শিখা পত্রিকার প্রথম সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন-
A
কাজী মোতাহার হোসেন
B
আবুল হুসেন
C
আবুল ফজল
D
মুন্সি আহমদ আলী
উত্তরের বিবরণ
শিখা ছিল মুসলিম সাহিত্য-সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুখপত্র, যা বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
শিখা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৬ সালে ঢাকায়, মুসলিম সাহিত্য-সমাজের মুখপত্র হিসেবে।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন ছিলেন এর প্রথম সংখ্যার সম্পাদক।
-
এটি বছরে একবার প্রকাশিত হতো।
-
প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় চৈত্র ১৩৩৩ (৮ এপ্রিল ১৯২৭ খ্রি.)।
-
পত্রিকাটি মুসলিম সাহিত্য-সমাজের পক্ষে আবদুল কাদির কর্তৃক মুসলিম হল থেকে প্রকাশিত হয় এবং মুন্সি আহমদ আলী কর্তৃক সাত রওজার (ঢাকা) ইসলামিয়া প্রেস থেকে মুদ্রিত হয়।
-
শিখার মোট পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন।
-
প্রকাশকাল: আশ্বিন ১৩৩৫ (অক্টোবর ১৯২৮) ও ১৩৩৬ (১৯২৯)।
-
-
চতুর্থ ও পঞ্চম সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে মোহাম্মদ আবদুর রশিদ ও আবুল ফজল।
-
প্রকাশকাল: ১৩৩৭ (১৯৩০) ও ১৩৩৮ (১৯৩১) বঙ্গাব্দ।
-
-
দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম সংখ্যা প্রকাশ করেছিলেন সৈয়দ ইমামুল হোসেন, নবাবপুর (ঢাকা)-এর মডার্ন লাইব্রেরি থেকে।
0
Updated: 1 month ago
সবুজপত্র পত্রিকাটির সম্পাদক কে?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
শেখ ফজলুল করিম
C
প্রমথ চৌধুরী
D
মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন
'সবুজপত্র' পত্রিকা বাংলা সাহিত্যের চলতি গদ্যরীতির প্রচলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এটি প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় ১৯১৪ সালে মাসিক হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং বাংলা বৈশাখ ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হওয়া এটি বাংলা গদ্যরীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
পত্রিকাটি সাধু গদ্যরীতির পরিবর্তে চলিত গদ্যরীতিকে ব্যবহার ও প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক হয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও এই পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে চলিত গদ্যরীতির স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তা চর্চা করেন।
এছাড়াও, সাহিত্য জগতে 'সবুজপত্র গোষ্ঠী' গঠনের ক্ষেত্রেও পত্রিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পত্রিকাটি ১৯২৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
-
সম্পাদক: প্রমথ চৌধুরি
-
প্রথম প্রকাশ: ১৯১৪, মাসিক 'সবুজপত্র'
-
বাংলা বৈশাখ ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশ
-
গদ্যরীতিতে প্রভাব: চলিত গদ্যরীতি প্রচলন ও প্রতিষ্ঠা
-
বিশিষ্ট অবদান: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চলিত গদ্যরীতি চর্চায় সহায়ক
-
সাহিত্যকেন্দ্রিক ভূমিকা: 'সবুজপত্র গোষ্ঠী' গঠনে সহায়ক
-
সমাপ্তি: ১৯২৭ সালে বন্ধ
0
Updated: 1 month ago
নজরুল ইসলামের সম্পাদিত পত্রিকা কোনটি?
Created: 3 months ago
A
মাহে নও
B
সওগাত
C
ধূমকেতু
D
কালিকলম
‘ধূমকেতু’ পত্রিকা
১৯২২ সালে কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় অর্ধসপ্তাহিক পত্রিকা ‘ধূমকেতু’। এই পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত পংক্তি প্রকাশিত হয়েছিল –
“আয় চলে আয় রে ধূমকেতু,
আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু।”
বিশেষ করে ধূমকেতুর পূজা সংখ্যায়, অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ তারিখে ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ শিরোনামে একটি সংখ্যা প্রকাশিত হলে ব্রিটিশ শাসকগণ পত্রিকাটি বাজেয়াপ্ত করে এবং নজরুলকে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে,
-
‘সওগাত’ ছিল একটি মাসিক সচিত্র পত্রিকা, যা ১৩২৫ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণে (১৯১৮) মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের সম্পাদনায় কলকাতা থেকে প্রকাশ পেয়েছিল।
-
১৯৫২ সালে ঢাকায় আবদুল কাদের ‘মাহে নও’ নামে একটি মাসিক পত্রিকার সম্পাদনা করতেন।
-
‘কালিকলম’ নামক সচিত্র মাসিক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হত কলকাতার কলেজ স্ট্রিট মার্কেটের বরদা এজেন্সির মাধ্যমে, যার সম্পাদনায় ছিলেন মুরলীধর বসু, শৈলেজানন্দ মুখোপাধ্যায় ও প্রেমেন্দ্র মিত্র।
কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে:
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য প্রতিভা। তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠে বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। বাংলা সাহিত্যে তাঁকে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে স্মরণ করা হয়। আধুনিক বাংলা গানের জগতে তিনি ‘বুলবুল’ নামেও পরিচিত।
সংগীত সংকলন:
নজরুলের লেখা সংগীত সংকলনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য —
-
চোখের চাতক
-
নজরুল গীতিকা
-
সুর সাকী
-
বনগীতি
উপন্যাসসমূহ:
-
বাঁধন-হারা
-
মৃত্যুক্ষুধা
-
কুহেলিকা
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
দুর্দিনের যাত্রী
-
যুগবাণী
-
রুদ্র মঙ্গল
সম্পাদিত পত্রিকা:
-
‘ধূমকেতু’ (১৯২২)
-
‘লাঙ্গল’ (১৯২৫), যার প্রধান পরিচালক ছিলেন নজরুল নিজেই
-
‘দৈনিক নবযুগ’, যা তিনি কমরেড মুজাফ্ফর আহমদের সাথে যৌথভাবে সম্পাদনা করেছিলেন।
তথ্যের উৎস: বাংলাপিডিয়া ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সংক্রান্ত গবেষণা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম পত্রিকার সম্পাদকের নাম কী?
Created: 2 months ago
A
মুনীর চৌধুরী
B
হাসান হাফিজুর রহমান
C
শামসুর রাহমান
D
গাজীউল হক
‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সাহিত্য সংকলন
‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৈরি প্রথম সাহিত্য সংকলন। এটি কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, গান, নকশা ও ইতিহাস—মোট ৬টি বিভাগের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তাই এটিকে ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম পত্রিকা হিসাবেও দেখা যায়।
-
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য ঢাকায় যে আত্মদান করা হয়েছিল, তার স্মরণে ১৯৫৩ সালের মার্চে হাসান হাফিজুর রহমান ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ নামে সংকলনটি সম্পাদনা করেন।
-
প্রকাশক ছিলেন মোহাম্মদ সুলতান। সম্পাদক ও প্রকাশক উভয়েই বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
সংকলনে মোট ২২ জন লেখকের লেখা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গান প্রথমবার এই সংকলনে প্রকাশিত হয়।
-
প্রকাশের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago