মাটির পাত্রে পানি ঠাণ্ডা থাকে কেন?
A
মাটির পাত্র পানি থেকে তাপ শোষণ করে
B
মাটির পাত্র ভালো তাপ পরিবাহী
C
মাটির পাত্র পানির বাষ্পীভবনে সাহায্য করে
D
মাটির পাত্র তাপ কুপরিবাহী
উত্তরের বিবরণ
গরমের দিনে মাটির কলসিতে পানি রেখে তা ঠান্ডা করা হয় বাষ্পায়নজনিত শীতলীকরণের মাধ্যমে।
মাটির তৈরি কলসির গায়ে অসংখ্য সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে, যার মাধ্যমে অল্প অল্প করে পানি চুঁইয়ে বাইরে বের হয়। ফলে কলসির বাইরের অংশ সবসময় ভেজা থাকে। এই ভেজা অংশের পানি বাষ্পে পরিণত হওয়ার সময় কলসির গা এবং আশেপাশের বাতাস থেকে সুপ্ত তাপ শোষণ করে।
এতে কলসির বাইরের অংশ ঠান্ডা হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে ভেতরের পানিও ঠান্ডা হয়। এই প্রক্রিয়ার ভিত্তিতেই রিফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কাজ করে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
'পিসিকালচার' বলতে কি বোঝায়?
Created: 2 months ago
A
হাঁস-মুরগি পালন
B
মৌমাছি পালন
C
মৎস্য চাষ
D
রেশম চাষ
আধুনিক চাষ পদ্ধতি:
- রেশম চাষ বিদ্যাকে বলা হয়- সেরিকালচার।
- মৎস্য চাষ বিদ্যাকে বলা হয়- পিসিকালচার।
- মৌমাছি পালন বিদ্যাকে বলা হয়- এপিকালচার।
- পাখি পালন বিদ্যাকে বলা হয়- এভিকালচার।
- চিংডি চাষ বিদ্যাকে বলা হয়- প্রণকালচার।
- উদ্যান পালন বিদ্যাকে বলা হয়- হর্টিকালচার।
- সামদ্রিক মৎস্য চাষ বিদ্যাকে বলা হয়- মেরিকালচার।
উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা।

0
Updated: 2 months ago
আমাদের দেশে বনায়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ-
Created: 2 months ago
A
গাছপালা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে
B
গাছপালা O₂ ত্যাগ করে পরিবেশকে নির্মল রাখে ও জীব জগতকে বাঁচায়
C
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোনো অবদান নেই
D
ঝড় ও বন্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিটি দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ বাংলাদেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের প্রায় ১৭ শতাংশ।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বনায়নের গুরুত্ব অনেক। কারণ—
-
গাছপালা পরিবেশে অক্সিজেন সরবরাহ করে, যা বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখতে সহায়তা করে এবং জীবজগতের জীবনধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
গাছপালা বহু ক্ষুদ্র প্রাণী ও পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হয়।
-
গাছপালা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষসহ অন্যান্য জীবকে সুরক্ষা প্রদান করে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 months ago
ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট কোন ধরনের শিলা?
Created: 1 week ago
A
স্তরীভূত শিলা
B
পাললিক শিলা
C
আগ্নেয় শিলা
D
রূপান্তরিত শিলা
শিলা (Rocks)
-
পৃথিবীর ভূত্বক যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত, তাদের সাধারণ নাম শিলা।
-
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দুই বা ততোধিক খনিজ পদার্থের সংমিশ্রণে শিলার সৃষ্টি হয়।
-
ভূত্বক গঠনকারী সব ধরনের কঠিন ও কোমল পদার্থই শিলা।
যেমন: নুড়ি, কাঁকর, গ্রানাইট, কাদা, বালি প্রভৃতি। -
গঠনপ্রণালী অনুসারে শিলাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়—
১) আগ্নেয় শিলা
২) পাললিক শিলা
৩) রূপান্তরিত শিলা
আগ্নেয় শিলা (Igneous Rocks)
-
পৃথিবীর জন্মের প্রাথমিক অবস্থায় এটি ছিল উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড। ক্রমে তাপ বিকিরণ ঘটিয়ে এটি তরল আকার ধারণ করে। পরে আরও তাপ বিকিরণের ফলে এর উপরিভাগ শীতল ও কঠিন হয়ে যায়।
-
এভাবে গলিত অবস্থায় থেকে শীতল হয়ে যে শিলা তৈরি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে।
-
আগ্নেয় শিলা পৃথিবীর প্রথম শিলা, তাই একে প্রাথমিক শিলা-ও বলা হয়।
-
এই শিলায় কোনো স্তর নেই, তাই এর অপর নাম অস্তরীভূত শিলা।
-
আগ্নেয় শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায় না।
বৈশিষ্ট্য:
১) স্ফটিকাকার
২) অস্তরীভূত
৩) কঠিন ও কম ভঙ্গুর
৪) জীবাশ্মহীন
৫) অপেক্ষাকৃত ভারী
-
ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় ভূত্বকের দুর্বল অংশে ফাটল তৈরি হলে অভ্যন্তরীণ উত্তপ্ত লাভা বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট জাতীয় শিলার সৃষ্টি করে।
আগ্নেয় শিলার প্রকারভেদ
(ক) বহিঃজ আগ্নেয় শিলা (Extrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা অন্য কোনো কারণে বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে বহিঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এদের দানা সূক্ষ্ম ও রং সাধারণত গাঢ় হয়।
-
উদাহরণ: ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট।
(খ) অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা (Intrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে না গিয়ে ভূগর্ভেই শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এর দানাগুলো স্থূল ও রং অপেক্ষাকৃত হালকা হয়।
-
উদাহরণ: গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট, ল্যাকোলিথ, ব্যাথোলিথ, ডাইক, সিল।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago