা ও কাজের ওপর সদস্যসংখ্যা নির্ভর করে।
-
প্রতিটি সিটি কর্পোরেশনে একজন মেয়র থাকেন, যাঁকে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত করা হয়।
সিটি কর্পোরেশনগুলো:
১. ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
২. ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
৩. চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন
৪. খুলনা সিটি কর্পোরেশন
৫. রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন
৬. বরিশাল সিটি কর্পোরেশন
৭. সিলেট সিটি কর্পোরেশন
৮. নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন
৯. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
১০. রংপুর সিটি কর্পোরেশন
১১. গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন
১২. ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন
-
সিটি কর্পোরেশন গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো শহরের পানীয়জলের ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন, ময়লা-আবর্জনা অপসারণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
-
স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের জীবনধারা উন্নত করতে অপরিহার্য।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
অনুচ্ছেদ ১৩
B
অনুচ্ছেদ ১৮
C
অনুচ্ছেদ ২০
D
অনুচ্ছেদ ২৫
-
সংবিধানের ১৮নং অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রকে জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নৈতিকতা রক্ষার্থে মদ্যপান, জুয়া ও গণিকাবৃত্তি নিরোধের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সংবিধান:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮নং অনুচ্ছেদে জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা সম্পর্কিত বিধান উল্লেখ আছে।
১৮ (১) দফা:
-
জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে গণ্য করবে।
-
বিশেষত আরোগ্যের প্রয়োজন কিংবা আইনের দ্বারা নির্দিষ্ট অন্য কোনো প্রয়োজন ছাড়া মদ্য ও অন্যান্য মাদক পানীয় এবং স্বাস্থ্যহানিকর ভেষজ ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।
১৮ (২) দফা:
-
গণিকাবৃত্তি ও জুয়া খেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান।
0
Updated: 2 months ago