মাটির পাত্রে পানি ঠাণ্ডা থাকে কেন?
A
মাটির পাত্র পানি থেকে তাপ শোষণ করে
B
মাটির পাত্র ভালো তাপ পরিবাহী
C
মাটির পাত্র পানির বাষ্পীভবনে সাহায্য করে
D
মাটির পাত্র তাপ কুপরিবাহী
উত্তরের বিবরণ
গরমের দিনে মাটির কলসিতে পানি রেখে তা ঠান্ডা করা হয় বাষ্পায়নজনিত শীতলীকরণের মাধ্যমে।
মাটির তৈরি কলসির গায়ে অসংখ্য সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে, যার মাধ্যমে অল্প অল্প করে পানি চুঁইয়ে বাইরে বের হয়। ফলে কলসির বাইরের অংশ সবসময় ভেজা থাকে। এই ভেজা অংশের পানি বাষ্পে পরিণত হওয়ার সময় কলসির গা এবং আশেপাশের বাতাস থেকে সুপ্ত তাপ শোষণ করে।
এতে কলসির বাইরের অংশ ঠান্ডা হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে ভেতরের পানিও ঠান্ডা হয়। এই প্রক্রিয়ার ভিত্তিতেই রিফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কাজ করে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল কোনটি?
Created: 1 month ago
A
দুর্বল নিউক্লীয় বল
B
মহাকর্ষ বল
C
সবল নিউক্লীয় বল
D
তড়িৎ চৌম্বক বল
বল (Force)
-
সংজ্ঞা: যে বস্তু স্থির অবস্থায় থাকা অন্য কোনো বস্তুকে গতি দিতে চায় বা করতে সক্ষম, অথবা যে বস্তু গতিশীল তার গতিতে পরিবর্তন আনে, তাকে বল বলে।
-
বল সবসময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে।
-
প্রকৃতিতে মোট চার ধরনের মৌলিক বল আছে:
১) মহাকর্ষ বল
২) তড়িৎ-চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল
৩) দুর্বল নিউক্লীয় বল
৪) সবল নিউক্লীয় বল
1️⃣ মহাকর্ষ বল (Gravitational Force)
-
সংজ্ঞা: সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে আকর্ষণ করে, সেটি মহাকর্ষ বল।
-
উদাহরণ:
-
গ্যালাক্সির মধ্যে নক্ষত্র ঘোরে।
-
সূর্যকে ঘিরে পৃথিবী এবং পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদ ঘোরে।
-
-
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে মধ্যাকর্ষণ বল বলা হয়।
-
এটি মানুষকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টানে, যার ফলে আমরা ওজন অনুভব করি।
-
যেকোনো ভরযুক্ত বস্তু অন্য বস্তুকে মহাকর্ষ বল প্রয়োগ করে।
2️⃣ তড়িৎ-চৌম্বক বল (Electromagnetic Force)
-
দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরকে যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করে, সেটি তড়িৎ-চৌম্বক বল।
3️⃣ দুর্বল নিউক্লীয় বল (Weak Nuclear Force)
-
এটি তড়িৎ-চৌম্বক বলের তুলনায় প্রায় ট্রিলিয়ন গুণ দুর্বল, কিন্তু মহাকর্ষ বলের তুলনায় দুর্বল নয়।
-
মহাকর্ষ ও তড়িৎ-চৌম্বক বল দূরত্বের বড় পরিসরে কাজ করতে পারে, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বল খুবই অল্প দূরত্বে (~10⁻¹⁸ মিটার) কার্যকর।
4️⃣ সবল নিউক্লীয় বল (Strong Nuclear Force)
-
এটি সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল।
-
তড়িৎ-চৌম্বক বলের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বলের মতো খুব অল্প (~10⁻¹⁵ মিটার) দূরত্বে কাজ করে।
-
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো ও তাপ এই বলের কারণে উৎপন্ন হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট কোন ধরনের শিলা?
Created: 1 month ago
A
স্তরীভূত শিলা
B
পাললিক শিলা
C
আগ্নেয় শিলা
D
রূপান্তরিত শিলা
শিলা (Rocks)
-
পৃথিবীর ভূত্বক যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত, তাদের সাধারণ নাম শিলা।
-
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দুই বা ততোধিক খনিজ পদার্থের সংমিশ্রণে শিলার সৃষ্টি হয়।
-
ভূত্বক গঠনকারী সব ধরনের কঠিন ও কোমল পদার্থই শিলা।
যেমন: নুড়ি, কাঁকর, গ্রানাইট, কাদা, বালি প্রভৃতি। -
গঠনপ্রণালী অনুসারে শিলাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়—
১) আগ্নেয় শিলা
২) পাললিক শিলা
৩) রূপান্তরিত শিলা
আগ্নেয় শিলা (Igneous Rocks)
-
পৃথিবীর জন্মের প্রাথমিক অবস্থায় এটি ছিল উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড। ক্রমে তাপ বিকিরণ ঘটিয়ে এটি তরল আকার ধারণ করে। পরে আরও তাপ বিকিরণের ফলে এর উপরিভাগ শীতল ও কঠিন হয়ে যায়।
-
এভাবে গলিত অবস্থায় থেকে শীতল হয়ে যে শিলা তৈরি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে।
-
আগ্নেয় শিলা পৃথিবীর প্রথম শিলা, তাই একে প্রাথমিক শিলা-ও বলা হয়।
-
এই শিলায় কোনো স্তর নেই, তাই এর অপর নাম অস্তরীভূত শিলা।
-
আগ্নেয় শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায় না।
বৈশিষ্ট্য:
১) স্ফটিকাকার
২) অস্তরীভূত
৩) কঠিন ও কম ভঙ্গুর
৪) জীবাশ্মহীন
৫) অপেক্ষাকৃত ভারী
-
ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় ভূত্বকের দুর্বল অংশে ফাটল তৈরি হলে অভ্যন্তরীণ উত্তপ্ত লাভা বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট জাতীয় শিলার সৃষ্টি করে।
আগ্নেয় শিলার প্রকারভেদ
(ক) বহিঃজ আগ্নেয় শিলা (Extrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা অন্য কোনো কারণে বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে বহিঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এদের দানা সূক্ষ্ম ও রং সাধারণত গাঢ় হয়।
-
উদাহরণ: ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট।
(খ) অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা (Intrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে না গিয়ে ভূগর্ভেই শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এর দানাগুলো স্থূল ও রং অপেক্ষাকৃত হালকা হয়।
-
উদাহরণ: গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট, ল্যাকোলিথ, ব্যাথোলিথ, ডাইক, সিল।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন উপাদানের অভাবে উদ্ভিদের ক্লোরোসিস হতে পারে?
Created: 1 month ago
A
লৌহ
B
ম্যাঙ্গানিজ
C
দস্তা
D
উপরোক্ত সবগুলোই
নাইট্রোজেন (N)
-
উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ক্লোরোফিল উৎপাদনে সরাসরি ভূমিকা রাখে।
-
নাইট্রোজেনের অভাবে ক্লোরোফিল তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে পাতার সবুজ রং ফিকে হয়ে ধীরে ধীরে হলুদে পরিণত হয়।
-
ক্লোরোফিলের অনুপস্থিতিতে অন্যান্য বর্ণকণার সম্মিলিত রঙ পাতায় দেখা দেয়, যা মূলত হলুদ।
-
পাতার এই হলুদ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্লোরোসিস (Chlorosis) বলা হয়।
-
শুধু নাইট্রোজেনের অভাব নয়, লৌহ (Fe), ম্যাঙ্গানিজ (Mn), দস্তা (Zn) এর ঘাটতিতেও ক্লোরোসিস হতে পারে, কারণ এ উপাদানগুলোও ক্লোরোফিল তৈরির সাথে সম্পর্কিত।
-
ক্লোরোসিস হলে কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন হ্রাস পায়, ফলে উদ্ভিদের সামগ্রিক বৃদ্ধি কমে যায়।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago