মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার আন্তর্জাতিক প্রচারণায় কোন শিল্পী বিশেষ ভূমিকা রাখেন?
A
জর্জ হ্যারিসন
B
জন লেনন
C
বব মার্লে
D
এলভিস প্রিসলি
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের খবর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসন বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
কনসার্ট ফর বাংলাদেশ:
-
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয় ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।
-
৪০ হাজারের বেশি মানুষ এই কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন।
-
যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী জর্জ হ্যারিসন এই কনসার্ট আয়োজন করেন এবং প্রাপ্ত অর্থ মুজিবনগর সরকারের কাছে তুলে দেন।
-
ভারতের খ্যাতিমান সেতারবাদক রবি শঙ্কর কনসার্ট আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন এবং তিনি মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে উজ্জীবিত করেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
কনসার্টের আয়োজকদের মধ্যে রবি শঙ্কর অন্যতম।
-
বাংলাদেশের জনগণের সাহায্যার্থে রবি শঙ্কর প্রথম যোগাযোগ করেন বিটলসের সদস্য জর্জ হ্যারিসনের সঙ্গে।
-
১৯৭১ সালের ১লা আগস্টের কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন পপ সঙ্গীতের সুপারস্টার বব ডিলান, জর্জ হ্যারিসন এবং এরিক ক্ল্যাপটন সহ আরও বিশিষ্ট শিল্পীরা।
0
Updated: 1 month ago
কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
সত্যজিৎ রায়
B
পন্ডিত যশরাজ
C
রবি শংকর
D
শাহ আব্দুল করিম
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক প্রচারে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ ছিল এক ঐতিহাসিক আয়োজন। এটি শুধু সঙ্গীতের অনুষ্ঠান ছিল না, বরং বিশ্ববাসীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের ন্যায্যতা তুলে ধরার একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছিল।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, প্রচারমাধ্যম ও কংগ্রেসের অনেক সদস্য বাংলাদেশের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন।
-
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার, চীন, ইরান ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম দেশ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।
-
মার্কিন শিল্পী, সাহিত্যিক ও অনেক রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেন।
-
পণ্ডিত রবি শংকরের উদ্যোগে এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
-
স্থান ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক।
-
অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।
-
এতে প্রায় ৪০,০০০ দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
-
বিশ্বখ্যাত শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন জর্জ হ্যারিসন, বব ডিলানসহ আরও অনেকে।
-
এই অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের পথও সুগম হয়।
0
Updated: 1 month ago
গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
বৈসাবি
B
ওয়ানগালা
C
রথযাত্রা
D
সাংগ্রাই
গারো জনগোষ্ঠী মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে। তারা নিজেদের পরিচয়ে বৈচিত্র্য বহন করে এবং ভাষা ও সংস্কৃতিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। তাদের সমাজে মাতৃতান্ত্রিক প্রথা ও বিশেষ উৎসব গুরুত্ব পায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নববর্ষ ও ধর্মীয় উৎসবও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
-
গারো জনগোষ্ঠী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করে।
-
ময়মনসিংহ ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা ও গাজীপুর জেলায় গারোদের বসবাস রয়েছে।
-
গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে উল্লেখ করে।
-
গারো ভাষায় ‘মান্দি’ শব্দের অর্থ হলো ‘মানুষ’।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হলো ‘ওয়ানগালা’।
অন্যদিকে,
-
বৈসাবি হলো বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি প্রধান আদিবাসী সম্প্রদায়—ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের নববর্ষের উৎসবের সম্মিলিত নাম।
-
রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া হলো আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব।
-
সাংগ্রাই হলো বাংলাদেশী মারমা ও রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসব।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধান রচনাকালীন এর ভাষাগত ত্রুটি দূর করার জন্য গঠিত কমিটির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
এম মনসুর আলী
B
আনিসুজ্জামান
C
ড. মুহম্মদ আবদুল হাই
D
উপরের সকলেই
খসড়া সংবিধান প্রস্তুতকরণ (Draft Constitution Preparation)
-
প্রক্রিয়া: খসড়া সংবিধান তৈরি একটি জটিল ও বহুস্তরীয় প্রক্রিয়া ছিল। বিভিন্ন সুপারিশ ও ব্যাপক আলোচনার পর ১৯৭২ সালের ১০ জুন সংবিধান প্রণয়ন কমিটি প্রাথমিক খসড়া অনুমোদন করে।
-
প্রস্তুতির আগে: কমিটির সভাপতি ও আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ভারত ও ইংল্যান্ড সফর করেন।
-
ভাষাগত ও শৈল্পিক যাচাই: সংবিধানের ভাষাগত গঠন, ব্যাকরণগত শুদ্ধতা ও শৈল্পিক সৌন্দর্য নিশ্চিত করতে তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়।
-
আহ্বায়ক: অধ্যাপক আনিসুজ্জামান (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান)
-
অন্য সদস্যরা:
-
ড. মযহারুল ইসলাম (বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক)
-
সৈয়দ আলী আহসান (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য)
-
-
0
Updated: 1 month ago