ণ-ত্ব বিধানের নিয়ম অনুসারে গঠিত শব্দ কোনটি?
A
কঙ্কণ
B
অর্পণ
C
বাণিজ্য
D
কল্যাণ
উত্তরের বিবরণ
• ণ-ত্ব বিধান:
তৎসম শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ণ এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণত্ব বিধান।
মূর্ধন্য-ণ ব্যবহারের নিয়ম:
১. ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় মূর্ধন্য 'ণ' যুক্ত হয়। যেমন- ঘণ্টা, লণ্ঠন, কান্ড ইত্যাদি।
২. ঋ, র, ষ – এর পরে মূর্ধন্য 'ণ' হয়। যেমন- অর্পণ, ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
৩. ঋ, র, ষ-এর পরে স্বরধ্বনি, য, য়, ব, হ, ং এবং ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে তার পরবর্তী ন মূর্ধন্য 'ণ' হয়। যেমন- কৃপণ (ঋ-কারের পরে প্, তার পরে ণ), হরিণ (র-এর পরে ই, তার পরে ণ, অর্পণ (র্ + প্ + অ+), লক্ষণ (ক্+ + অ + )। এরূপ রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ ইত্যাদি।
• কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: চাণক্য, মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ, বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা, কল্যাণ, শোণিত, মণি, স্থাণু, গুণ, পুণ্য, বেণী।
0
Updated: 1 month ago
সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না-এর উদাহরণ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
অগ্রনায়ক
B
রতন
C
আপন
D
অনুষ্ঠান
যেসকল ক্ষেত্রে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয় সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না। এরূপ ক্ষেত্রে ‘ন হয়। যেমন-ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার, পরনিন্দা, অগ্রনায়ক। ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ন কখনো ণ হয় না, ন হয়। যেমন- অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন।। বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে মূর্ধন্য বর্ণ (ণ) লেখার প্রয়োজন হয় না।
0
Updated: 2 months ago
ষ-ত্ব বিধানের সঠিক প্রয়োগ ঘটেছে নিচের কোন শব্দে?
Created: 1 month ago
A
পোষাক
B
মাষ্টার
C
চক্ষুষ্মান
D
ষ্টেশন
‘ষ’ ব্যবহারের নিয়মাবলী
১. সাধারণ ব্যবহার:
-
অ, আ ভিন্ন অন্যান্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে প্রত্যয়ের ক্ষেত্রে ‘ষ’ হয়।
-
উদাহরণ: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা।
-
-
তবে বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে সাধারণত ‘ষ’ ব্যবহার হয় না।
-
উদাহরণ: জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট, স্টেশন।
-
২. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গের পরে:
-
এই ধরনের উপসর্গযুক্ত ধাতুতে ‘ষ’ বসে।
-
উদাহরণ:
-
অভিসেক → অভিষেক
-
সুসুপ্ত → সুষুপ্ত
-
অনুসঙ্গ → অনুষঙ্গ
-
প্রতিসেধক → প্রতিষেধক
-
প্রতিস্থান → প্রতিষ্ঠান
-
অনুস্থান → অনুষ্ঠান
-
বিসম → বিষম
-
সুসমা → সুষমা
-
-
৩. ঋ ধ্বনি এবং ঋ কারের পরে:
-
ঋ ধ্বনি বা ঋ কারের পর ‘ষ’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ: ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট, দৃষ্টি, সৃষ্টি।
-
৪. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পরে:
-
তৎসম শব্দে র-এর পরে ‘ষ’ বসে।
-
উদাহরণ: বর্ষা, ঘর্ষণ, বৰ্ষণ।
-
৫. র-ধ্বনির পরে অ, আ ভিন্ন স্বরধ্বনি থাকলে:
-
তার পরে ‘ষ’ বসে।
-
উদাহরণ: পরিষ্কার
-
-
কিন্তু অ, আ স্বরধ্বনি থাকলে ‘স’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ: পুরস্কার
-
৬. ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে:
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ: কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
-
৭. স্বভাবতই ‘ষ’যুক্ত কিছু শব্দ:
-
উদাহরণ: ষড়ঋতু, রোষ, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, ভাষা, ঊষা, পৌষ, কলুষ, পাষাণ, মানুষ, ঔষধ, ষড়যন্ত্র, ভূষণ, দ্বেষ।
৮. সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদে ‘ষ’ ব্যবহার হয় না:
-
উদাহরণ: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
উপসংহার:
‘ষ’ ব্যবহারের নিয়ম শব্দের উৎপত্তি, ধ্বনিগত পরিবেশ ও পদবিন্যাস অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
স্বভাবতই 'ষ' হয়েছে নিচের কোন শব্দে?
Created: 4 weeks ago
A
সুষুপ্ত
B
ঋষি
C
কষ্ট
D
দ্বেষ
‘ষ’ ব্যবহারের নিয়ম বাংলায় ধাতু, তৎসম শব্দ এবং বিশেষ ধ্বনিসমূহে নির্দিষ্টভাবে প্রযোজ্য। প্রধান নিয়মগুলো নিম্নরূপ:
-
অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে প্রত্যয়ের স ‘ষ’ হয়।
যেমন: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা। -
ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কিছু ধাতুতে ‘ষ’ হয়।
যেমন: অভিসেক → অভিষেক, সুসুপ্ত → সুষুপ্ত, অনুসঙ্গ → অনুষঙ্গ, প্রতিসেধক → প্রতিষেধক, প্রতিস্থান → প্রতিষ্ঠান, অনুস্থান → অনুষ্ঠান, বিসম → বিষম, সুসমা → সুষমা। -
ঋ এবং ঋ কারের পরে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট, দৃষ্টি, সৃষ্টি। -
তৎসম শব্দে র-এর পরে ‘ষ’ হয়।
যেমন: বর্ষা, ঘর্ষণ, বর্ষণ। -
র-ধ্বনির পরে যদি অ, আ ভিন্ন স্বরধ্বনি থাকে তবে তার পরে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন: পরিষ্কার।
কিন্তু অ, আ স্বরধ্বনি থাকলে ‘স’ হয়। যেমন: পুরস্কার। -
ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ যুক্ত হয়।
যেমন: কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ। -
কিছু শব্দে স্বভাবতই ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ষড়ঋতু, রোষ, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, ভাষা, ঊষা, পৌষ, কলুষ, পাষাণ, মানুষ, ঔষধ, ষড়যন্ত্র, ভূষণ, দ্বেষ।
‘ষ’ ব্যবহারের ব্যতীত ক্ষেত্র:
-
বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে ‘ষ’ হয় না।
যেমন: জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট। -
সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদেও ‘ষ’ হয় না।
যেমন: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
0
Updated: 4 weeks ago