লাল> নাল কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন?
A
সমীভবন
B
বিষমীভবন
C
অসমীকরণ
D
ব্যঞ্জন বিকৃতি
উত্তরের বিবরণ
• বিষমীভবন:
- দুটো সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে।
যেমন:
- শরীর > শরীল,
- লাল > নাল ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
• অসমীকরণ:
- একই ঘরের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্য মাঝখানে যখন স্বরধ্বনি যুক্ত হয় তখন তাকে বলে অসমীকরণ।
যেমন:
- ধপ + ধপ > ধপাধপ;
- টপ + টপ > টপাটপ ইত্যাদি।
• সমীভবন:
- শব্দমধ্যস্থ দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাভ করে। এ ব্যাপারকে বলা হয় সমীভবন।
যেমন:
- জন্ম > জন্ম;
- কাঁদনা > কান্না।
• ব্যঞ্জন বিকৃতি:
- শব্দের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিতি হয়ে যদি কোনো নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়, তাকে ব্যঞ্জন বিকৃতি বলে।
যেমন:
ধোবা > ধোপা, শাক > শাগ ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
’চারি >চাইর- কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
অন্ত্যস্বরাগম
B
অসমীকরণ
C
অপিনিহিতি
D
স্বরসঙ্গতি
বাংলা ভাষায় ধ্বনিতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখা যায়। এর মধ্যে অপিনিহিতি, অন্ত্যস্বরাগম, অসমীকরণ এবং স্বরসঙ্গতি গুরুত্বপূর্ণ। এদের ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো—
-
অপিনিহিতি
পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলা হয়।
উদাহরণ: আজি → আইজ, সাধু → সাউধ, রাখিয়া → রাইখ্যা, বাক্য → বাইক্য, সত্য → সইত্য, চারি → চাইর, মারি → মাইর। -
অন্ত্যস্বরাগম
কোনো শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অন্ত্যস্বরাগম বলে।
উদাহরণ: দিশ্ → দিশা, পোখত্ → পোক্ত, বেঞ্চ → বেঞ্চি, সত্য → সত্যি। -
অসমীকরণ
একই স্বরের পুনরাবৃত্তি এড়াতে মাঝখানে নতুন স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অসমীকরণ বলা হয়।
উদাহরণ: ধপ ধপ → ধপাধপ, টপ টপ → টপাটপ। -
স্বরসঙ্গতি
একটি স্বরের প্রভাবে অন্য স্বরের পরিবর্তন হলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলা হয়।
উদাহরণ: দেশি → দিশি, বিলাতি → বিলিতি, মুলা → মুলো।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন বানানটি সঠিক?
Created: 1 month ago
A
ত্রিনয়ণ
B
কৃপন
C
দুর্ণাম
D
ক্রন্দন
ক্রন্দন — বানানটি সঠিক।
ণ-ত্ব বিধান:
-
সমাসসাধিত শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য হয় না; এখানে ন ব্যবহার হয়।
উদাহরণ: ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, অগ্রনায়ক, পরনিন্দা -
ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ন কখনো ণ হয় না; ন হয়।
উদাহরণ: অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন -
ঋ, র, ষ-এর পরে ‘ণ’ হয়।
উদাহরণ: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ -
ঋ, র, ষ-এর পরে স্বরধ্বনি (ষ, য়, ব, হ, ং এবং ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয়) থাকলে পরবর্তী ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়।
উদাহরণ: কৃপণ, হরিণ, অর্পণ, লক্ষণ, রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ
0
Updated: 1 month ago
দিক বা স্থান বা সময় নির্দেশের ক্ষেত্রে কোন চিহ্ন বসে?
Created: 1 month ago
A
সেমিকোলন
B
হাইফেন
C
কোলন
D
ড্যাস
হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন (-) সবসময় দুই বা ততোধিক শব্দের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। বাংলা লেখায় এর ব্যবহার ভাষার অর্থ ও গঠন স্পষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এর ব্যবহারিক দৃষ্টান্তগুলো হলো—
-
সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো আলাদা করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
যেমন— হাট-বাজার, সাত-পাঁচ। -
একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হলে, তাদের মাঝে হাইফেন বসে।
যেমন— চলতে-চলতে কোথায় চলে যায়। যেতে-যেতে হয়রান হয়ে পড়েছি। -
দিক, স্থান বা সময় নির্দেশের ক্ষেত্রে হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
যেমন— উত্তর-পশ্চিম কোণে মেঘ জমেছে। -
কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গের পরে হাইফেন বসে।
যেমন— অ-তৎসম, কু-অভ্যাস, বে-আঙ্কেল।
0
Updated: 1 month ago