প্রাকৃতিক কোন উৎস থেকে সবচেয়ে মৃদু পানি পাওয়া যায়?
A
সাগর
B
হ্রদ
C
নদী
D
বৃষ্টি
উত্তরের বিবরণ
পৃথিবীতে মৃদু পানির প্রধান উৎস হলো বৃষ্টিপাত, যা প্রাকৃতিকভাবে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে।
-
সমুদ্রের পানিতে উচ্চমাত্রায় লবণ থাকার কারণে তা মিষ্টি পানির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় না।
-
যদিও নদী ও বিলের পানি মৃদু, তবুও এইসব জলাধার বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে পূর্ণতা লাভ করে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণী।

0
Updated: 2 months ago
কত তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 month ago
A
০° সেন্টিগ্রেড
B
১০° সেন্টিগ্রেড
C
৪° সেন্টিগ্রেড
D
১০০° সেন্ট্রিগ্রেড
পানির ঘনত্ব তাপমাত্রার পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয়।
-
৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বাধিক থাকে।
-
০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পানি জমে বরফে রূপান্তরিত হয়।
-
১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানি বাষ্পে পরিণত হয়।
-
এই অবস্থায় পানির ঘনত্ব প্রায় ১ গ্রাম প্রতি সেন্টিমিটার ঘনত্ব (বা ১০০০ কেজি প্রতি ঘনমিটার) হয়ে থাকে।
-
১ ঘনমিটার পানির ওজন ১০০০ কেজি হয়।
-
চাপে প্রমাণ হিসাবে ৭৬০ মিমি পারদ চাপের অধীনে পানি ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বাষ্পে রূপান্তরিত হয়।
উৎস:বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
তামার সাথে নিচের কোনটি মেশালে পিতল হয়?
Created: 2 months ago
A
নিকেল
B
টিন
C
সিসা
D
দস্তা (জিঙ্ক)
সংকর ধাতু, এমন ধাতু যেগুলো এক বা একাধিক ধাতু বা অধাতুর সঙ্গে মিশ্রিত করে তৈরি করা হয়। এই মিশ্রণে প্রধানত একটি ধাতু প্রধান হিসেবে থাকে, আর বাকিগুলো অপ্রধান ধাতু বা অধাতু হিসেবে যোগ করা হয়।
সাধারণত সংকর ধাতু তৈরিতে সব ধাতুকে সমান পরিমাণে মেশানো হয় না। সংকর ধাতুর নামকরণ প্রধান ধাতুর নাম অনুসারে করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, পিতল হলো কপার ও জিংকের সংকর ধাতু, যেখানে কপার প্রধান ধাতু হিসেবে প্রায় ৬৫% এবং জিংক অপ্রধান হিসেবে ৩৫% থাকে। এজন্য পিতলকে কপারের সংকর ধাতু বলা হয়। স্টিলের ক্ষেত্রে লোহা প্রধান ধাতু (প্রায় ৯৯%) এবং কার্বন অপ্রধান অধাতু (প্রায় ১%) থাকে, তাই স্টিলকে লোহার সংকর ধাতু হিসেবে গণ্য করা হয়।
অন্যদিকে, কাঁসা বা ব্রোঞ্জ কপার ও টিনের সংকর ধাতু, যেখানে কপার থাকে ৯০% এবং টিন থাকে ১০%। সুতরাং, কপারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংকর ধাতু হলো পিতল (ব্রাস) ও কাঁসা (ব্রোঞ্জ)।
উৎস: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 month ago
A
শূন্যতায়
B
লোহা
C
পানি
D
বাতাস
শব্দ একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ, যার জন্য চলার পথে কোনো না কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। এটি শূন্য মাধ্যমে ছড়াতে পারে না, অর্থাৎ মহাশূন্যে শব্দের বেগ শূন্য থাকে। শব্দের গতি মূলত তার চলার মাধ্যমের ওপর নির্ভর করে।
মাধ্যম অনুযায়ী শব্দের বেগের তারতম্য দেখা যায়:
-
কঠিন পদার্থে শব্দ সবচেয়ে দ্রুত গতি অর্জন করে। যেমন, লোহা ও ইস্পাতের ভেতর দিয়ে শব্দ খুব দ্রুত ছড়ায়।
-
তরল পদার্থে, যেমন পানিতে, শব্দের গতি তুলনামূলকভাবে কম হয় কঠিনের চেয়ে।
-
বায়বীয় পদার্থে, যেমন বাতাসে, শব্দের গতি আরও কম হয়।
-
আর শূন্য মাধ্যমে (যেখানে কোনো কণার অস্তিত্ব নেই), শব্দ একেবারেই ছড়াতে পারে না।
এইভাবে দেখা যায়, শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি কঠিনে, তারপর তরলে, এরপর গ্যাসে, এবং শূন্যে একদমই নয়।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান পাঠ্যবই

0
Updated: 1 month ago