মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কতজন পুলিশ সদস্যকে রাষ্ট্রীয় উপাধি প্রদান করা হয়?
A
৪ জন
B
৭ জন
C
১১ জন
D
১৫ জন
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধে
বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৩ জন পুলিশ সদস্য এবং ১ জন অফিসারকে রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা/সদস্য রাষ্ট্রীয় খেতাব পান।
মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অবদান:
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনী অসাধারণ বীরত্ব ও আত্মত্যাগের পরিচয়
দিয়েছে। স্বাধীনতার আন্দোলনের সূচনালগ্ন থেকেই পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশ
সদস্যরা।
- ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের কালরাতে
রাজশাহী ও রাজারবাগ পুলিশ
লাইনে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কনস্টেবল
মো. শাহজাহান মিয়া ওয়ারলেস বার্তায়
সারা দেশে পাক সেনাদের
আক্রমণের খবর ছড়িয়ে দেন,
যার ফলে অন্যান্য অঞ্চলেও
প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়।
- চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার এম এ সামসুল
হক-এর নেতৃত্বে পুলিশ
সদস্যরা স্থানীয় ইপিআর, সেনা ও মুক্তিকামী
জনতার সঙ্গে মিলে প্রতিরোধে অংশ
নেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা
জীবন বাজি রেখে পাক
সেনাদের মোকাবিলা করেছেন।
- ২৬–২৮ মার্চ সময়ে
রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাক সেনাদের ব্যাপক
হামলা হয়। ট্যাঙ্ক, মর্টার
শেল ও মেশিনগানের গোলায়
বহু পুলিশ সদস্য শহীদ হন। পুলিশ
বাহিনীর বহু সদস্যকে নির্মমভাবে
হত্যা করা হয়। তবুও
পুলিশের এই আত্মত্যাগ মুক্তিযুদ্ধের
ইতিহাসে অনন্য অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।
- মোট ৫৭৫ জন পুলিশ
সদস্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
খেতাবপ্রাপ্ত
পুলিশ সদস্যরা:
বীর বিক্রম (৩ জন):
১। মাহবুবউদ্দিন আহমেদ (এসডিপিও, ঝিনাইদহ);
২। তৌফিক আলী (পুলিশ কনস্টেবল);
৩। আব্দুল মান্নান (পুলিশ কনস্টেবল);
বীর প্রতীক (১ জন):
৪। মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (পুলিশ কনস্টেবল)।
উল্লেখ্য, বাংলাপিডিয়া অনুসারে, পুলিশ বাহিনী থেকে খেতাবপ্রাপ্তের সংখ্যা ৫ জন।

0
Updated: 8 hours ago
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কে?
Created: 6 days ago
A
জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা
B
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
C
আবদুল জলিল
D
আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দীর্ঘদিনের সংঘাত ও অস্থিরতা নিরসনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত হয়।
-
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জনসংহতি সমিতি)র মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
-
২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে।
-
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জনসংহতি সমিতির পক্ষে জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
-
এই চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপনের পথ সুগম হয় এবং সংঘাত প্রশমনের একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ সম্পন্ন হয়।

0
Updated: 6 days ago
“যেখানে আইন নেই সেখানে স্বাধীনতা থাকতে পারেনা”- উক্তিটি করেছেন -
Created: 2 weeks ago
A
জন ডাইসি
B
এরিস্টটল
C
জন লক
D
জন অস্টিন
আইন সম্পর্কিত বিখ্যাত উক্তি:
-
জন লক: “যেখানে আইন নেই সেখানে স্বাধীনতা থাকতে পারেনা।”
-
এরিস্টটল: “আইন হচ্ছে আবেগহীন যুক্তি।” / “আইন হলো আবেগ বিবর্জিত যুক্তি।”
-
জন অস্টিন: “আইন সার্বভৌম শাসকের আদেশ।”
-
অধ্যাপক ডাইসি: “আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান।”
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হোসেন।

0
Updated: 2 weeks ago
ভাষা শহিদ আবুল বরকত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
B
বাংলা
C
অর্থনীতি
D
ইতিহাস
শহীদ আবুল বরকত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এম.এ. ক্লাসের ছাত্র।
-
তিনি ১৯২৭ সালের ১৩ জুন (মতান্তরে ১৬ জুন) মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
ভারত বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে ঢাকায় আসেন।
-
১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন এবং এম.এ. শেষ পর্বে ভর্তি হন।
-
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভরত ছাত্র-জনতার উপর পুলিশের গুলিবর্ষণে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
-
এই ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং ভাষা আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ শহীদ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকেন।
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago