‘অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশ ভূমি'।-পঙ্ক্তিটির রচয়িতা কে?
A
আল মাহমুদ
B
সুকান্ত ভট্টাচার্য
C
নির্মলেন্দু গুণ
D
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
উত্তরের বিবরণ
উক্ত পঙক্তিটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচনা করেছেন। তাঁর কবিতায় দেশপ্রেম, শোষিত মানুষের দুঃখ-কষ্ট, বিদ্রোহ ও মানবতার বাণী বারবার প্রকাশ পেয়েছে।
-
সুকান্ত ভট্টাচার্য ১৯২৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি পরিচিত কিশোর কবি, মার্কসবাদী কবি এবং মানবতার কবি হিসেবে।
-
তাঁর কাব্যে পৃথিবীর শোষিত মানুষের জীবনযন্ত্রণা, বিক্ষোভ ও বিদ্রোহের চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
নজরুল ইসলাম-এর পর সুকান্তের কবিতায় সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বিদ্রোহের বাণী লক্ষ্য করা যায়।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:
-
পূর্বাভাস
-
হরতাল
-
ঘুম নেই
-
ছাড়পত্র
-
অভিযান
0
Updated: 1 month ago
'কৃপার শাস্ত্রের অর্থ ভেদ' - গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
Created: 2 months ago
A
মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ
B
দোম আন্তোনিও
C
উইলিয়াম কেরি
D
নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থ ভেদ’ গ্রন্থ
-
রচয়িতা: রোমান ক্যাথলিক পর্তুগিজ পাদ্রি মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ
-
রচনা ও প্রকাশ: ১৭৩৪ সালে রচিত; ১৭৪৩ সালে লিসবনে রোমান হরফে মুদ্রিত
-
লিখিত স্থান: ঢাকার ভাওয়াল অঞ্চলের নাগরী
-
বিশেষত্ব: বাংলা গদ্যের প্রাথমিক প্রচেষ্টার নিদর্শন
-
ভাষা ও রচনার ধরণ:
-
বাঁ দিকের পৃষ্ঠা: বাংলা
-
ডান দিকের পৃষ্ঠা: পর্তুগিজ
-
বিষয়বস্তু: গুরু ও শিষ্যের কথোপকথনের মাধ্যমে খ্রিষ্টধর্মের মহিমা এবং খ্রিষ্টানদের আচার-অনুষ্ঠান
-
মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ
-
জাতীয়তা: পর্তুগিজ
-
পেশা: খ্রিস্টান ধর্মযাজক
-
সাহিত্যিক অবদান:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচনার প্রথম প্রয়াসকারী
-
১৭৪৩ সালে দুটি বাংলা গ্রন্থ রচনা ও মুদ্রণ করেছেন
-
মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ রচিত গ্রন্থসমূহ
-
কৃপা শাস্ত্রের অর্থভেদ
-
ভোকাবুলিরও এম ইদিওমা বেনগল্লা ই পোরতুগিজ
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলাপিডিয়া
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago
'মধুর চেয়েও আছে মধুর সে আমার এই দেশের মাটি খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি'। - কবিতায় এই অংশ বিশেষের রচয়িতা-
Created: 4 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
C
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
D
নির্মলেন্দু গুণ
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কবি ও ছান্দসিক, যিনি ‘ছন্দের জাদুকর’ বা ‘ছন্দের রাজা’ নামে পরিচিত। তিনি ১৮৮২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কলকাতার নিকটবর্তী নিমতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর সাহিত্যকর্মে ছন্দের জাদু যেমন দৃশ্যমান, তেমনি তাঁর ছদ্মনাম যেমন নবকুমার, কবিরত্ন, অশীতিপর শর্মা, ত্রিবিক্রম বর্মণ ও কলমগীর, এসব নামেও তিনি সাহিত্য জগতে সমাদৃত।
সাহিত্যকর্ম
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুচ্ছের মধ্যে রয়েছে —
সবিতা, সন্ধিক্ষণ, বেণু ও বীণা, কুহু ও কেকা, তুলির লিখন, হোমশিখা, অভ্র-আবীর, হসন্তিকা, বেলা শেষের গান, বিদায় আরতি ইত্যাদি।
এছাড়াও তিনি অনুবাদকাব্য রচনায়ও সমান দক্ষ ছিলেন, যার মধ্যে প্রধান দুটি হলো — তীর্থ রেণু ও মণি মঞ্জুষা।
কবিতা: খাঁটি সোনা
“মধুর চেয়ে আছে মধুর,
সে এই আমার দেশের মাটি।
আমার দেশের পথের ধূলা,
খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।”
এই কবিতার মাধ্যমে তিনি আমাদের দেশের মাটির প্রতি এক গভীর ভালোবাসা এবং গর্ব ব্যক্ত করেছেন। তাঁর দৃষ্টিতে দেশীয় মাটি এবং পথের ধূলা, যা সাধারণ চোখে অবমূল্যায়িত, তা হলো সোনার চেয়ে খাঁটি ও মূল্যবান।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 4 months ago
‘কাঁদো নদী কাঁদো’ এর রচয়িতা কে?
Created: 2 days ago
A
মুনীর চৌধুরী
B
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
C
শহীদুল্লা কায়সার
D
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
‘কাঁদো নদী কাঁদো’ একটি প্রসিদ্ধ বাংলা উপন্যাস, যার রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। এই উপন্যাসে লেখক মানুষের মানসিক দ্বন্দ্ব, সমাজের বৈষম্য ও বাস্তবতার নির্মম চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। এটি বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি হিসেবে বিবেচিত।
-
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (১৯২২–১৯৭১) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক।
-
তাঁর রচনায় মানুষের অন্তর্জগৎ ও সামাজিক বাস্তবতা গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
‘কাঁদো নদী কাঁদো’ ছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো ‘লালসালু’ ও ‘চাঁদের আলো’।
-
এই উপন্যাসে গ্রামীণ সমাজের ধর্মীয় কুসংস্কার, শ্রেণি বৈষম্য এবং মানবিক সংগ্রাম বাস্তবভাবে চিত্রিত হয়েছে।
-
ভাষা ও ভাবের নিপুণ ব্যবহারে এটি বাংলা উপন্যাসের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
0
Updated: 2 days ago