মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র-
A
স্ফিগমোম্যানোমিটার
B
স্টেথস্কোপ
C
কার্ডিওগ্রাফ
D
ইকোকার্ডিওগ্রাফ
উত্তরের বিবরণ
হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের কারণে রক্ত যখন ধমনির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন ধমনিপ্রাচীরে যে চাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলা হয়।
-
সাধারণত রক্তচাপ বলতে ধমনির রক্তচাপকেই বোঝানো হয়।
-
যখন হৃৎপিণ্ড সঙ্কুচিত অবস্থায় থাকে (সিস্টোল), তখন ধমনিতে যে উচ্চ চাপ থাকে তাকে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়।
-
আর যখন হৃৎপিণ্ড বিশ্রামে থাকে (ডায়াস্টোল), তখন ধমনিতে যে নিম্ন চাপ থাকে তাকে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলে।
-
রক্তচাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র হলো স্ফিগমোম্যানোমিটার।
অন্যদিকে,
-
হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের শব্দ শোনা ও নির্ণয়ের যন্ত্র হল স্টেথোস্কোপ।
-
আর হৃৎপিণ্ডের গতি নির্ণয়ের যন্ত্র হলো কার্ডিওগ্রাফ।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 3 months ago
ডেঙ্গু জ্বরের বাহক-
Created: 3 months ago
A
অ্যানোফিলিস
B
কিউলেক্স
C
এডিস
D
সকল ধরনের মশা
ডেঙ্গু:
• এডিস মশা ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বহন করে।
• ডেঙ্গু জ্বরের বাহক মশার নাম Aedes aegypti.
• এছাড়াও এডিস এলবোপিকটাস মশার কামড়েও ডেঙ্গু রোগ ছড়াতে পারে।
• এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়।
ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ:
- জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যাথা এবং চর্মে ফুসকুড়ি।
- দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে যাকে ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর বলা হয়। এর ফলে রক্তপাত হয়, রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা দেয়।
- ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।
উৎস: জীববিজ্ঞান-২য় পত্র (প্রাণিবিজ্ঞান), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি এবং WHO ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago
তাপ পরিমাপের যন্ত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ভোল্টমিটার
B
থার্মোমিটার
C
ক্যালরিমিটার
D
অ্যামিটার
তাপ (Heat) এবং তাপমাত্রা (Temperature)
1️⃣ তাপ (Heat)
-
সংজ্ঞা: বস্তুর বা পদার্থের অণুসমূহের অভ্যন্তরস্থ গতির সঙ্গে সম্পর্কিত শক্তি, যা ঠান্ডা ও গরমের অনুভূতি সৃষ্টি করে।
-
এস.আই একক: জুল (J)
-
অন্যান্য একক: ক্যালরি (Cal), যা বিশেষ করে পুষ্টি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।
-
পরিমাপের যন্ত্র: ক্যালরিমিটার
-
বৈশিষ্ট্য:
-
তাপের প্রবাহ তাপের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না।
-
দুটি বস্তুর তাপ সমান হলেও, তাদের তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে।
-
2️⃣ তাপমাত্রা (Temperature)
-
সংজ্ঞা: বস্তুর তাপীয় অবস্থা, যা এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে তাপ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
এস.আই একক: কেলভিন (K)
-
প্রচলিত একক: সেলসিয়াস (°C) ও ফারেনহাইট (°F)
-
পরিমাপের যন্ত্র: থার্মোমিটার
-
বৈশিষ্ট্য:
-
তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে তাপের প্রবাহ।
-
দুটি বস্তুর তাপমাত্রা সমান হলেও, তাতে থাকা তাপের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।
-
3️⃣ অন্যান্য পরিমাপ যন্ত্র
-
থার্মোমিটার → তাপমাত্রা পরিমাপ করে
-
ভোল্টমিটার → বিভব পার্থক্য (Voltage) পরিমাপ করে
-
অ্যামিটার → বিদ্যুৎ প্রবাহ (Current) পরিমাপ করে
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি রক্তরসের জৈব পদার্থ?
Created: 1 month ago
A
ক্যালসিয়াম
B
লেসিথিন
C
আয়োডিন
D
সোডিয়াম
রক্তরস বা প্লাজমা
-
রক্তের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে।
-
রক্তরসের প্রায় ৯০% পানি, আর বাকি ১০% জৈব ও অজৈব পদার্থ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।
অজৈব পদার্থ
-
বিভিন্ন খনিজ পদার্থের আয়ন যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, আয়োডিন।
-
গ্যাসীয় পদার্থ যেমন: O₂, CO₂, N₂।
জৈব পদার্থ
১. খাদ্যসার → গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন।
২. রেচন পদার্থ → ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন।
৩. প্রোটিন → ফাইব্রিনোজেন, গ্লোবিউলিন, অ্যালবুমিন, প্রোথ্রম্বিন।
৪. প্রতিরক্ষামূলক পদার্থ → অ্যান্টিটক্সিন, অ্যাগ্লুটিনিন।
৫. হরমোন → অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোন।
৬. অন্যান্য যৌগ → কোলেস্টেরল, লেসিথিন, বিলিরুবিন ইত্যাদি।
রক্তরসের কাজ
-
খাদ্যসারকে রক্তকোষসহ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহণ করা।
-
টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে বৃক্কে পৌঁছে দেওয়া।
-
শ্বসনকালে কোষ থেকে উৎপন্ন CO₂ কে বাইকার্বনেট আকারে ফুসফুসে বহন করা।
-
রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পরিবহণ করা।
-
হরমোন, এনজাইম, লিপিড ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া।
-
রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখা।
উৎস: বিজ্ঞান (নবম–দশম শ্রেণি)
0
Updated: 1 month ago