"উদয়াস্ত পরিশ্রম করব, তথাপি অন্যের দ্বারস্থ হব না।" বাক্যটি কোন ধরনের?
A
সরল
B
যৌগিক
C
জটিল
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
যৌগিক বাক্য:
- পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত নিরপেক্ষ বাক্যগুলো এবং, ও, কিন্তু, অথবা, অথচ, কিংবা, বরং, তথাপি প্রভৃতি অব্যয় যোগে সংযুক্ত বা সমন্বিত থাকে।
যেমন
- নেতা জনগণকে উৎসাহিত করলেন বটে, কিন্তু, কোনো পথ দেখাতে পারলেন না।
- বস্ত্র মলিন কেন, কেহ জিজ্ঞাসা করিলে সে ধোপাকে গালি পাড়ে, অথচ ধৌত বস্ত্রে তাহার গৃহ পরিপূর্ণ।
- উদয়াস্ত পরিশ্রম করব, তথাপি অন্যের দ্বারস্থ হব না।
0
Updated: 1 month ago
অনুবাদের পারদর্শিতা কীসের ওপর নির্ভরশীল?
Created: 1 month ago
A
পড়াশোনার ওপর
B
ভাষান্তরের ওপর
C
নির্ধারণের ওপর
D
অভ্যাসের ওপর
অনুবাদের পারদর্শিতা বা দক্ষতা কেবল পড়াশোনা বা ভাষান্তরের জ্ঞান দিয়ে হয় না। নিয়মিত অনুশীলন ও অভ্যাসের মাধ্যমেই একজন অনুবাদক ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে ওঠে।
যত বেশি অনুবাদ করা হয়, তত বেশি শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়, বাক্যগঠন ও ভাবান্তরের কৌশল আয়ত্তে আসে। তাই অনুবাদের ক্ষেত্রে অভ্যাসই পারদর্শিতা অর্জনের প্রধান শর্ত।
0
Updated: 1 month ago
বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
কারক
B
পদ
C
অক্ষর
D
প্রত্যয়
বাংলা ভাষার ব্যাকরণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে বোঝা জরুরি। নিচে সেগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
-
পদ হলো বিভক্তিযুক্ত শব্দ। অর্থাৎ, কোনো শব্দে বিভক্তি যুক্ত হলেই তা পদ হিসেবে গণ্য হয়।
-
বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দেই বিভক্তি থাকে।
-
যেসব শব্দে বিভক্তি প্রকাশ পায় না, সেখানে শূন্য বিভক্তি বিদ্যমান থাকে। তাই বাক্যের প্রতিটি শব্দই পদ।
-
পদ প্রধানত দুই ধরনের হয়— সব্যয় পদ ও অব্যয় পদ।
-
কারক হলো ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক।
-
কারক সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে সাধারণত বিভক্তি ও অনুসর্গ যোগ হয়।
-
অক্ষর (ইংরেজি নাম: syllable) হলো অল্প প্রয়াসে একবারে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ। তাই একে শব্দাংশও বলা হয়।
-
প্রত্যয় হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার নিজস্ব লিপি কোনটি?
Created: 1 week ago
A
সংস্কৃত
B
হিন্দি
C
বাংলা
D
উর্দু
বাংলা ভাষার নিজস্ব লিপি হলো বাংলা লিপি, যা বাংলা ভাষার ধ্বনি ও শব্দকে লিখিতভাবে প্রকাশ করে। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ লিপি। বাংলা লিপি সময়ের সঙ্গে বিকশিত হয়ে আজকের আধুনিক রূপ পেয়েছে, যা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ বিশ্বের বহু বাংলা ভাষাভাষীর যোগাযোগ ও সাহিত্যচর্চার মূল মাধ্যম। বাংলা লিপি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিচে তুলে ধরা হলো—
-
উৎপত্তি: বাংলা লিপির উৎপত্তি ব্রাহ্মী লিপি থেকে। খ্রিষ্টীয় নবম থেকে দশম শতাব্দীতে পূর্ব ভারতের গৌড় অঞ্চলে বাংলা লিপির প্রাথমিক রূপ গড়ে ওঠে। এটি প্রথমে ‘গৌড়ীয় লিপি’ নামে পরিচিত ছিল, যা পরবর্তীতে বাংলা লিপিতে রূপান্তরিত হয়।
-
লিপির গঠন: বাংলা লিপি একটি ধ্বনিগত লিপি, অর্থাৎ প্রতিটি বর্ণ একটি নির্দিষ্ট ধ্বনিকে নির্দেশ করে। বাংলা লিপিতে মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে—এর মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি।
-
স্বরবর্ণ: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ
-
ব্যঞ্জনবর্ণ: ক, খ, গ, ঘ, ঙ ... হ পর্যন্ত মোট ৩৯টি
-
-
লিখনপদ্ধতি: বাংলা লিপি বাম দিক থেকে ডান দিকে লেখা হয়। প্রতিটি অক্ষর ‘মাত্রা’ বা ‘শিরোরেখা’ দ্বারা উপরের দিকে যুক্ত থাকে। এই শিরোরেখাই বাংলা লেখার বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
-
সংখ্যা পদ্ধতি: বাংলা লিপির নিজস্ব সংখ্যা আছে—০ থেকে ৯ পর্যন্ত। যেমন: ০ (শূন্য), ১ (এক), ২ (দুই), ৩ (তিন), ৪ (চার), ৫ (পাঁচ), ৬ (ছয়), ৭ (সাত), ৮ (আট), ৯ (নয়)।
-
সংযুক্ত বর্ণ: বাংলা লিপিতে দুটি বা তার বেশি ব্যঞ্জনবর্ণ মিলিয়ে সংযুক্ত বর্ণ তৈরি হয়, যেমন — “ক্ত”, “ন্দ্র”, “স্ত্র” ইত্যাদি। এগুলো বাংলা উচ্চারণের বৈচিত্র্য প্রকাশ করে।
-
স্বরচিহ্ন: স্বরবর্ণ যুক্ত হলে বর্ণের আকার পরিবর্তিত হয়। যেমন: ক + ি = কি, ক + ে = কে, ক + ো = কো। এভাবে স্বরচিহ্নগুলো বর্ণের উচ্চারণ নির্ধারণ করে।
-
লিপির ব্যবহার: বাংলা লিপি শুধু বাংলা ভাষার জন্য নয়, এর কাছাকাছি কিছু ভাষা যেমন আসামি ও মৈথিলি ভাষার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছে। তাই একে “পূর্ব ভারতের সাধারণ লিপি” বলেও অনেকে উল্লেখ করেন।
-
আধুনিক রূপান্তর: মুদ্রণযন্ত্রের উদ্ভাবনের পর বাংলা লিপিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়, যাতে ছাপাখানায় ব্যবহার সহজ হয়। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলা লেখায় ইউনিকোড পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, যা বাংলা লিপিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
গুরুত্ব: বাংলা লিপি আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। এটি শুধু লিখনের মাধ্যম নয়, বরং আমাদের সাহিত্য, শিক্ষা ও জাতীয় ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলা লিপি হলো বাংলা ভাষার নিজস্ব ও মৌলিক লিপি, যা দীর্ঘ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রতীক। এটি আমাদের জাতীয় পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিশ্বে বাংলা ভাষার গৌরব বহন করছে।
0
Updated: 1 week ago