টেস্টিং সল্ট-এর রাসায়নিক নাম কি?
A
সোডিয়াম বাইকার্বোনেট
B
সোডিয়াম গ্লুটামেট
C
পটাশিয়াম বাইকার্বোনেট
D
সোডিয়াম মনোগ্লুটামেট
উত্তরের বিবরণ
সাধারণভাবে আমরা যে খাবার লবণ ব্যবহার করি, তার রাসায়নিক নাম হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। এর পাশাপাশি আরও এক ধরনের লবণ রয়েছে,
যা "টেস্টিং সল্ট" নামে পরিচিত এবং যার রাসায়নিক নাম মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট (MSG)। এটি খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে শুকনো খাবার যেমন পাউরুটি ও চানাচুরে।
এছাড়া আর্দ্র সোডিয়াম সালফেট একটি বিশেষ ধরনের লবণ, যা গ্লুবার লবণ নামে পরিচিত। অপরদিকে, সোডিয়াম থায়োসালফেট কে সাধারণভাবে হাইপো নামে ডাকা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি [২০১৯ সংস্করণ]।

0
Updated: 2 months ago
মাছ চাষের জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন মাত্রা কত?
Created: 1 week ago
A
২ পিপিএম
B
৫ পিপিএম
C
১০ পিপিএম
D
১২ পিপিএম
মাছ চাষের পুকুরের পানির গুণাগুণ
মাছের সুস্থ বৃদ্ধি, খাদ্যগ্রহণ এবং উৎপাদনের জন্য পুকুরের পানির গুণাগুণ উপযুক্ত মাত্রায় থাকা জরুরি। পুকুরের পানি দুই ধরণের গুণাবলীতে ভাগ করা যায়—
1️⃣ ভৌত গুণাগুণ (Physical Properties)
ক) গভীরতা:
-
খুব গভীর পুকুরে সূর্যের আলো নীচ পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য প্লাংকটন কম উৎপন্ন হয় এবং অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।
-
খুব অগভীর পুকুরে গ্রীষ্মকালে পানি অতিরিক্ত গরম হয়, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর।
খ) তাপমাত্রা:
-
মাছের বৃদ্ধি তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। শীতকালে খাবার গ্রহণ কমে যাওয়ায় বৃদ্ধি কম হয়।
-
উদাহরণ: রুই মাছের জন্য ২৫–৩০°সে তাপমাত্রা অনুকূল।
গ) ঘোলাত্ব (Turbidity):
-
কাদা বা কণার কারণে পানি ঘোলা হলে সূর্যালোক কম প্রবেশ করে, যা মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
ঘ) সূর্যালোক:
-
পর্যাপ্ত সূর্যালোক থাকলে সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়। ফলে ফাইটোপ্লাংকটন বৃদ্ধি পায় এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
2️⃣ রাসায়নিক গুণাগুণ (Chemical Properties)
ক) দ্রবীভূত অক্সিজেন (Dissolved Oxygen, DO):
-
মাছ চাষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রধান উৎস: ফাইটোপ্লাংকটন ও জলজ উদ্ভিদ দ্বারা সালোকসংশ্লেষণ এবং বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি পানিতে মিশ্রিত হওয়া।
-
রাতে সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকে, তাই DO কমে যায়।
-
মাছ চাষের জন্য ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম/লিটার (৫ ppm) থাকা প্রয়োজন।
খ) দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂):
-
ফাইটোপ্লাংকটনের জন্য প্রয়োজনীয়।
-
মাত্রাতিরিক্ত CO₂ মাছের জন্য ক্ষতিকর।
-
নিরাপদ মাত্রা: ১–২ ppm; ১২ ppm পর্যন্ত বিষাক্ত নয়।
গ) পিএইচ (pH):
-
মাছ চাষের জন্য পানির pH ৬.৫–৮.৫ অনুকূল।
-
pH < ৪ বা > ১১ হলে মাছ মারা যায়।
-
অম্লীয় হলে চুন (১–২ কেজি/শতক) প্রয়োগ করা হয়।
-
ক্ষারীয় হলে অ্যামোনিয়াম সালফেট বা তেঁতুল পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।
ঘ) ফসফরাস (Phosphorus):
-
প্রাকৃতিক পানিতে অল্প থাকে।
-
পরিমিত ফসফরাস ফসফেটে রূপান্তরিত হয়ে ফাইটোপ্লাংকনের জন্ম বৃদ্ধি করে।
উৎস: কৃষিশিক্ষা, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
উড়োজাহাজের গতি নির্ণয়াক যন্ত্র-
Created: 2 months ago
A
ক্রনোমিটার
B
ট্যাকোমিটার
C
হাইগ্রোমিটার
D
ওডোমিটার
উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র - ট্যাকোমিটার।
- সমুদ্রের দ্রাঘিমা পরিমাপক যন্ত্র - ক্রনোমিটার।
- মোটর গাড়ির গতি নির্ণায়ক যন্ত্র - ওডোমিটার।
- বায়ুর আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র - হাইগ্রোমিটার।
উৎস: ব্রিটানিকা

0
Updated: 2 months ago
ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট কোন ধরনের শিলা?
Created: 1 week ago
A
স্তরীভূত শিলা
B
পাললিক শিলা
C
আগ্নেয় শিলা
D
রূপান্তরিত শিলা
শিলা (Rocks)
-
পৃথিবীর ভূত্বক যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত, তাদের সাধারণ নাম শিলা।
-
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দুই বা ততোধিক খনিজ পদার্থের সংমিশ্রণে শিলার সৃষ্টি হয়।
-
ভূত্বক গঠনকারী সব ধরনের কঠিন ও কোমল পদার্থই শিলা।
যেমন: নুড়ি, কাঁকর, গ্রানাইট, কাদা, বালি প্রভৃতি। -
গঠনপ্রণালী অনুসারে শিলাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়—
১) আগ্নেয় শিলা
২) পাললিক শিলা
৩) রূপান্তরিত শিলা
আগ্নেয় শিলা (Igneous Rocks)
-
পৃথিবীর জন্মের প্রাথমিক অবস্থায় এটি ছিল উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড। ক্রমে তাপ বিকিরণ ঘটিয়ে এটি তরল আকার ধারণ করে। পরে আরও তাপ বিকিরণের ফলে এর উপরিভাগ শীতল ও কঠিন হয়ে যায়।
-
এভাবে গলিত অবস্থায় থেকে শীতল হয়ে যে শিলা তৈরি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে।
-
আগ্নেয় শিলা পৃথিবীর প্রথম শিলা, তাই একে প্রাথমিক শিলা-ও বলা হয়।
-
এই শিলায় কোনো স্তর নেই, তাই এর অপর নাম অস্তরীভূত শিলা।
-
আগ্নেয় শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায় না।
বৈশিষ্ট্য:
১) স্ফটিকাকার
২) অস্তরীভূত
৩) কঠিন ও কম ভঙ্গুর
৪) জীবাশ্মহীন
৫) অপেক্ষাকৃত ভারী
-
ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় ভূত্বকের দুর্বল অংশে ফাটল তৈরি হলে অভ্যন্তরীণ উত্তপ্ত লাভা বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট জাতীয় শিলার সৃষ্টি করে।
আগ্নেয় শিলার প্রকারভেদ
(ক) বহিঃজ আগ্নেয় শিলা (Extrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা অন্য কোনো কারণে বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে বহিঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এদের দানা সূক্ষ্ম ও রং সাধারণত গাঢ় হয়।
-
উদাহরণ: ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট।
(খ) অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা (Intrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে না গিয়ে ভূগর্ভেই শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এর দানাগুলো স্থূল ও রং অপেক্ষাকৃত হালকা হয়।
-
উদাহরণ: গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট, ল্যাকোলিথ, ব্যাথোলিথ, ডাইক, সিল।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago