রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান কোথায়?
A
শান্তিনিকেতন
B
শিলাইদহ
C
কলকাতা, জোড়াসাঁকো
D
পতিসর, নওগাঁ
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
-
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা, জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার
-
পিতা: মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর
-
বিশেষ অর্জন: ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার, এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি যিনি এই সম্মান পান
-
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা, জোড়াসাঁকো
-
উপন্যাস:
-
বউ ঠাকুরাণীর হাট
-
রাজর্ষি
-
চোখের বালি
-
নৌকাডুবি
-
ঘরে-বাইরে
-
যোগাযোগ
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
"গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।" পঙ্ক্তিটি কোন কবিতার অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
সোনার তরী
B
প্রাণ
C
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ
D
বর্ষাযাপন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের নামকবিতা ‘সোনার তরী’। এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত, যেখানে অধিকাংশ পঙক্তি ৮+৫ মাত্রার পূর্ণপর্বে বিন্যস্ত। কবি এই কাব্যগ্রন্থটি ১৮৯৪ সালে প্রকাশ করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই গ্রন্থের কিছু কবিতা কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসে লেখা হয়েছে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'রাজলক্ষ্মী' কোন উপন্যাসের বিখ্যাত চরিত্র?
Created: 2 months ago
A
চরিত্রহীন
B
দেনাপাওনা
C
শ্রীকান্ত
D
চোখের বালি
• 'শ্রীকান্ত' উপন্যাস:
-
ধরন: শরৎচন্দ্রের আত্মজৈবনিক উপন্যাস
-
গঠন: চারটি খণ্ডে রচিত
-
প্রকাশ:
-
প্রথম খণ্ড: মাসিক 'ভারতবর্ষে' (১৯১৬-১৭), শ্রীকান্তের ভ্রমণ কাহিনি নামে; লেখকের নাম মুদ্রিত হয়েছে 'শ্রী শ্রীকান্ত শর্মা'
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড: মাসিক 'ভারতবর্ষে'
-
চতুর্থ খণ্ড: প্রকাশিত 'বিচিত্র' পত্রিকায়
-
-
বিখ্যাত কিশোর চরিত্র: ইন্দ্রনাথ
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
মূল চরিত্র: শ্রীকান্ত, রাজলক্ষ্মী, অন্নদাদিদি, অভয়া, রোহিণী, কমললতা
-
চরিত্রহীন: সতীশ, সাবিত্রী, দিবাকর, কিরণময়ী
-
পল্লীসমাজ: রমা, রমেশ, বেণী, বলরাম
-
চোখের বালি: মহেন্দ্র, আশালতা, বিনোদিনী
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
বাংলায় চিরস্থায়ী ভূমি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন কে?
Created: 4 weeks ago
A
লর্ড ওয়াভেল
B
লর্ড কর্নওয়ালিস
C
লর্ড ক্লাইভ
D
লর্ড বেন্টিঙ্ক
চিরস্থায়ী ভূমি বন্দোবস্ত ছিল ব্রিটিশ শাসনামলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার জমিদার শ্রেণির (সমস্ত শ্রেণির জমিদার ও স্বতন্ত্র তালুকদার) মধ্যে সম্পাদিত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। এটি মূলত ভারতীয় ভূমি প্রশাসন ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করে।
এই বন্দোবস্তের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজস্ব আদায়ের একটি স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি গঠন করা, যাতে ব্রিটিশ সরকার নিয়মিত রাজস্ব পায় এবং জমিদাররা স্থায়ীভাবে জমির মালিকানা ভোগ করতে পারে।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
এটি ১৭৯৩ সালে কার্যকর করা হয়।
-
এই ব্যবস্থা লর্ড কর্নওয়ালিসের প্রশাসন প্রবর্তন করে।
-
এ চুক্তির মাধ্যমে জমিদারগণ উপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভূ-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন।
-
জমিদাররা শুধু জমির মালিকানাই পাননি, বরং তাঁরা একটি স্থায়ী ও অপরিবর্তনীয় রাজস্বহার অনুযায়ী চিরস্থায়ীভাবে জমিদারিস্বত্ব লাভ করেন।
-
এই বন্দোবস্তের ফলে জমিদাররা রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পান, কিন্তু কৃষকরা তাঁদের কাছে ক্রমশ শোষণের শিকার হন, কারণ রাজস্ব নির্ধারিত থাকলেও জমিদাররা নিজেদের লাভ বাড়াতে কৃষকের কাছ থেকে অধিক ভাড়া আদায় করতে থাকেন।
0
Updated: 4 weeks ago