"হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
জসীম উদ্দীন
D
আবদুল হাকিম
উত্তরের বিবরণ
বঙ্গভাষা
-
কবি: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
কবিতার ধরন: সনেট
-
সংকলন: চতুর্দশপদী কবিতাবলী
কবিতার অংশ:
"হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;–
তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।"
মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'পথের পাঁচালী' উপন্যাসে অপুর মায়ের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
মৃণালিনী
B
সর্বজয়া
C
নলিনী
D
বিনোদিনী
'পথের পাঁচালী' বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় বাংলা উপন্যাস, যা গ্রামীণ জীবনের স্বচ্ছ চিত্রায়ণ ও মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সংযোগের বিষয়বস্তু নিয়ে রচিত।
-
প্রকাশনা: ১৯২৯ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত এবং এর আগেই 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত।
-
পটভূমি: বাংলাদেশের গ্রাম এবং সেখানে বসবাসকারী মানুষের দৈনন্দিন জীবন।
-
বিষয়বস্তু: শিশুর চৈতন্যের উদয়, মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয়।
-
উপন্যাসের তিনটি ভাগ: বল্লালী বালাই, আমআঁটির ভেঁপু, অক্রূর সংবাদ।
-
নায়ক: বালক অপু।
-
প্রধান চরিত্র:
-
অপু
-
দুর্গা
-
ইন্দির ঠাকরুন
-
সর্বজয়া (অপু ও দুর্গার মা)
-
0
Updated: 1 month ago
'কপালকুণ্ডলা' কোন প্রকৃতির রচনা?
Created: 2 months ago
A
রোমান্সমূলক উপন্যাস
B
বিয়োগান্তক নাটক
C
ঐতিহাসিক উপন্যাস
D
সামাজিক উপন্যাস
কপালকুণ্ডলা উপন্যাস
-
প্রকাশকাল: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
ধরন: উপন্যাসটিকে নিগূঢ় ভাবধারার জন্য রোমান্টিক বা রোমান্সধর্মী উপন্যাস বলা হয়।
-
কাহিনি: অরণ্যের মধ্যে এক কাপালিকের পালিতা রহস্যময়ী নারী কপালকুণ্ডলাকে ঘিরে কাহিনি গড়ে ওঠে।
-
সামাজিক সংস্কারের অচেনা পৃথিবীতে প্রবেশ করে সে নবকুমারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
-
কিন্তু সমাজের নিয়ম-কানুনের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব এবং নিজের রহস্যময় জীবনই কাহিনির মূল সংঘাত।
-
-
প্রেক্ষাপট: কাহিনিতে একদিকে সম্রাট জাহাঙ্গির আমলের আগ্রা শহরের স্থাপত্য, অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্রের রোমাঞ্চময় পরিবেশ চিত্রিত হয়েছে।
-
বিশেষত্ব: প্রকৃতির সৌন্দর্য, কপালকুণ্ডলার চরিত্রচিত্রণ ও কাহিনির করুণ সমাপ্তি—এই তিন কারণে উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় হয়ে আছে।
-
গ্রহণযোগ্যতা: লেখকের জীবদ্দশাতেই এর আটবার সংস্করণ প্রকাশিত হয়। অনেকের মতে, এটি বঙ্কিমের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
-
রোমান্টিক সংলাপ: নায়িকা কপালকুণ্ডলার বলা “পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ?”—বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোম্যান্টিক সংলাপ হিসেবে বিখ্যাত।
-
প্রধান চরিত্র: কপালকুণ্ডলা, নবকুমার, কাপালিক প্রমুখ।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে, চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
-
তিনি ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান পুরুষ।
-
তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস।
-
প্রথম উপন্যাস ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সার্থক উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী।
বঙ্কিমচন্দ্রের ত্রয়ী উপন্যাস
১. আনন্দমঠ
২. দেবী চৌধুরানী
৩. সীতারাম
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলাপিডিয়া; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 2 months ago
‘বেঙ্গল থিয়েটার’ - স্থাপন করেন কে?
Created: 1 month ago
A
রামমোহন রায়
B
হেরাসিম লেবেডফ
C
প্রসন্নকুমার ঠাকুর
D
সেলিম আল দীন
বাংলা নাটকের উৎস ও বিকাশ মূলত আঠারো শতকের শেষদিকে শুরু হলেও তা ধীরে ধীরে সুসংহত রূপ লাভ করে। আঠারো শতকের শেষদিকে নেপালে কিছু বাংলা নাটক রচিত ও অভিনীত হলেও বাংলা নাট্যসাহিত্যের ধারায় সেগুলো তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, বরং কেবল ঐতিহাসিক কৌতূহলের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলা নাটকের প্রথম অভিনয় অনুষ্ঠিত হয় ১৭৯৫ সালে।
প্রধান ঘটনাগুলো হলো—
-
রুশদেশীয় আগন্তুক হেরাসিম লেবেডফ কলকাতায় প্রথম ‘বেঙ্গল থিয়েটার’ নামে একটি রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তিনি ‘The Disguise’ ও ‘Love is the Best Doctor’ নাটক বাংলায় অনুবাদ করে দেশীয় অভিনেতাদের দ্বারা অভিনয় করান। এ অভিনয়ে ভারতচন্দ্র রায়ের গান সংযোজিত হয়েছিল।
-
১৮৩১ সালে প্রসন্নকুমার ঠাকুর কলকাতায় ‘হিন্দু থিয়েটার’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলা নাট্যাভিনয়ের উপযোগী প্রথম রঙ্গমঞ্চ। সেখানে ভারতচন্দ্র রায়ের অন্নদামঙ্গল কাব্যের বিদ্যাসুন্দর অংশের নাট্যরূপ অভিনীত হয়।
-
বাংলা মৌলিক নাটক রচনার সূচনা হয় ১৮৫২ সালে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago