বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ কোথায় সংগঠিত হয়েছিল?
A
যশোর
B
গাজীপুর
C
টাঙ্গাইল
D
মেহেরপুর
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসেই গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। এই প্রতিরোধ মূলত ঢাকার উত্তরে অবস্থানরত অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালির উদ্যোগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছিল।
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ:
-
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই জয়দেবপুরে (বর্তমান গাজীপুর) বাঙালি ছাত্র-জনতা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
-
পাকিস্তানি বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যদের সঙ্গে রাস্তায় আন্দোলনকারীদের দেখা পেয়ে অস্ত্র জমা দেওয়ার আশা ত্যাগ করে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছিলেন।
-
ছাত্র-জনতা জয়দেবপুরের রেলক্রসিং এলাকা ও চান্দনা চৌরাস্তায় তাদের বাধা দেন।
-
পাকিস্তানি বাহিনী গুলি চালালে ছাত্র-জনতা সশস্ত্র প্রতিরোধে নেমে আসে।
-
গুলিতে শহীদ হন হুরমত, নিয়ামত, কানু মিয়া ও মনু খলিফা, আহত হন আরও অনেকে।
-
এর ধারাবাহিকতায় শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম। তখন স্লোগান ওঠে: ‘জয়দেবপুরের পথ ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’।
-
পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ।
বিশেষ তথ্য:
-
১৯ মার্চের বীরত্বকে অমর করে রাখতে ১৯৭২-১৯৭৩ সালে গাজীপুরের চৌরাস্তায় একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়।
-
‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ নামের এই ভাস্কর্য হলো মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য।
0
Updated: 1 month ago
খিলাফত আন্দোলনে নেতৃত্ব কে দেন?
Created: 1 month ago
A
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
D
বর্ণিত সবাই
খিলাফত আন্দোলন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামিক আন্দোলন যা ভারতের মুসলমান সমাজে ১৯২০ সালের দিকে শুরু হয়। এটি মূলত তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির মাধ্যমে তুরস্কের ভূমি ভাগাভাগির প্রতিক্রিয়ায়। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবও এতে ভূমিকা রাখে। আন্দোলনের সময় মুসলমানরা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছিল, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাদের খলিফার প্রতি আনুগত্য ছিল, আবার রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হতো।
-
খিলাফত আন্দোলন শুরু হয় ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির প্রতিক্রিয়ায়, যেখানে তুরস্কের ভূমি ভাগ করা হয়।
-
এটি ভারতের মুসলমানদের মধ্যে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত একটি প্যান-ইসলামিক আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান ব্রিটিশ বিরোধী শক্তি জার্মানির সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় বিব্রত হয়।
-
ধর্মীয় কারণে তারা খলিফার প্রতি আনুগত্যপূর্ণ, আর রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার চাপ অনুভব করেছিল।
-
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নাটোর জেলায় পাহাড়পুরে সোমপুর বিহারটি নির্মাণ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
দেবপাল
B
ধর্মপাল
C
মহীপাল
D
গোপাল
সোমপুর বিহার বা পাহাড়পুর মহাবিহার বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার, যা বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটি পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল অষ্টম শতকের শেষের দিকে নির্মাণ করান। মূল ভবনে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য ১৭৭টি কক্ষ ছিল এবং এখানে ৮০০ জন ভিক্ষু থাকার সক্ষমতা ছিল। বিহারের ১২৫নং কক্ষে মাটির পাত্রে খলিফা হারুন-অর-রশিদের শাসনামলের রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া যায়।
-
পূর্বভারতে জরিপ কাজের সময় ১৮০৭ ও ১৮১২ সালে বুকানন হ্যামিল্টন প্রথম এ প্রত্নস্থল পরিদর্শন করেন।
-
পরবর্তীতে ওয়েস্টম্যাকট পাহাড়পুর পরিভ্রমণে আসেন।
-
১৮৭৯ সালে সার আলেকজান্ডার কানিংহাম স্থানটি পরিদর্শন করেন এবং ২২ ফুট বর্গাকার একটি ইমারত আবিষ্কার করেন।
-
১৯০৯ সালের পুরাকীর্তি আইনের আওতায় ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ ১৯১৯ সালে এটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
-
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
অজয় বঙ্গ বিশ্বব্যাংকের কততম প্রেসিডেন্ট?
Created: 1 month ago
A
১২তম
B
১৩তম
C
১৪তম
D
১৫তম
বিশ্বব্যাংক (World Bank) হলো আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক (IBRD) এর নামেই পরিচিত।
-
প্রতিষ্ঠা: ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৪৫
-
কার্যক্রম শুরু: জুন, ১৯৪৬
-
প্রারম্ভিক সদস্য: ৩৮টি দেশ
-
বর্তমান সদস্য: ১৮৯টি দেশ
-
সর্বশেষ সদস্য: নাউরু
-
সদরদপ্তর: ওয়াশিংটন ডি.সি., যুক্তরাষ্ট্র
-
প্রধান অঙ্গসংস্থা: ৫টি
বর্তমান প্রেসিডেন্ট – অজয় বঙ্গ:
-
পদ: ১৪তম প্রেসিডেন্ট
-
নিয়োগ: ২০২৩ সালে পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য
-
পূর্ব কর্মজীবন: ভিসা ও মাস্টারকার্ডের CEO
-
অন্যান্য দায়িত্ব: দ্য সাইবার রেডিনেস ইনস্টিটিউটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, নিউ ইয়র্ক ইকোনমিক ক্লাবের ভাইস চেয়ারম্যান
-
বিঃদ্রঃ: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সবসময় মার্কিন নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা মনোনীত হয়ে থাকে
0
Updated: 1 month ago