বৈকুণ্ঠের উইল’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
D
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
উত্তরের বিবরণ
‘বৈকুণ্ঠের উইল’ উপন্যাসের রচয়িতা হলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এটি একটি চিরায়ত উপন্যাস, যা পরিবার, সম্পত্তি ও ভাই-বোনের সম্পর্কের সূক্ষ্ম দিকগুলো তুলে ধরে।
-
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বৈকুন্ঠ মজুমদার, একজন পরিশ্রমী ব্যবসায়ী, যিনি তাঁর ধ্বংসপ্রায় মুদি দোকানকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বড় আড়তে পরিণত করেন।
-
বৈকুন্ঠের দুই ছেলে: গোকুল (প্রথম স্ত্রীর সন্তান) এবং বিনোদ (দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান)।
-
গোকুল যদিও অনেকটা বোকা ধরনের, বাবা-মা ও ভাইয়ের প্রতি তার ভালোবাসা গভীর। পড়াশোনায় মনোযোগ না থাকায় ছোটবেলাতেই বাবার আড়তের কাজে যুক্ত হয়।
-
বিনোদ পড়ালেখায় খুব ভালো হলেও, তার স্বভাব ও আচরণে বৈকুন্ঠ সন্তুষ্ট নন। তিনি ভাবেন, এত কষ্টে অর্জিত সহায়-সম্পদ বিনোদ আরাম-আয়েস করেই ধ্বংস করবে।
-
এই কারণে বৈকুন্ঠ মৃত্যুর আগে স্ত্রীর সম্মতি নিয়ে সমস্ত সম্পত্তি গোকুলের নামে উইল করেন।
-
উপন্যাসের মূল কাহিনি দুই ভাইয়ের উইল নিয়ে মনোভাব ও পারস্পরিক সম্পর্ককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস:
-
চরিত্রহীন
-
পণ্ডিতমশাই
-
পল্লীসমাজ
-
দেবদাস
-
শ্রীকান্ত
-
পরিণীতা
-
বিরাজবৌ
-
দত্তা
-
বামুনের মেয়ে
-
শেষ প্রশ্ন
-
দেনাপাওনা
-
পথের দাবী
-
বিপ্রদাস

0
Updated: 18 hours ago
'সাবিত্রী ও কিরণময়ী' - চরিত্র দুটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত কোন উপন্যাসের?
Created: 1 month ago
A
বড়দিদি
B
শেষের পরিচয়
C
চরিত্রহীন
D
শ্রীকান্ত
‘চরিত্রহীন’ উপন্যাস
-
‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত এবং প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে।
-
এটি রচিত হয়েছে প্রথা বহির্ভূত প্রেম ও নারী-পুরুষ সম্পর্ক নিয়ে, তাই উপন্যাসের নামকরণ করা হয়েছে ‘চরিত্রহীন’।
-
গল্পে মোট চারটি নারী চরিত্র রয়েছে, যার মধ্যে প্রধান দুটি চরিত্র: সাবিত্রী ও কিরণময়ী।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাসসমূহ
-
দেনা-পাওনা
-
বড়দিদি
-
বিরাজবৌ
-
পণ্ডিতমশাই
-
পরিণীতা
-
চন্দ্রনাথ
-
দেবদাস
-
চরিত্রহীন
-
গৃহদাহ
-
পথের দাবী
-
শেষ প্রশ্ন
-
শেষের পরিচয় প্রভৃতি
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) শরৎ রচনাবলী

0
Updated: 1 month ago
কত খ্রিষ্টাব্দে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি লাভ করেন?
Created: 2 days ago
A
১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে
B
১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে
C
১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে
D
১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন অমর কথাশিল্পী, যিনি ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর উপন্যাসের মূল বিষয় পল্লীর জীবন ও সমাজ, যেখানে তিনি ব্যক্তিমানুষের মন কিভাবে পল্লীর সংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতার আঘাতে প্রভাবিত হয়, তা চিত্রিত করেছেন। তবে তাঁর উপন্যাসে ব্যক্তিবর্গের ইচ্ছাভিসার ও মুক্তি সর্বদাই সমাজ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় তাঁকে রক্ষণশীল বলা হয়। বার্মায় বসবাসকালে তিনি অঙ্কিত 'মহাশ্বেতা' অয়েল পেইন্টিং একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম। সাহিত্যকর্মে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি কুন্তলীন পুরস্কার (১৯০৩), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯২৩), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্যপদ (১৯৩৪) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি (১৯৩৬) লাভ করেন। ১৯৩৮ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
-
উপন্যাসসমূহ: বড়দিদি, পরিণীতা, বিরাজ বৌ, পণ্ডিত মশাই, পল্লী সমাজ, দেবদাস, চরিত্রহীন, দত্তা, গৃহদাহ, বামুনের মেয়ে, দেনা পাওনা, পথের দাবী, শেষ প্রশ্ন, বিপ্রদাস
-
ছোটগল্পসমূহ: মহেশ, বিলাসী, সতী, মামলার ফল
-
প্রবন্ধগ্রন্থসমূহ: নারীর মূল্য, তরুণের বিদ্রোহ, স্বদেশ ও সাহিত্য

0
Updated: 2 days ago
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ছোটগল্প কোনটি?
Created: 2 days ago
A
গৃহদাহ
B
মামলার ফল
C
চন্দ্রনাথ
D
পরিণীতা
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন অমর কথাশিল্পী।
জন্ম ও জীবনসংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬, দেবানন্দপুর, হুগলি জেলা।
-
তাঁর প্রথম উপন্যাস: বড়দিদি (১৯০৭), ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত।
-
প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প: মন্দির।
-
'মন্দির' গল্পের জন্য তিনি ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন।
-
রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস: পথের দাবী (১৯২৬), যা ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ছোটগল্প:
-
মামলার ফল
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত উপন্যাস:
-
গৃহদাহ
-
চন্দ্রনাথ
-
পরিণীতা

0
Updated: 2 days ago