প্রাকৃতিক কোন উৎস থেকে সবচেয়ে মৃদু পানি পাওয়া যায়?
A
সাগর
B
হ্রদ
C
নদী
D
বৃষ্টি
উত্তরের বিবরণ
পৃথিবীতে মৃদু পানির প্রধান উৎস হলো বৃষ্টিপাত, যা প্রাকৃতিকভাবে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে।
-
সমুদ্রের পানিতে উচ্চমাত্রায় লবণ থাকার কারণে তা মিষ্টি পানির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় না।
-
যদিও নদী ও বিলের পানি মৃদু, তবুও এইসব জলাধার বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে পূর্ণতা লাভ করে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণী।
0
Updated: 3 months ago
টেকটোনিক প্লেট তত্ত্বের প্রবক্তা কে?
Created: 1 month ago
A
আলফ্রেড ওয়েগেনার
B
চার্লস ডারউইন
C
আইজ্যাক নিউটন
D
নিকোলাস কোপার্নিকাস
টেকটোনিক প্লেট (Tectonic Plate)
পরিচিতি
-
আলফ্রেড ওয়েগেনার (Alfred Wegener) ১৯১২ সালে মহাদেশীয় সঞ্চালন তত্ত্ব (Continental Drift Theory) প্রস্তাব করেন।
-
পরবর্তীতে এই তত্ত্ব থেকে জন্ম নেয় টেকটোনিক প্লেট তত্ত্ব।
-
তত্ত্ব অনুযায়ী, পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠ বিশাল পাথরের প্লেট দ্বারা গঠিত, যা ধীরে ধীরে সরে যায়।
-
টেকটোনিক প্লেটের গতি ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, এবং পাহাড় গঠনের জন্য দায়ী।
টেকটোনিক প্লেটের বৈশিষ্ট্য
-
প্লেট হলো পৃথিবীর অভ্যন্তরের গলিত অংশের সবচেয়ে বাইরের আবরণ।
-
এর উপরে পৃথিবীর সব ভূ-গঠন অবস্থান করছে।
-
১৯১২ সালে ওয়েগেনারের মহীসঞ্চারণ তত্ত্ব অনুসারে, এক সময় সব মহাদেশ মিলিত ছিল, যা প্যানজিয়া (Pangaea) নামে পরিচিত।
-
ভূ-ত্বক প্রধানত ৭টি বড় এবং কয়েকটি ছোট গতিশীল প্লেট দ্বারা গঠিত।
প্রধান ৭টি টেকটোনিক প্লেট
-
ইউরেশীয় প্লেট (Eurasian Plate)
-
উত্তর আমেরিকান প্লেট (North American Plate)
-
দক্ষিণ আমেরিকান প্লেট (South American Plate)
-
আফ্রিকান প্লেট (African Plate)
-
অ্যান্টার্কটিক প্লেট (Antarctic Plate)
-
ভারত-অস্ট্রেলীয় প্লেট (Indo-Australian Plate)
-
প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট (Pacific Plate)
উৎস: ভূগোল, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 1 month ago
বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর সবচেয়ে শীতলতম তাপমাত্রা ধারণ করে?
Created: 1 month ago
A
তাপমণ্ডল
B
স্ট্র্যাটোমণ্ডল
C
মেসোমণ্ডল
D
এক্সোমণ্ডল
মেসোমণ্ডল (Mesosphere)
-
সংজ্ঞা: স্ট্রাটোবিরতির উপরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তর হলো মেসোমণ্ডল।
-
এই স্তরের উপরে তাপমাত্রা হ্রাস বন্ধ হয়ে যায়; একে মেসোবিরতি (Mesopause) বলে।
মেসোমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য
-
ট্রপোমণ্ডলের মতো এখানেও উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে তাপমাত্রা ক্রমশ হ্রাস পায় এবং সর্বনিম্ন –৮৩° সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়।
-
এটি বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে শীতল স্তর।
-
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ধাবিত হওয়া অধিকাংশ উল্কা (Meteor) এই স্তরে এসে জ্বলে-পুড়ে যায়।
তাপমণ্ডল (Thermosphere)
-
সংজ্ঞা: মেসোবিরতির উপরে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তর হলো তাপমণ্ডল।
-
এ স্তরের বায়ু খুবই হালকা এবং বায়ুচাপ অতি সামান্য।
-
তাপমণ্ডলের নিচের অংশকে আয়নমণ্ডল (Ionosphere) বলা হয়।
তাপমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য
-
এ স্তরে তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ ১৪৮০° সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছায়।
-
উপরের স্তরে তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে প্রায় স্থির থাকে।
-
তীব্র সৌর বিকিরণের ফলে রঞ্জন রশ্মি (X-ray) ও অতিবেগুনি রশ্মি (UV ray) এর সংঘাতে বায়ু আয়নিত হয়।
-
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রেরিত বেতার তরঙ্গ (Radio waves) আয়নমণ্ডলের আয়নের সাথে প্রতিফলিত হয়ে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি রক্তরসের জৈব পদার্থ?
Created: 1 month ago
A
ক্যালসিয়াম
B
লেসিথিন
C
আয়োডিন
D
সোডিয়াম
রক্তরস বা প্লাজমা
-
রক্তের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে।
-
রক্তরসের প্রায় ৯০% পানি, আর বাকি ১০% জৈব ও অজৈব পদার্থ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।
অজৈব পদার্থ
-
বিভিন্ন খনিজ পদার্থের আয়ন যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, আয়োডিন।
-
গ্যাসীয় পদার্থ যেমন: O₂, CO₂, N₂।
জৈব পদার্থ
১. খাদ্যসার → গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন।
২. রেচন পদার্থ → ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন।
৩. প্রোটিন → ফাইব্রিনোজেন, গ্লোবিউলিন, অ্যালবুমিন, প্রোথ্রম্বিন।
৪. প্রতিরক্ষামূলক পদার্থ → অ্যান্টিটক্সিন, অ্যাগ্লুটিনিন।
৫. হরমোন → অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোন।
৬. অন্যান্য যৌগ → কোলেস্টেরল, লেসিথিন, বিলিরুবিন ইত্যাদি।
রক্তরসের কাজ
-
খাদ্যসারকে রক্তকোষসহ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহণ করা।
-
টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে বৃক্কে পৌঁছে দেওয়া।
-
শ্বসনকালে কোষ থেকে উৎপন্ন CO₂ কে বাইকার্বনেট আকারে ফুসফুসে বহন করা।
-
রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পরিবহণ করা।
-
হরমোন, এনজাইম, লিপিড ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া।
-
রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখা।
উৎস: বিজ্ঞান (নবম–দশম শ্রেণি)
0
Updated: 1 month ago