বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮১ অনুযায়ী 'অর্থ বিল' (Money Bill)-এর সংজ্ঞায় কোন ধরনের বিল অন্তর্ভুক্ত নয়?
A
কর আরোপ, নিয়ন্ত্রণ, রদবদল, মওকুফ বা রহিতকরণ
B
সরকার কর্তৃক ঋণ গ্রহণ বা গ্যারান্টি প্রদান
C
সংযুক্ত তহবিলের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যয় সংক্রান্ত বিল
D
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কর আরোপ বা ফি ধার্যকরণ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ৮১ অর্থবিল সংক্রান্ত বিধান নির্ধারণ করেছে।
অর্থবিলের অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ (অনুচ্ছেদ ৮১(১)):
-
কর সংক্রান্ত পরিবর্তন
-
সরকার কর্তৃক ঋণ গ্রহণ বা দায়-দায়িত্ব
-
সংযুক্ত তহবিল সংক্রান্ত ব্যয়
-
সরকারের হিসাব ও নিরীক্ষা
সীমাবদ্ধতা (অনুচ্ছেদ ৮১(২)):
-
শুধুমাত্র স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর, জরিমানা, লাইসেন্স ফি বা ফি ধার্যকরণ সংক্রান্ত বিলকে অর্থবিল হিসেবে গণ্য করা হবে না।
অর্থবিলের বৈশিষ্ট্য ও প্রক্রিয়া:
-
অর্থবিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল, যা সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি বাস্তবায়নের জন্য সংসদে উত্থাপিত হয়।
-
কোনো বিল অর্থবিল কিনা, তা নির্ধারণে স্পিকারের সার্টিফিকেট চূড়ান্ত মত হিসেবে গ্রহণযোগ্য।
-
অর্থবিল বা অর্থব্যয় সংক্রান্ত বিলের উদ্যোক্তা সরকার।
-
সংসদে উত্থাপনের পর বিলটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় পাস করতে হয়।
-
রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য বিল উপস্থাপন করলে ১৫ দিনের মধ্যে তিনি বিলটিতে সম্মতি প্রদান করেন।
-
যদি রাষ্ট্রপতি ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতি না দেন, বিলটি আইনে পরিণত হয়।
উল্লেখ্য:
-
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮১-এ ‘অর্থবিল’ সম্পর্কিত সব বিধান বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে বিচারক নিয়োগ দেয়—
Created: 1 month ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
আইনমন্ত্রী
D
অ্যাটর্নি জেনারেল
সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) – বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত হলো সুপ্রিম কোর্ট।
১. বিভাগসমূহ
সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ আছে:
-
আপিল বিভাগ
-
হাইকোর্ট বিভাগ
২. প্রধান বিচারপতি ও বিচারক
-
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির দ্বারা নিযুক্ত হন।
-
প্রতিটি বিভাগের জন্য যতজন বিচারক প্রয়োজন, তারা সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হন।
-
প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি দুই বিভাগের অন্যান্য বিচারক নিয়োগ দেন।
-
বিচারকরা বিচার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন।
৩. যোগ্যতা ও শর্তাবলী
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
-
কমপক্ষে ১০ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় পদে ১০ বছর বিচারক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
-
বিচারকগণ ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তাদের পদে কর্মরত থাকতে পারেন।
0
Updated: 1 month ago
জাতিপুঞ্জের উদ্যোক্তা হয়েও সদস্য ছিল না -
Created: 1 month ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
ফ্রান্স
C
জাপান
D
জার্মানি
লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে।
-
গঠিত: ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি, প্যারিস শান্তি সম্মেলনে
-
প্রধান উদ্যোক্তা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
সদস্য রাষ্ট্র সংখ্যা: ৬৩টি
-
উদ্দেশ্য:
-
সদস্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক সীমানা অক্ষুণ্ণ রাখা
-
একে অপরকে আক্রমণ করতে নিরুৎসাহিত করা
-
কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে আক্রমণ করলে সমবেতভাবে সহায়তা করা
-
সংখ্যালঘু সমস্যা ও ম্যান্ডেট বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
-
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ও অবস্থান:
-
যুক্তরাষ্ট্র লীগ অব নেশনসের প্রধান উদ্যোক্তা, তবে কখনো সদস্য হয়নি
-
১৯১৯ সালে ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরের পর যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট এটি প্রত্যাখ্যান করে
-
প্রধান কারণ: যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ছিল বাইরের রাষ্ট্রগুলোর বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, যা আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশ হওয়ার সাথে সাংঘর্ষিক ছিল
-
পরবর্তীতে, ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যোগ দেয়
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি লীগ অব নেশনসের সদস্য ছিল
-
লীগ অব নেশনস বিলুপ্ত হয় ২০ এপ্রিল, ১৯৪৬ (জাতিসংঘের ওয়েবসাইট অনুসারে, ব্রিটানিকার মতে ১৯ এপ্রিল)
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কবে কার্যক্রম শুরু করে?
Created: 1 month ago
A
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১
B
২৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১
C
৩১ অক্টোবর, ১৯৭২
D
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
বাংলাদেশ ব্যাংক হলো বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা দেশের মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাংকের ব্যাংক হিসেবে কার্যকর। এটি মুদ্রানীতি ও ব্যাংকিং বিষয়ে সরকারের পরামর্শদাতা এবং সরকারের ব্যাংক বা কোষাগার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে।
-
প্রতিষ্ঠা: বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১২৭/১৯৭২) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হলেও কার্যক্রমের শুরুর তারিখ ধরা হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, অর্থাৎ বিজয় দিবস থেকে।
-
বাণিজ্যিক ব্যাংক পুনর্বিন্যাস: ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির ২৬ নম্বর অধ্যাদেশ অনুযায়ী দেশে কার্যরত বারোটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে জাতীয়করণ ও পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে রূপান্তর করা হয়।
-
বিদেশি ব্যাংক: জাতীয়করণের আওতামুক্ত রাখা হয়।
-
বিশেষায়িত ব্যাংক: পাকিস্তান কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও শিল্প উন্নয়ন ব্যাংককে যথাক্রমে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক নামে নামকরণ করা হয়।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জনের পর দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়।
-
সেই দিন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়।
0
Updated: 1 month ago