বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত বিধান উল্লেখ রয়েছে?
A
৫৮ অনুচ্ছেদ
B
৫৯ অনুচ্ছেদ
C
৬৯ অনুচ্ছেদ
D
৬৮ অনুচ্ছেদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের
সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত মৌলিক বিধান দেওয়া হয়েছে।
সংবিধানে
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিধান:
- বাংলাদেশের সংবিধানে তৃনমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য স্থানীয়
সরকারকে প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান এবং একই সাথে
জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
- বাংলাদেশের সংবিধানে স্থানীয় সরকার সম্পর্কে ৪টি অনুচ্ছেদ রয়েছে
(অনুচ্ছেদ ৯, ১১, ৫৯
এবং ৬০)।
- এসব অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা ও কার্যকারিতা বিষয়ে
সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।
⇒ অনুচ্ছেদ
৯: এই অনুচ্ছেদে স্থানীয়
সরকার প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করা এবং কৃষক,
শ্রমিক ও মহিলাদের জন্য
বিশেষ প্রতিনিধিত্বের কথা বলা হয়েছে।
⇒
অনুচ্ছেদ ১১: প্রশাসনের সকল
পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণের উপর জোর দেওয়া
হয়েছে।
⇒
অনুচ্ছেদ ৫৯: প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটের স্থানীয় শাসন নির্বাচিত ব্যক্তিদের
সমন্বয়ে গঠিত সংস্থাগুলির উপর
ন্যস্ত করার কথা বলা
হয়েছে।
⇒
অনুচ্ছেদ ৬০: স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্থানীয় প্রয়োজনে কর আরোপ করার
ক্ষমতাসহ বাজেট প্রস্তুতকরণ এবং নিজস্ব তহবিল
রক্ষনাবেক্ষণের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এ
অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।
৫৯।
(১) আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর
প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক এককাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা
হইবে।(২) এই সংবিধান
ও অন্য কোন আইন-সাপেক্ষে সংসদ আইনের দ্বারা
যেরূপ নির্দিষ্ট করিবেন, এই অনুচ্ছেদের (১)
দফায় উল্লিখিত অনুরূপ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান যথোপযুক্ত প্রশাসনিক এককাংশের মধ্যে সেইরূপ দায়িত্ব পালন করিবেন এবং
অনুরূপ আইনে নিম্নলিখিত বিষয়
সংক্রান্ত দায়িত্ব অন্তর্ভুক্ত হইতে পারিবে:
(ক)
প্রশাসন ও সরকারী কর্মচারীদের
কার্য;
(খ) জনশৃংখলা রক্ষা;
(গ) জনসাধারণের কার্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন-সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

0
Updated: 8 hours ago
লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ভাইসরয় হিসেবে কোন সিদ্ধান্ত ছিল সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য?
Created: 3 days ago
A
ভারতীয় রেল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা
B
উপমহাদেশের পুলিশ বাহিনী সংস্কার
C
উপমহাদেশের বিভক্তি এবং ক্ষমতা হস্তান্তর
D
ভারতীয় ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা
লর্ড মাউন্টব্যাটেন ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয়। তিনি ১৯৪৭ সালের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর গভর্নর জেনারেল হিসেবে কার্যকাল ১৯৪৭-এর আগস্ট থেকে ১৯৪৮-এর জুন পর্যন্ত চলেছিল, এই সময়ে তিনি ভারতীয় রাজন্যবর্গকে ভারতীয় ইউনিয়ন বা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হতে উদ্বুদ্ধ করেন।
-
ভাইসরয় হিসেবে সংক্ষিপ্ত কার্যকালে তিনি উপমহাদেশের বিভক্তি এবং ভারত ও পাকিস্তানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
-
স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
এই সময়ে ভারতীয় রাজন্যবর্গকে একীভূত বা পৃথক রাজ্য হিসেবে যুক্ত করতে উৎসাহিত করেন।
-
তিনি ১৯৭৯ সালের ২৭ আগস্ট আয়ারল্যান্ডের ডোনেগাল বে-তে তাঁর নৌযানে এক বিস্ফোরণে নিহত হন।
অন্যদিকে উপমহাদেশের বিভিন্ন আধুনিক প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন:
-
লর্ড ডালহৌসি: ভারতীয় রেল ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করেন।
-
লর্ড ক্যানিং: পুলিশ বাহিনী সংস্কারে বিশেষ অবদান রাখেন; ১৮৬১ সালে পুলিশ আইন প্রণয়ন করেন।
-
ওয়ারেন হেস্টিংস: ভারতীয় ডাক ব্যবস্থার সূচনা করেন।
উৎস:

0
Updated: 3 days ago
ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ কাকে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ উপাধি প্রদান করেছিলেন?
Created: 1 week ago
A
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
B
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
C
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
D
ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ
সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ 'সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ' উপাধি গ্রহণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং তাঁর শাসনকালে পূর্ব ও দক্ষিণ বঙ্গ তখন তার রাজ্যের বাইরে ছিল।
সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ:
-
১৩৫২ সালে ইলিয়াস শাহ সোনারগাঁও দখল করে দুই বাংলাকে একত্রিত করেন।
-
সোনারগাঁও অধিকার করার মাধ্যমে তিনি সারা বাংলার সুলতান হন।
-
তাঁর পূর্বে কোনো মুসলমান সুলতান এই গৌরব অর্জন করতে পারেননি।
-
ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ', 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' এবং 'সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ' উপাধিতে ভূষিত করেন।
উল্লেখযোগ্য:
-
১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের পুত্র এবং সোনারগাঁও-এর শাসক ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহকে পরাজিত করে পূর্ব বঙ্গে রাজ্য সম্প্রসারণ করেন।
-
লখনৌতি, সাতগাঁও এবং সোনারগাঁও অধিকার করার মাধ্যমে ইলিয়াস শাহ সমগ্র বাংলার একচ্ছত্র অধিপতি হন।
-
এই বিরল গৌরব পূর্বে কোনো মুসলমান শাসক অর্জন করতে পারেননি।
-
এ কারণে ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ' এবং 'সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ' উপাধিতে ভূষিত করেন।
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago
বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন কে?
Created: 2 days ago
A
টিক্কা খান
B
খাজা নাজিমুদ্দিন
C
ফিরোজ খান নুন
D
মোঃ নূরুল আমীন
ভাষা আন্দোলন:
- ভাষা আন্দোলন সময় পূর্ব বাংলার গভর্ণর ছিলেন ফিরোজ খান নুন।
- ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে খাজা নাজিমুদ্দিনের একটি উক্তি থেকে নতুন করে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়।
- ২৭ জানুয়ারি নাজিমুদ্দিন ঘোষণা দেন, 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু'।
- পূর্ববাংলা আইন পরিষদের অধিবেশনে ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় ভাষা প্রশ্নে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
- এই অধিবেশনের সরকারি কর্মকান্ডের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
- পরিস্থিতির লক্ষ করে সরকারি দল রাষ্ট্রভাষা বাংলা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে।
- কিন্তু এই বিলের ওপর এক সংশোধনী প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য কেন্দ্রের নিকট সুপারিশ করা হয়।
- এরপর বিধান সভা ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবী করা হয়।
- কিন্তু গভর্নর ফিরোজ খান নুনের
উৎস: ইতিহাস, এসএসএইচএল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 days ago