তামার সাথে নিচের কোনটি মেশালে পিতল হয়?
A
নিকেল
B
টিন
C
সিসা
D
দস্তা (জিঙ্ক)
উত্তরের বিবরণ
সংকর ধাতু, এমন ধাতু যেগুলো এক বা একাধিক ধাতু বা অধাতুর সঙ্গে মিশ্রিত করে তৈরি করা হয়। এই মিশ্রণে প্রধানত একটি ধাতু প্রধান হিসেবে থাকে, আর বাকিগুলো অপ্রধান ধাতু বা অধাতু হিসেবে যোগ করা হয়।
সাধারণত সংকর ধাতু তৈরিতে সব ধাতুকে সমান পরিমাণে মেশানো হয় না। সংকর ধাতুর নামকরণ প্রধান ধাতুর নাম অনুসারে করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, পিতল হলো কপার ও জিংকের সংকর ধাতু, যেখানে কপার প্রধান ধাতু হিসেবে প্রায় ৬৫% এবং জিংক অপ্রধান হিসেবে ৩৫% থাকে। এজন্য পিতলকে কপারের সংকর ধাতু বলা হয়। স্টিলের ক্ষেত্রে লোহা প্রধান ধাতু (প্রায় ৯৯%) এবং কার্বন অপ্রধান অধাতু (প্রায় ১%) থাকে, তাই স্টিলকে লোহার সংকর ধাতু হিসেবে গণ্য করা হয়।
অন্যদিকে, কাঁসা বা ব্রোঞ্জ কপার ও টিনের সংকর ধাতু, যেখানে কপার থাকে ৯০% এবং টিন থাকে ১০%। সুতরাং, কপারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংকর ধাতু হলো পিতল (ব্রাস) ও কাঁসা (ব্রোঞ্জ)।
উৎস: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 3 months ago
টেস্টিং সল্ট-এর রাসায়নিক নাম কি?
Created: 3 months ago
A
সোডিয়াম বাইকার্বোনেট
B
সোডিয়াম গ্লুটামেট
C
পটাশিয়াম বাইকার্বোনেট
D
সোডিয়াম মনোগ্লুটামেট
সাধারণভাবে আমরা যে খাবার লবণ ব্যবহার করি, তার রাসায়নিক নাম হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। এর পাশাপাশি আরও এক ধরনের লবণ রয়েছে,
যা "টেস্টিং সল্ট" নামে পরিচিত এবং যার রাসায়নিক নাম মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট (MSG)। এটি খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে শুকনো খাবার যেমন পাউরুটি ও চানাচুরে।
এছাড়া আর্দ্র সোডিয়াম সালফেট একটি বিশেষ ধরনের লবণ, যা গ্লুবার লবণ নামে পরিচিত। অপরদিকে, সোডিয়াম থায়োসালফেট কে সাধারণভাবে হাইপো নামে ডাকা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি [২০১৯ সংস্করণ]।
0
Updated: 3 months ago
রেডিও আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়-
Created: 3 months ago
A
কিডনির পাথর গলাতে
B
পিত্তপাথর গলাতে
C
গলগণ্ড রোগ নির্ণয়ে
D
নতুন পরমাণু তৈরিতে
কিছু আইসোটোপের নিউক্লিয়াস স্বাভাবিকভাবে স্থিতিশীল না হওয়ায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।
এই ধরনের অস্থিতিশীল নিউক্লিয়াস থেকে বিভিন্ন ধরনের কণা এবং কখনো কখনো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রশ্মি নির্গত হয়। এমন অস্থির প্রকৃতির আইসোটোপকে রেডিওআইসোটোপ (radioisotope) বলা হয়।
রেডিওআইসোটোপ চিকিৎসাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদাহরণস্বরূপ, আয়োডিন-১৩১ (Iodine-131) নামক একটি রেডিওআইসোটোপ রয়েছে যার অর্ধায়ু (half-life) প্রায় ৮ দিন। এটি থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা নিরীক্ষণ, গলগণ্ড ও থাইরয়েড ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং মস্তিষ্ক ও যকৃতের টিউমার শনাক্তে ব্যবহৃত হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান (নবম-দশম শ্রেণি), বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং Britannica Encyclopedia
0
Updated: 3 months ago
সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল কোনটি?
Created: 1 month ago
A
দুর্বল নিউক্লীয় বল
B
মহাকর্ষ বল
C
সবল নিউক্লীয় বল
D
তড়িৎ চৌম্বক বল
বল (Force)
-
সংজ্ঞা: যে বস্তু স্থির অবস্থায় থাকা অন্য কোনো বস্তুকে গতি দিতে চায় বা করতে সক্ষম, অথবা যে বস্তু গতিশীল তার গতিতে পরিবর্তন আনে, তাকে বল বলে।
-
বল সবসময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে।
-
প্রকৃতিতে মোট চার ধরনের মৌলিক বল আছে:
১) মহাকর্ষ বল
২) তড়িৎ-চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল
৩) দুর্বল নিউক্লীয় বল
৪) সবল নিউক্লীয় বল
1️⃣ মহাকর্ষ বল (Gravitational Force)
-
সংজ্ঞা: সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে আকর্ষণ করে, সেটি মহাকর্ষ বল।
-
উদাহরণ:
-
গ্যালাক্সির মধ্যে নক্ষত্র ঘোরে।
-
সূর্যকে ঘিরে পৃথিবী এবং পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদ ঘোরে।
-
-
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে মধ্যাকর্ষণ বল বলা হয়।
-
এটি মানুষকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টানে, যার ফলে আমরা ওজন অনুভব করি।
-
যেকোনো ভরযুক্ত বস্তু অন্য বস্তুকে মহাকর্ষ বল প্রয়োগ করে।
2️⃣ তড়িৎ-চৌম্বক বল (Electromagnetic Force)
-
দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরকে যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করে, সেটি তড়িৎ-চৌম্বক বল।
3️⃣ দুর্বল নিউক্লীয় বল (Weak Nuclear Force)
-
এটি তড়িৎ-চৌম্বক বলের তুলনায় প্রায় ট্রিলিয়ন গুণ দুর্বল, কিন্তু মহাকর্ষ বলের তুলনায় দুর্বল নয়।
-
মহাকর্ষ ও তড়িৎ-চৌম্বক বল দূরত্বের বড় পরিসরে কাজ করতে পারে, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বল খুবই অল্প দূরত্বে (~10⁻¹⁸ মিটার) কার্যকর।
4️⃣ সবল নিউক্লীয় বল (Strong Nuclear Force)
-
এটি সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল।
-
তড়িৎ-চৌম্বক বলের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বলের মতো খুব অল্প (~10⁻¹⁵ মিটার) দূরত্বে কাজ করে।
-
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো ও তাপ এই বলের কারণে উৎপন্ন হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago