যুক্তরাজ্যে আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম-
A
হাউস অব কমন্স
B
সিনেট
C
হাউস অব লর্ডস
D
হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ
উত্তরের বিবরণ
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট:
-
রূপ: দুইকক্ষবিশিষ্ট
-
উচ্চকক্ষ: হাউস অব লর্ডস (House of Lords)
-
সদস্য সংখ্যা: ৭৯৩ জন
-
-
নিম্নকক্ষ: হাউস অব কমন্স (House of Commons)
-
সদস্য নির্বাচন: জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে
-
মেয়াদ: ৫ বছর
-
আসনের সংখ্যা: ৬৫০
-
-
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস:
-
নিম্নকক্ষ: হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস (House of Representatives)
-
সদস্য সংখ্যা: ৪৩৫ জন
-
-
উচ্চকক্ষ: সিনেট (Senate)
-
সদস্য সংখ্যা: ১০০ জন (প্রতি রাজ্য থেকে ২ জন করে)
-
তুলনামূলক বিষয়:
-
উভয় দেশেই দুইকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে।
-
যুক্তরাজ্যে নিম্নকক্ষের নির্বাচন সরাসরি জনগণের মাধ্যমে হয়, হাউস অব লর্ডস প্রধানত নিয়োগ বা উত্তরাধিকার ভিত্তিক।
-
যুক্তরাষ্ট্রে উভয় কক্ষই নির্বাচিত; হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস জনগণের দ্বারা সরাসরি এবং সিনেট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হলেও (বর্তমানে সরাসরি ভোটে)।
0
Updated: 1 month ago
Comprehensive Test Ban Treaty (CТВТ) কোন সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৯২ সালে
B
১৯৯৭ সালে
C
১৯৯৫ সালে
D
১৯৯৬ সালে
Comprehensive Test Ban Treaty (CTBT) হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা বা যে কোনো পারমাণবিক বিস্ফোরণের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
-
চুক্তি গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে।
-
বাস্তবায়নের জন্য CTBTO (Comprehensive Nuclear-Test-Ban Treaty Organization) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা গ্লোবাল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে পারমাণবিক পরীক্ষার নজরদারি চালায়।
-
বাংলাদেশ CTBT-তে স্বাক্ষর করেছে এবং অনুমোদন দিয়েছে।
-
চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ১৮৫টি দেশ, অনুমোদন করেছে ১৭১টি দেশ।
-
এখনও আটটি দেশ চুক্তি অনুমোদন করেনি, যেমন: যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, পাকিস্তান।
-
চুক্তি কার্যকর হওয়ার জন্য P5 (পাঁচটি স্থায়ী নিরাপত্তা পরিষদ সদস্য) সহ ৪৪টি নির্দিষ্ট দেশের অনুমোদন প্রয়োজন।
-
বাংলাদেশ CTBT স্বাক্ষর করেছে ২৪ অক্টোবর, ১৯৯৬ সালে (দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম)।
-
বাংলাদেশ চুক্তি অনুমোদন করেছে ৮ মার্চ, ২০০০ সালে, ৫৪তম দেশ হিসেবে।
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন কত সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করে?
Created: 4 weeks ago
A
১৯৭৮ সালে
B
১৯৮৬ সালে
C
১৯৮৮ সালে
D
১৯৯৮ সালে
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন (United Nations Peacekeeping Mission):
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং মানবিক সহায়তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
প্রথম শান্তিরক্ষা মিশন:
১৯৪৮ সালের প্রথম আরব–ইসরাইল যুদ্ধ-এর প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের প্রথম শান্তিরক্ষা মিশন গঠিত হয়, যার নাম ছিল “United Nations Truce Supervision Organization (UNTSO)”। এই মিশন মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রবিরতি তদারকি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে।
নোবেল পুরস্কার:
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনকে তাদের অসাধারণ আন্তর্জাতিক অবদান ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকার জন্য ১৯৮৮ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান লক্ষ্য:
-
সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা।
-
সশস্ত্র বিরোধী পক্ষদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা।
-
মানবাধিকার রক্ষা ও সংঘাতপ্রবণ জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
-
রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পরিচালনা ও নির্বাচনী সহায়তা প্রদান।
-
যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় অবকাঠামো পুনর্গঠন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান।
বর্তমানে চলমান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসমূহ (১১টি):
১. MINURSO – পশ্চিম সাহারা
২. MINUSCA – মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
৩. MONUSCO – গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
৪. UNDOF – গোলান হাইটস
৫. UNFICYP – সাইপ্রাস
৬. UNIFIL – লেবানন
৭. UNISFA – আবিয়েই (সুদান-দক্ষিণ সুদান সীমান্ত এলাকা)
৮. UNMIK – কসোভো
৯. UNMISS – দক্ষিণ সুদান
১০. UNMOGIP – ভারত ও পাকিস্তান (কাশ্মীর অঞ্চল)
১১. UNTSO – মধ্যপ্রাচ্য
মূল তাৎপর্য:
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন বিশ্বব্যাপী শান্তি, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের রক্ষায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা আজও বহু দেশে স্থিতিশীলতা ও পুনর্গঠনের কাজ পরিচালনা করছে।
0
Updated: 4 weeks ago
কোন চুক্তির মাধ্যমে Thirty years' war শেষ হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
ভার্সাই চুক্তি
B
লুজান চুক্তি
C
প্যারিস চুক্তি
D
ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি
ত্রিশ বছরের যুদ্ধ ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের সিরিজ, যা ধর্মীয়, রাজবংশীয়, আঞ্চলিক এবং বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাসহ নানা কারণে ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রে সংঘটিত হয়।
-
যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক অভিযান ইউরোপের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।
-
যুদ্ধ শেষ হয় ১৬৪৮ সালে ওয়েস্টফালিয়া চুক্তির মাধ্যমে, যা ইউরোপের মানচিত্রকে অপরিবর্তনীয়ভাবে পরিবর্তন করে।
ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি:
-
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৬৪৮ সালে, স্থান: ওয়েস্টফেলিয়া, জার্মানি।
-
স্বাক্ষরিত হয় প্রোটেস্ট্যান্ট ও রোমান ক্যাথলিকদের মধ্যে।
-
চুক্তির মাধ্যমে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের ত্রিশ বছরের যুদ্ধ এবং স্পেন ও ডাচ প্রজাতন্ত্রের মধ্যে আশি বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটে।
-
এটি ইউরোপের আর্থ-সামাজিক, ধর্ম এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি পুনঃসংগঠিত করার ভিত্তি স্থাপন করে।
0
Updated: 1 month ago