এটমিক সংখ্যা একই হওয়া সত্ত্বেও নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা বেশি হওয়ার ফলে ভরসংখ্যা বেড়ে যায় বলে তাদের বলা হয়-
A
আইসোটোপ
B
আইসোমার
C
আইসোটোন
D
আইসোবার
উত্তরের বিবরণ
পরমাণুগুলোর পারমাণবিক সংখ্যা যদি সমান হয় কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাহলে তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয়।
-
সহজ কথায়, একই পরমাণু নম্বর থাকার পরও নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা পার্থক্যের কারণে ভর সংখ্যা পরিবর্তিত হয়, যা আইসোটোপ সৃষ্টি করে।
-
অর্থাৎ, আইসোটোপগুলো মূলত নিউট্রনের তারতম্যের ফলাফল।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 3 months ago
তাপ প্রয়োগে সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয় কোন পদার্থ?
Created: 3 months ago
A
তরল পদার্থ
B
বায়বীয় পদার্থ
C
কঠিন পদার্থ
D
নরম পদার্থ
তাপ প্রয়োগ করলে সকল ধরনের পদার্থই প্রসারিত হয়। তবে কোন পদার্থ কতটা প্রসারিত হবে, তা নির্ভর করে তার অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণের উপর। গ্যাসীয় পদার্থে এই আকর্ষণ সবচেয়ে কম,
তাই তাপের প্রভাবে গ্যাস পদার্থই সর্বাধিক প্রসারিত হয়। অন্যদিকে, কঠিন ও তরল পদার্থে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এদের প্রসারণ তুলনামূলকভাবে কম হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 3 months ago
ফুসফুস আবৃত থাকে কোন পর্দা দ্বারা?
Created: 1 month ago
A
ডায়াফ্রাম
B
প্লুরা
C
পেরিকার্ডিয়াম
D
আলভিওলাস
ফুসফুস (Lung):
- ফুসফুস শ্বসনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ।
- বক্ষগহ্বরের ভিতর হৃৎপিণ্ডের দুই পাশে দুটি ফুসফুস অবস্থিত।
- এটি স্পঞ্জের মতো নরম, কোমল ও হালকা লালচে রঙের।
- ডান ফুসফুস তিন খণ্ডে এবং বাম ফুসফুস দুই খণ্ডে বিভক্ত।
- ফুসফুস দুই ভাঁজবিশিষ্ট প্লুরা নামক পর্দা দিয়ে আবৃত।
- দুই ভাঁজের মধ্যে এক প্রকার রস নির্গত হয়। ফলে শ্বাসক্রিয়া চলার সময় ফুসফুসের সাথে বক্ষগাত্রের কোনো ঘর্ষণ হয় না।
- ফুসফুসে অসংখ্য বায়ুথলি বা বায়ুকোষ, সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম শ্বাসনালি ও রক্তনালি থাকে।
- বায়ুথলিগুলোকে বলে অ্যালভিওলাস (Alveolus)।
- বায়ুথলিগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুক্লোম শাখাপ্রান্তে মৌচাকের মতো অবস্থিত।
- নাসাপথ দিয়ে বায়ু সরাসরি বায়ুথলিতে যাতায়াত করতে পারে।
- বায়ুথলি পাতলা আবরণী দিয়ে আবৃত এবং প্রতিটি বায়ুথলি কৈশিকনালিকা দিয়ে পরিবেষ্টিত।
- বায়ু প্রবেশ করলে এগুলো বেলুনের মতো ফুলে ওঠে এবং পরে আপনা-আপনি সংকুচিত হয়।
- বায়ুথলি ও কৈশিক নালিকার গাত্র এত পাতলা যে এর ভিতর দিয়ে গ্যাসীয় আদানপ্রদান ঘটে।

উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 1 month ago
রঙিন টেলিভিশন হতে ক্ষতিকর কোন রশ্মি বের হয়?
Created: 3 months ago
A
মৃদু রঞ্জন রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
গামা রশ্মি
D
কসমিক রশ্মি
রঙিন টেলিভিশন থেকে কিছু ক্ষুদ্র পরিমাণের ক্ষতিকর রঞ্জন রশ্মি নির্গত হয়।
রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য ব্যবহৃত মৌলিক যন্ত্রপাতিগুলো সাদাকালো অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ক্ষেত্রেও একই রকমই ব্যবহৃত হয়।
তবে রঙিন চিত্র প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য রঙিন টেলিভিশনে অতিরিক্ত কিছু বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়।
রঙিন টেলিভিশনের ক্যামেরায় লাল, নীল এবং সবুজ—এই তিনটি মূল রঙের জন্য পৃথক পৃথক ইলেকট্রন টিউব থাকে।
গ্রাহকের টেলিভিশন সেটেও এই তিনটি রংয়ের জন্য তিনটি ইলেকট্রন গান ব্যবহার করা হয়।
পর্দাটিও তিন রকমের ফসফর দানার সমন্বয়ে গঠিত।
যখন ইলেকট্রন গান থেকে নির্গত ইলেকট্রন বিম ফসফর দানার ওপর পড়ে, তখন সেই নির্দিষ্ট রঙের ফসফরই আলোকিত হয়।
ফলস্বরূপ, পর্দায় একযোগে লাল, নীল ও সবুজ রঙের বিন্দু তৈরি হয়, এবং এদের মিশ্রণে টেলিভিশনের পর্দায় বিভিন্ন রঙিন ছবি ফুটে ওঠে।
পর্দার ফসফরগুলো ইলেকট্রন আঘাতের ফলে ক্ষুদ্র পরিমাণের মৃদু রঞ্জন রশ্মি উৎপন্ন করে, যা অত্যন্ত নগণ্য হওয়ায় সাধারণত গুরুত্ব দেয়া হয় না।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago