'Animal Liberation' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
পিটার সিঙ্গার
B
টমাস হবস
C
রাসেল
D
ইমানুয়েল কান্ট
উত্তরের বিবরণ
পিটার সিঙ্গার একজন অস্ট্রেলিয়ান নৈতিক দার্শনিক, যিনি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির বায়োএথিক্স ইমেরিটাস ইরা ডব্লিউ. ডিক্যাম্প অধ্যাপক পদে ছিলেন। তার ব্যবহারিক নীতিবিদ্যার বৈশিষ্ট্য হলো তথ্যগত উপাদানের উপর ভিত্তি করে দর্শনের প্রয়োগ করা। তিনি বলেন, “তথ্য যেখানে থেমে যায়, দর্শন সেখান থেকে শুরু হয়” এবং “দার্শনিকরা তাদের স্বীয় কাজে ফিরে এসেছে”।
-
বিখ্যাত গ্রন্থ: Animal Liberation
-
এই গ্রন্থে উপযোগবাদ গ্রহণ না করেও অ-মানব প্রাণীর প্রতি আমাদের আচরণের উপর গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
-
গ্রন্থের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অংশে অ-মানব প্রাণীর প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও আচরণ নিয়ে ব্যবহারিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
'আইন হল পক্ষপাতহীন যুক্তি'-উক্তিটি কে করেছেন?
Created: 1 month ago
A
এ্যারিস্টটল
B
জন অস্টিন
C
হল্যান্ড
D
হেনরি মেইন
আইনের প্রামাণ্য সংজ্ঞা বিভিন্ন দার্শনিক, আইনবিদ ও চিন্তাবিদের ব্যাখ্যায় ভিন্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে। তবে প্রত্যেকেই আইনের মৌলিক বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশ্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
-
গ্রিক দার্শনিক এ্যারিস্টটল মনে করেন, “আইন হল পক্ষপাতহীন যুক্তি।” অর্থাৎ আইন ব্যক্তিগত স্বার্থ বা আবেগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, বরং নিরপেক্ষ যুক্তি ও ন্যায়ের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।
-
আইনবিদ জন অস্টিন এর মতে, “সার্বভৌম শক্তির আদেশই আইন।” তাঁর দৃষ্টিতে আইন হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বা শাসকের নির্দেশ, যা অমান্য করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়।
-
অধ্যাপক হল্যান্ড আইনকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে— “আইন হল মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের এমন কতগুলো সাধারণ নিয়ম যা সার্বভৌম রাজনৈতিক কর্তৃত্ব দ্বারা প্রযুক্ত হয়।” অর্থাৎ আইন মানুষের সমাজজীবনের কার্যকলাপকে নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য রাজনৈতিক ক্ষমতা দ্বারা প্রয়োগিত নিয়ম।
-
স্যার হেনরি মেইন এর মতে, “আইন হল পরিবর্তনশীল, ক্রমউন্নতিমূলক, ক্রমবর্ধমান ও দীর্ঘকালীন সামাজিক প্রথার গতির ফল।” তাঁর দৃষ্টিতে আইন স্থির নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে সময়ের প্রয়োজনে গড়ে ওঠে ও বিকশিত হয়।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন আইনের একটি সার্বজনীন ও উৎকৃষ্ট সংজ্ঞা প্রদান করেন। তাঁর মতে, “আইন হল সমাজের সে সব সুপ্রতিষ্ঠিত প্রথা ও রীতিনীতি যেগুলো সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত ও রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত বিধিতে পরিণত হয়েছে এবং যাদের পিছনে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের সুস্পষ্ট সমর্থন রয়েছে।” অর্থাৎ আইন কেবল রাষ্ট্রীয় বিধি নয়, বরং সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সমর্থিত প্রথা ও রীতিনীতির পরিণতি।
0
Updated: 1 month ago
'অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অর্থ অভাব থেকে মুক্তি”-কে বলেছেন?
Created: 1 month ago
A
লাস্কি
B
অস্টিন
C
ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট
D
হবস
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মানুষের এমন একটি অবস্থাকে বোঝায় যেখানে ব্যক্তি তার যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী স্বাচ্ছন্দ্যে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে এবং দৈনন্দিন অভাব ও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত থাকে। এটি রাজনৈতিক স্বাধীনতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত।
-
লাস্কির মতে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা হলো “প্রতিনিয়ত বেকারত্বের আশঙ্কা ও আগামীকালের অভাব থেকে মুক্ত থাকা এবং দৈনিক জীবিকার্জনের সুযোগ থাকা।”
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট বলেন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অর্থ অভাব থেকে মুক্তি।
-
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন।
-
অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো:
-
যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী কর্মে নিযুক্ত হওয়ার অধিকার,
-
বেকার ও বৃদ্ধ বয়সে ভাতা প্রাপ্তির অধিকার,
-
রুগ্ন বা অক্ষম অবস্থায় রাষ্ট্র কর্তৃক প্রতিপালন,
-
উপযুক্ত মজুরি অর্জনের অধিকার।
-
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত হলো-
Created: 1 month ago
A
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
B
আইনের শাসন
C
স্বজনপ্রীতি
D
ন্যায়পরায়ণতা
সুশাসন (Good Governance)
-
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা।
-
সুশাসনের অর্থ হলো যথাযথ ও সুষ্ঠুভাবে শাসন পরিচালনা করা।
-
সুশাসনের মূল পূর্বশর্ত হলো স্বচ্ছতা (Transparency) এবং জবাবদিহিতা (Accountability)।
-
এই দুটি ছাড়া দুর্নীতি রোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
-
অংশগ্রহণ (Participation) এবং ই-গভর্ন্যান্স (E-Governance) সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।
-
স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা, স্বেচ্ছাচারিতা প্রভৃতি সুশাসনের অন্তরায়।
-
বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সুশাসনের বড় অন্তরায় হলো দুর্নীতি।
0
Updated: 1 month ago