গণহত্যা সনদ (Genocide Convention) কবে স্বাক্ষরিত হয়?
A
১২ জানুয়ারি, ১৯৪৮
B
৯ ডিসেম্বর, ১৯৪৮
C
১২ জানুয়ারি, ১৯৫১
D
৯ ডিসেম্বর, ১৯৫১
উত্তরের বিবরণ
গণহত্যা সনদ (Genocide Convention) হলো একটি আন্তর্জাতিক আইন, যা প্রথমবারের মতো গণহত্যার অপরাধকে আইনগতভাবে সংজ্ঞায়িত করে। চুক্তির পূর্ণ নাম হলো Convention on the Prevention and Punishment of the Crime of Genocide। এটি স্বাক্ষরিত হয় ৯ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ এবং কার্যকর হয় ১২ জানুয়ারি, ১৯৫১-এ। সনদের মূল উদ্দেশ্য হলো গণহত্যার প্রতিরোধ এবং গণহত্যার অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
-
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সনদটি চূড়ান্ত করা হয়
-
সনদ অনুযায়ী, জাতিগত, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত অপরাধ গণহত্যা হিসেবে গণ্য হবে
-
গণহত্যা যুদ্ধকালীন বা শান্তিকালীন সময়েও সংঘটিত হতে পারে
-
সনদে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বা ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ অন্তর্ভুক্ত নয়
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
Related MCQ
গ্রীন হাউস গ্যাসসমূহ নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি “The Kyoto Protocol” জাতিসংঘ কর্তৃক কত সালে গৃহীত হয়?
Created: 1 week ago
A
১৯৯৭
B
১৯৯৯
C
২০০৩
D
২০০৪
কিয়োটো প্রটোকল হলো জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় জাতিসংঘের উদ্যোগে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যেখানে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বাধ্যতামূলকভাবে হ্রাস করতে বলা হয়। এটি বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
স্বাক্ষরের তারিখ: ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৭
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫
-
স্বাক্ষরের স্থান: কিয়োটো, জাপান
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ৮৩টি
-
অনুমোদনকারী দেশ: ১৯২টি
-
প্রটোকলের মেয়াদ শেষ: ২০২০ সাল
উল্লেখযোগ্য তথ্যসমূহ:
-
এই সম্মেলনে জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত ১৯১টি দেশ উপস্থিত ছিল, যেখানে কানাডা, দক্ষিণ সুদান ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যতিক্রম ছিল।
-
কিয়োটো প্রটোকলে নির্ধারিত হয় যে ২০১২ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৫.২ শতাংশ হ্রাস করতে হবে।
-
চুক্তি বাস্তবায়নের শর্ত অনুযায়ী, বিশ্বে মোট গ্রিনহাউস গ্যাসের ৫৫ শতাংশ উৎপাদনকারী দেশগুলোর স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল।
-
প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি দেশকে নিজস্ব সীমার মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হয়।
-
অংশগ্রহণকারী দেশগুলো যে ছয়টি গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার করে সেগুলো হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
হাইড্রোফ্লোরোকার্বনস (HFCs)
-
পারফ্লোরোকার্বনস (PFCs)
-
সালফার হেক্সাফ্লোরাইড (SF₆)
-

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি কখন শেষ হবে?
Created: 5 days ago
A
২০৪০
B
২০২৬
C
২০২৪
D
২০৩০
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানি বন্টন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়,যা দুই দেশের জল সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতার সূচনা করে। চুক্তির মূল বিষয়গুলো হলো:
-
চুক্তির মেয়াদকাল ৩০ বছর, অর্থাৎ এটি ২০২৬ সালে শেষ হবে।
-
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রতি মিনিটে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি প্রাপ্তির অধিকার রাখে, তবে বাস্তবে এই পরিমাণ পানির সরবরাহ সম্পূর্ণ হয়নি।
-
চুক্তি নদী পানির ন্যায্য বন্টন ও জলসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দুই দেশের সহযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই করা হয়েছিল।

0
Updated: 5 days ago
১৯৯০ এর দশকে ইউরোপের কোন দেশে জাতিসত্ত্বা সংঘাতের সমস্যাটির সমাপ্তি করেছে একটি শান্তি চুক্তির মাধ্যমে?
Created: 2 months ago
A
স্কটল্যান্ড
B
আয়ারল্যান্ড
C
নেদারল্যান্ড
D
সুইজারল্যান্ড
১৯৯০ এর দশকে ইউরোপের দেশ উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যের সাথে বেলফাস্ট চুক্তির (Belfast Agreement) মাধ্যমে জাতিসত্ত্বা সংঘাতের সমস্যাটির সমাপ্তি করেছে।
বেলফাস্ট চুক্তির সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
চুক্তি স্বাক্ষর: ১০ এপ্রিল, ১৯৯৮
-
কার্যকর: ডিসেম্বর, ১৯৯৯
-
স্থান: বেলফাস্ট, উত্তর আয়ারল্যান্ড
-
পক্ষ: যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড সরকার, এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল
চুক্তির মূল উদ্দেশ্য:
শান্তি প্রতিষ্ঠা: ক্যাথলিক জাতীয়তাবাদী ও প্রটেস্টান্ট ইউনিয়নিস্টদের মধ্যে দীর্ঘ সংঘর্ষ অবসান
-
সংবিধানিক কাঠামো নির্ধারণ: উত্তর আয়ারল্যান্ডে নতুন রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা গঠন
-
সশস্ত্র সংঘাতের ইতি টানা: ‘The Troubles’ নামে পরিচিত সহিংসতা বন্ধ
এই চুক্তি উত্তর আয়ারল্যান্ডে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 2 months ago