‘মন্দির’ গল্পের জন্য শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন পুরস্কার পান?
A
সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার
B
আনন্দ পুরস্কার
C
কুন্তলীন সাহিত্য পুরস্কার
D
রবীন্দ্র পুরস্কার
উত্তরের বিবরণ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬, দেবানন্দপুর, হুগলি জেলা।
-
প্রথম প্রকাশিত গল্প: মন্দির (১৯০৩), যার জন্য তিনি কুন্তলীন সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন।
-
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: বড়দিদি (১৯০৭, ভারতী পত্রিকা)।
-
রাজনৈতিক উপন্যাস: পথের দাবী (১৯২৬), যা ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।
বিখ্যাত উপন্যাসসমূহ:
-
দেনা-পাওনা
-
বড়দিদি
-
বিরাজবৌ
-
পণ্ডিতমশাই
-
পরিণীতা
-
চন্দ্রনাথ
-
দেবদাস
-
চরিত্রহীন
-
গৃহদাহ
-
পথের দাবী
-
শেষ প্রশ্ন
-
শেষের পরিচয়
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
”শশী ও কুসুম” কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 2 months ago
A
আলালের ঘরের দুলাল
B
আনন্দমঠ
C
দেবী চৌধুরাণী
D
পুতুলনাচের ইতিকথা
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: "সাহিত্যিকেরও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন।" তাঁর উপন্যাস ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ তে সেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।
-
উপন্যাসের শুরু হয় বজ্রাঘাতে নিহত হারু ঘোষের বর্ণনা দিয়ে।
-
নায়ক শশী ডাক্তার বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও, তার মধ্যে মড়াস্পর্শ অনুচিতসহ নানা কুসংস্কার কার্যকর থাকে।
-
উপন্যাসে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে বাংলার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের টানাপোড়েন ও অস্তিত্ব সংকট শশী চরিত্রের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’য় পুতুল বলতে বোঝানো হয়েছে সেই মানুষগুলোকে, যারা চারিত্রিক দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়াতে পারে না; পুতুলের মতো সামান্য ধাক্কাতেই অন্যের ইশারায় পরিচালিত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: হারু ঘোষ, শশী, কুসুম প্রভৃতি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
জননী
-
দিবারাত্রির কাব্য
-
পদ্মানদীর মাঝি
-
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
শহরতলী
-
চিহ্ন
-
চতুষ্কোণ
-
সার্বজনীন
-
আরোগ্য ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago
'লালসালু' উপন্যাসে কোন চরিত্রটি নারী প্রতিবাদের প্রতীক?
Created: 1 month ago
A
আমেনা
B
জমিলা
C
ফাতেমা
D
রহিমা
লালসালু সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি প্রখ্যাত উপন্যাস, যা ১৯৪৮ সালে কলকাতা থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি বাংলার গ্রামজীবনের বাস্তবতা, সৌন্দর্য, মাধুর্য ও কঠোরতা চিত্রায়ন করে এবং অসংখ্য গ্রামীণ মানুষের জীবনকে ফুটিয়ে তোলে। নোয়াখালি অঞ্চলের মজিদ নামের একটি কূটচরিত্র গারোপাহাড়ি অঞ্চলে গিয়ে ধর্মের নামে স্থানীয় মানুষকে কীভাবে শোষণ করে, সেই ঘটনা উপন্যাসে উল্লিখিত।
উপন্যাসের মূল বিষয় ধর্মব্যবসায়ীদের স্বরূপ উন্মোচন এবং নারী জাগরণের প্রেক্ষাপটে সমাজচেতনা। স্বল্পবয়সী স্ত্রী জমিলা মজিদের শোষণ প্রতিহত করে, উপন্যাসে তিনি বিদ্রোহিণী ও প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে চিত্রিত।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
মজিদ
-
খালেক ব্যাপারি
-
জমিলা
-
রহিমা
-
আমেনা
-
আক্কাস
-
তাহেরের বাপ
-
হাসুনির মা
-
-
উক্তি: উপন্যাসে ধর্মব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে, "খোদার এলেমে বুক ভরে না তলায় পেট শূন্য বলে।"
-
অনুবাদ ও খ্যাতি:
-
ইংরেজিতে Tree Without Roots (১৯৬৭) নামে অনূদিত হয়েছে
-
ফরাসি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, নাম Le Arbre Sans Maîme (১৯৬১)
-
ফরাসি অনুবাদ করেছেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পত্নী অ্যান মেরি
-
0
Updated: 1 month ago
'পথের পাঁচালী' উপন্যাস কয়টি ভাগে বিভক্ত?
Created: 1 month ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
পথের পাঁচালী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় বাংলা উপন্যাস, যা বাংলার গ্রামীণ জীবন ও মানুষের চিত্রণ প্রধান থিম হিসেবে উপস্থাপন করে।
-
প্রকাশকাল ও মাধ্যম: ১৯২৯ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত; প্রথম প্রকাশিত 'বিচিত্রা' পত্রিকায়।
-
পটভূমি ও বিষয়: বাংলাদেশের গ্রাম ও পরিচিত মানুষের জীবন, শিশুর চৈতন্যের জাগরণ, মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক।
-
উপন্যাসের কাঠামো: তিনটি ভাগ—বল্লালী বালাই, আমআঁটির ভেঁপু, অক্রূর সংবাদ।
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র: বালক অপু।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: দুর্গা, ইন্দির ঠাকরুন, সর্বজয়া।
0
Updated: 1 month ago