মুক্তিযুদ্ধে 'কাদেরিয়া বাহিনী'র প্রতিষ্ঠাতা কাদের সিদ্দিকী কোন এলাকায় সবচেয়ে কার্যকর গেরিলা কার্যক্রম পরিচালনা করেন?
A
ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকা এলাকায়
B
টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও মধুপুর এলাকায়
C
গাজীপুরের শ্রীপুর ও কাপাসিয়া এলাকায়
D
মাগুরার শ্রীপুর ও বেলনগর এলাকায়
উত্তরের বিবরণ
কাদেরিয়া
বাহিনী' টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী ও মধুপুর অঞ্চলে অত্যন্ত সফল গেরিলা কার্যক্রম পরিচালনা করে পাকিস্তানি সেনাদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
মুক্তিযুদ্ধে
টাঙ্গাইল ও কাদেরিয়া বাহিনী:
- ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবীর
কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলে তার নিজস্ব বাহিনী
নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।
- তাঁর বাহিনীর নাম ছিল কাদেরিয়া
বাহিনী।
- এ বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় কৃতিত্বের সাথে পাকবাহিনীর মোকাবিলা
করে।
- ২৮ মার্চ ভূয়াপুর কলেজের শহীদ মিনারের পাদদেশে
‘ভূঞাপুর সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ’-এর সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে
বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
- ৩ এপ্রিল মির্জাপুর উপজেলার গোড়ান সাটিয়াচরায় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন পাকসেনা
নিহত হয় এবং ৩৩
জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
- এপ্রিল মাসে কাদের সিদ্দিকীর
বাহিনী গোপালপুর থানা আক্রমণ করে
অস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল
করে এবং থানাটি জ্বালিয়ে
দেয়।
- টাঙ্গাইল জেলার ৪টি স্থানে (নাগরপুর,
মির্জাপুর, গোপালপুর ও ভূয়াপুরে) গণকবর
এবং ২টি স্থানে (মির্জাপুর
ও গোপালপুর) বধ্যভুমির সন্ধান পাওয়া গেছে।
- জেলায় ৩টি (টাঙ্গাইল সদর,
ভূয়াপুর ও বাসাইল), ২টি
স্মৃতিস্তম্ভ (সখীপুর ও গোপালপুর) এবং
১টি স্মৃতিফলক (ঘাটাইল উপজেলার মাকরাই কুমার পাড়া) স্থাপিত হয়েছে।
• আঞ্চলিক
বাহিনী:
- সেক্টর এলাকার বাইরে আঞ্চলিক পর্যায়ে যেসব বাহিনী গড়ে
ওঠে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হচ্ছে-কাদেরিয়া বাহিনী (টাঙ্গাইল), আফসার ব্যাটালিয়ন (ভালুকা, ময়মনসিংহ), বাতেন বাহিনী (টাঙ্গাইল), হেমায়েত বাহিনী (গোপালগঞ্জ, বরিশাল), হালিম বাহিনী (মানিকগঞ্জ), আকবর বাহিনী (মাগুরা),
লতিফ মীর্জা বাহিনী (সিরাজগঞ্জ, পাবনা) ও জিয়া বাহিনী
(সুন্দরবন)।

0
Updated: 9 hours ago
রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য কী?
Created: 6 days ago
A
জনসেবা
B
সরকার গঠন
C
আন্দোলন করা
D
সামাজিক সেবা প্রদান
রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জন ও সরকার গঠন করা, যাতে নিজেদের নীতিমালা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যায়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এই প্রক্রিয়া দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
রাষ্ট্রক্ষমতা লাভ ও সরকার গঠন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য।
-
আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দলগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে এবং নিজেদের মতাদর্শ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
-
ক্ষমতায় থাকা দল নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকে।
-
বিরোধী দলগুলো শাসক দলের ব্যর্থতা তুলে ধরার মাধ্যমে জনমত গঠন করে এবং নিজেদের আদর্শের ভিত্তিতে ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা চালায়।
-
এভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া কার্যকর হয়।

0
Updated: 6 days ago
সুশাসনের পথে প্রধান অন্তরায় কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
আইনের শাসন
B
জবাবদিহিতা
C
স্বজনপ্রীতি
D
ন্যায়পরায়ণতা
স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি সুশাসনের পরিপন্থী, কারণ এগুলো মেধা ও যোগ্যতার পরিবর্তে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎসাহিত করে। এর ফলে সমতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতার নীতি লঙ্ঘিত হয়।
সুশাসন:
-
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা।
-
সুশাসন বলতে বোঝায় যথাযথভাবে শাসন বা ভালোভাবে শাসন।
-
সুশাসনের পূর্বশর্ত হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
-
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ব্যতীত দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
-
অংশগ্রহণ ও ই-গভর্ন্যান্স সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা ও স্বেচ্ছাচারিতা সুশাসনের অন্তরায়।
-
বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্যতম বড় অন্তরায় হলো দুর্নীতি।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের সংবিধানে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিধান কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে?
Created: 6 days ago
A
১০৩নং অনুচ্ছেদ
B
১১৭নং অনুচ্ছেদ
C
১০৮নং অনুচ্ছেদ
D
১১০নং অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৭নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা সংসদের নিকট সংরক্ষিত। এই ট্রাইব্যুনালগুলো প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারী ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে এখতিয়ার প্রয়োগের জন্য কার্যকর।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের উদ্দেশ্য:
-
নবম ভাগে বর্ণিত বিষয়াদি এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কর্মশর্ত ও দণ্ড সম্পর্কিত বিষয়।
-
যে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা এবং সম্পত্তির অর্জন ও বণ্টন।
-
-
সংসদের ক্ষমতা: আইনের মাধ্যমে এক বা একাধিক প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা।
অন্য সংবিধানিক প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ:
-
১০৩নং অনুচ্ছেদ: আপিল বিভাগের এখতিয়ার সংজ্ঞা।
-
১০৮নং অনুচ্ছেদ: সুপ্রিম কোর্টকে "কোর্ট অফ রেকর্ড" হিসেবে সংজ্ঞায়িত।
-
১১০নং অনুচ্ছেদ: অধস্তন আদালত থেকে হাইকোর্টে মামলা স্থানান্তর সংক্রান্ত বিধান।

0
Updated: 6 days ago