মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র-
A
স্ফিগমোম্যানোমিটার
B
স্টেথস্কোপ
C
কার্ডিওগ্রাফ
D
ইকোকার্ডিওগ্রাফ
উত্তরের বিবরণ
হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের কারণে রক্ত যখন ধমনির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন ধমনিপ্রাচীরে যে চাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলা হয়।
-
সাধারণত রক্তচাপ বলতে ধমনির রক্তচাপকেই বোঝানো হয়।
-
যখন হৃৎপিণ্ড সঙ্কুচিত অবস্থায় থাকে (সিস্টোল), তখন ধমনিতে যে উচ্চ চাপ থাকে তাকে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়।
-
আর যখন হৃৎপিণ্ড বিশ্রামে থাকে (ডায়াস্টোল), তখন ধমনিতে যে নিম্ন চাপ থাকে তাকে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলে।
-
রক্তচাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র হলো স্ফিগমোম্যানোমিটার।
অন্যদিকে,
-
হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের শব্দ শোনা ও নির্ণয়ের যন্ত্র হল স্টেথোস্কোপ।
-
আর হৃৎপিণ্ডের গতি নির্ণয়ের যন্ত্র হলো কার্ডিওগ্রাফ।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
বেকিং সোডা ব্যবহার করে তাপ দিলে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয় যা কেক বা পাউরুটিকে ফুলিয়ে তোলে?
Created: 1 week ago
A
হাইড্রোজেন
B
অক্সিজেন
C
কার্বন ডাই-অক্সাইড
D
নাইট্রোজেন
প্রাত্যহিক জীবনে এসিডের ব্যবহার
-
বোলতা বা বিচ্ছুর হুলের জ্বালা নিবারণ
-
বোলতা ও বিচ্ছুর হুলে থাকে হিস্টামিন, যা এক ধরনের ক্ষারক পদার্থ।
-
এতে প্রচণ্ড জ্বালা করে। এসিড বা এসিডজাতীয় মলম (যেমন ভিনেগার) ব্যবহার করলে ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া হয়ে তা নিষ্ক্রিয় হয় এবং জ্বালা কমে যায়।
-
-
খাবার হজমে সহায়তা
-
পাকস্থলীতে হজমের জন্য হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) প্রয়োজন।
-
মাংস, বিরিয়ানি ইত্যাদি গুরুপাক খাবারের পর কোমল পানীয় (যা হালকা এসিডিক) পান করলে হজমে সহায়তা করে।
-
-
ফলমূলের জৈব এসিড
-
লেবু, কমলা, আপেল, পেয়ারা, আমলকীতে বিভিন্ন জৈব এসিড থাকে।
-
ভিটামিন C (অ্যাসকরবিক এসিড) ক্ষত সারাতে সাহায্য করে, আর এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
-
-
আচার সংরক্ষণ
-
আম, জলপাই প্রভৃতি আচারে ভিনেগার (অ্যাসিটিক এসিড, CH₃COOH) ব্যবহার করা হয়।
-
-
দই ও বোরহানি
-
দই ও বোরহানিতে থাকা ল্যাকটিক এসিড হজমে সাহায্য করে।
-
-
বেকিংয়ে ব্যবহার
-
বেকিং সোডা তাপে ভেঙে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে।
-
এই গ্যাস কেক, বিস্কুট ও পাউরুটি ফুলিয়ে তোলে।
-
-
পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার
-
টয়লেট পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত ক্লিনারে থাকে শক্তিশালী এসিড যেমন: HCl, HNO₃, H₂SO₄।
-
-
ব্যাটারি ও বিদ্যুৎ সংরক্ষণে
-
সৌরবিদ্যুৎ, আইপিএস ও গাড়ির ব্যাটারিতে সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄) ব্যবহার হয়।
-
-
সার উৎপাদনে এসিড
-
সার তৈরিতে ব্যবহৃত যৌগ:
-
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH₄NO₃) → নাইট্রিক এসিড (HNO₃) দিয়ে
-
অ্যামোনিয়াম সালফেট ((NH₄)₂SO₄) → সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄) দিয়ে
-
অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH₄)₃PO₄) → ফসফরিক এসিড (H₃PO₄) দিয়ে
-
-
-
এসিডের ক্ষতিকর প্রভাব
-
এসিড কাপড়ে পড়লে কাপড় পুড়ে যায় বা ছিদ্র হয়ে যায়।
-
ধাতব পদার্থকেও ক্ষয় করে।
-
শরীরে এসিড পড়লে সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
-
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein) কী ধরনের প্রোটিন?
Created: 1 week ago
A
অসম্পূর্ণ প্রোটিন
B
দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
C
সম্পূর্ণ প্রোটিন
D
উচ্চ ঘনত্ববিশিষ্ট প্রোটিন
প্রোটিন (Protein)
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘প্রোটিন’ শব্দটি গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ (Proteios) থেকে এসেছে, যার অর্থ “সর্বপ্রথম অবস্থান”।
-
যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সেখানে প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রোটিন ছাড়া কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।
-
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় জগতেই প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান।
-
সব প্রোটিনই কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N) দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালফার, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদিও যুক্ত থাকে।
-
প্রোটিনকে ক্ষুদ্র অংশে ভাঙলে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এবং শেষে মৌলিক উপাদান যেমন C, H, O, N ইত্যাদি পাওয়া যায়।
🔹 প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ
উৎস অনুযায়ী
১. প্রাণিজ প্রোটিন → প্রাণিজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
২. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন → উদ্ভিদজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: ডাল, বাদাম, সয়াবিন, সিমের বিচি।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের ভিত্তিতে
১. সম্পূর্ণ বা প্রথম শ্রেণির প্রোটিন
-
যেসব প্রোটিনে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক অনুপাতে থাকে।
-
উদাহরণ: মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন।
২. আংশিক পূর্ণ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পর্যাপ্ত অনুপাতে থাকে না, ফলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
-
উদাহরণ: চাল, ডাল, আটা, বাদাম, আলু ইত্যাদি।
-
যেমন: ডালে মেথিওনিন, আর চালে লাইসিন কম থাকে।
৩. অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যথেষ্ট পরিমাণে নেই।
-
উদাহরণ: ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein)।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
HCl (aq) + NaOH (aq) → NaCl (aq) + H2O (l) কোন ধরণের বিক্রিয়া?
Created: 1 week ago
A
বিয়োজন বিক্রিয়া
B
দহন বিক্রিয়া
C
পানি যোজন বিক্রিয়া
D
প্রশমন বিক্রিয়া
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকারভেদ
1️⃣ প্রশমন বিক্রিয়া (Neutralization Reaction)
-
সংজ্ঞা: এসিড এবং ক্ষার দ্রবণ মিশলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যার ফলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
-
প্রক্রিয়া:
-
এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) প্রদান করে।
-
ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH⁻) প্রদান করে।
-
H⁺ এবং OH⁻ যুক্ত হয়ে পানি (H₂O) তৈরি করে।
-
-
উদাহরণ:
2️⃣ পানি যোজন বিক্রিয়া (Hydration Reaction)
-
সংজ্ঞা: আয়নিক যৌগের কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক পানির অণু সংযুক্ত হওয়া।
-
পানি কেলাস: কেলাসে যুক্ত থাকা পানি।
3️⃣ বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)
-
সংজ্ঞা: সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত।
-
প্রক্রিয়া: যৌগের অণু ভেঙ্গে এক বা একাধিক মৌল বা যৌগে পরিণত হয়।
-
উদাহরণ:
4️⃣ দহন বিক্রিয়া (Combustion Reaction)
-
সংজ্ঞা: কোনো মৌল বা যৌগকে বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে জ্বালিয়ে, তা অক্সাইডে রূপান্তরিত করা।
-
উদাহরণ:
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago