ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণগ্রন্থ কোনটি?
A
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
B
ব্যাকরণ কৌমুদী
C
ব্যাকরণ মঞ্জরী
D
ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ
উত্তরের বিবরণ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সমাজ সংস্কারে এক অগ্রণী ব্যক্তি। তিনি শুধু শিক্ষাবিদ ও লেখক ছিলেন না, বরং সমাজসংস্কারক এবং জনহিতৈষী হিসেবেও খ্যাত।
-
জন্ম: ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে।
-
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে।
-
তিনি বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে পরিচিত।
-
বাংলা গদ্যে প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন।
-
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতাল পঞ্চবিংশতি
-
ব্যাকরণগ্রন্থ: ব্যাকরণ কৌমুদী
-
মৃত্যু: ২৯ জুলাই ১৮৯১
বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থ:
-
শকুন্তলা
-
সীতার বনবাস
-
ভ্রান্তিবিলাস
অন্যান্য ব্যাকরণগ্রন্থ ও রচয়িতা:
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণ → রাজা রামমোহন রায়
-
ব্যাকরণ মঞ্জরী → ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক
-
ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ → সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
0
Updated: 1 month ago
অক্ষয়কুমার অবসর নিলে 'তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার সম্পাদক হন কে?
Created: 2 months ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
✦ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা
-
প্রকাশকাল: ১৬ আগস্ট, ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে।
-
প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
প্রথম সম্পাদক: অক্ষয়কুমার দত্ত।
-
সম্পাদনা দায়িত্বকাল: অক্ষয়কুমার দত্ত ১৮৪৩ – ১৮৫৫ পর্যন্ত।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
উদার, বিজ্ঞানমনস্ক ও দেশসচেতন পত্রিকা।
-
বাঙালি সমাজে জাগরণ ও আধুনিক চিন্তার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
-
পরবর্তী সম্পাদক: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
-
বিশেষ তথ্য: অক্ষয়কুমারের সম্পাদনা-কালকে পত্রিকার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
0
Updated: 2 months ago
বাংলা গদ্যে প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন কে
Created: 3 months ago
A
প্রমথ চৌধুরী
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
D
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
- তিনি ছিলেন সংস্কৃত পন্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক, জনহিতৈষী।
- তিনি ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ ঈশ্বরচন্দ্রকে 'বিদ্যাসাগর' উপাধি প্রদান করে।
- তিনি বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে খ্যাত।
- তিনি বাংলা গদ্যে প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন।
- তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ 'বেতাল পঞ্চবিংশতি'।
- তাঁর রচিত ব্যাকরণগ্রন্থের নাম 'ব্যাকরণ কৌমুদী'।
- তিনি ২৯ জুলাই, ১৮৯১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
• তাঁর রচিত বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থ:
- শকুন্তলা,
- সীতার বনবাস,
- ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি।
• তাঁর রচিত মৌলিক রচনা:
- অতি অল্প হইল,
- আবার অতি অল্প হইল,
- ব্রজবিলাস,
- বিধবা বিবাহ ও যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা,
- রত্ন পরীক্ষা।
• তাঁর রচিত শিক্ষামূলক গ্রন্থ:
- আখ্যান মঞ্জরী,
- বোধোদয়,
- বর্ণপরিচয়,
- কথামালা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
‘বাংলা গদ্যে জনক’ বলা হয় কাকে?
Created: 1 week ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
রাজা রামমোহন রায়কে
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন এক অনন্য পথপ্রদর্শক। তাঁকে ‘বাংলা গদ্যের জনক’ বলা হয় কারণ তিনি গদ্য ভাষাকে সুসংগঠিত, প্রাঞ্জল ও শিক্ষণীয় রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তাঁর লেখার ভাষায় ছিল সরলতা, যুক্তি, এবং হৃদয়ের গভীর মানবিক বোধ—যা আধুনিক বাংলা গদ্যের ভিত্তি স্থাপন করে।
বাংলা গদ্যের বিকাশে তাঁর অবদান স্পষ্টভাবে বোঝা যায় নিম্নলিখিত দিকগুলো থেকে—
• গদ্য ভাষার সংস্কার: বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষাকে প্রাচীন ও সংস্কৃতনির্ভর শৈলী থেকে মুক্ত করে সাধারণ মানুষের উপযোগী করে তুলেছিলেন। তাঁর গদ্য ভাষা ছিল সহজবোধ্য, অথচ মর্যাদাপূর্ণ ও শুদ্ধ।
• শিক্ষা ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন: তিনি রচনা করেন ‘বর্ণপরিচয়’, যা বাংলা ভাষা শিক্ষার ইতিহাসে এক অমূল্য সম্পদ। এই বইয়ের মাধ্যমে বাংলা শিশুদের প্রথম পাঠ শুরু হয় গদ্যে, যা ভাষার উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখে।
• সাহিত্যচর্চা ও অনুবাদ: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অনুবাদ করেন বহু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যেমন ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’, ‘শকুন্তলা’, ও ‘সীতার বনবাস’। তাঁর অনুবাদে ভাষার সংযম, গঠন ও ব্যাকরণ ছিল নিখুঁত, যা বাংলা গদ্যের মান উন্নত করে।
• ভাষার গঠন ও ব্যাকরণে দক্ষতা: তিনি বাংলা বাক্যগঠনে যুক্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর ভাষা ছিল না অলংকারে ভরা, বরং ভাবপ্রকাশে পরিষ্কার ও সংবেদনশীল। ফলে বাংলা গদ্য তার নিজস্ব চরিত্র লাভ করে।
• সামাজিক সংস্কারে ভূমিকা: তিনি কেবল ভাষাতত্ত্ববিদই ছিলেন না, সমাজসংস্কারক হিসেবেও তিনি বাংলা গদ্য ব্যবহার করেছেন নারীর অধিকার, বিধবা-বিবাহ ও শিক্ষার প্রসারে সচেতনতা তৈরিতে। তাঁর ভাষার সরলতা জনসাধারণকে সহজে আকৃষ্ট করত।
• অন্যান্য গদ্য লেখকদের প্রেরণা: তাঁর গদ্যরীতি পরবর্তীতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ লেখকদের প্রভাবিত করে। তাঁদের গদ্যেও বিদ্যাসাগরের যুক্তিবোধ ও সরল ভাষার ছাপ স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
• সমালোচক ও পণ্ডিতদের মত: সাহিত্য সমালোচকরা একমত যে, বিদ্যাসাগরের হাত ধরেই বাংলা গদ্য তার শিশুকাল থেকে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় প্রবেশ করে। তাঁর সময়ের আগে গদ্য ছিল অসংগঠিত ও কৃত্রিম, কিন্তু তাঁর লেখায় তা জীবন্ত হয়ে ওঠে।
সবশেষে বলা যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষার ইতিহাসে কেবল একজন লেখক নন, তিনি ছিলেন এক যুগান্তকারী ভাষা-সংস্কারক। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও ভাষা-দক্ষতার ফলেই বাংলা গদ্য আজ যে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন তিনি। এজন্যই তাঁকে যথার্থ অর্থে ‘বাংলা গদ্যের জনক’ বলা হয়।
0
Updated: 1 week ago