A
পেনিসিলিন
B
ইনসুলিন
C
ফোলিক এসিড
D
অ্যামিনো এসিড
উত্তরের বিবরণ
ডায়াবেটিস (বহুমূত্র রোগ)
ডায়াবেটিস মেলিটাস একটি বিপাকজনিত রোগ, যা সাধারণত ইনসুলিন হরমোনের ঘাটতির কারণে দেখা দেয়। এই ইনসুলিন হরমোনটি প্যানক্রিয়াসের (অগ্ন্যাশয়) আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স থেকে নিঃসৃত হয় এবং এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। কখনো কখনো শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা উৎপন্ন ইনসুলিন যথাযথভাবে কাজ করে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন ইনজেকশন বা ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago
'পিসিকালচার' বলতে কি বোঝায়?
Created: 2 weeks ago
A
হাঁস-মুরগি পালন
B
মৌমাছি পালন
C
মৎস্য চাষ
D
রেশম চাষ
আধুনিক চাষ পদ্ধতি:
- রেশম চাষ বিদ্যাকে বলা হয়- সেরিকালচার।
- মৎস্য চাষ বিদ্যাকে বলা হয়- পিসিকালচার।
- মৌমাছি পালন বিদ্যাকে বলা হয়- এপিকালচার।
- পাখি পালন বিদ্যাকে বলা হয়- এভিকালচার।
- চিংডি চাষ বিদ্যাকে বলা হয়- প্রণকালচার।
- উদ্যান পালন বিদ্যাকে বলা হয়- হর্টিকালচার।
- সামদ্রিক মৎস্য চাষ বিদ্যাকে বলা হয়- মেরিকালচার।
উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা।

0
Updated: 2 weeks ago
মাটির পাত্রে পানি ঠাণ্ডা থাকে কেন?
Created: 2 weeks ago
A
মাটির পাত্র পানি থেকে তাপ শোষণ করে
B
মাটির পাত্র ভালো তাপ পরিবাহী
C
মাটির পাত্র পানির বাষ্পীভবনে সাহায্য করে
D
মাটির পাত্র তাপ কুপরিবাহী
গরমের দিনে মাটির কলসিতে পানি রেখে তা ঠান্ডা করা হয় বাষ্পায়নজনিত শীতলীকরণের মাধ্যমে।
মাটির তৈরি কলসির গায়ে অসংখ্য সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে, যার মাধ্যমে অল্প অল্প করে পানি চুঁইয়ে বাইরে বের হয়। ফলে কলসির বাইরের অংশ সবসময় ভেজা থাকে। এই ভেজা অংশের পানি বাষ্পে পরিণত হওয়ার সময় কলসির গা এবং আশেপাশের বাতাস থেকে সুপ্ত তাপ শোষণ করে।
এতে কলসির বাইরের অংশ ঠান্ডা হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে ভেতরের পানিও ঠান্ডা হয়। এই প্রক্রিয়ার ভিত্তিতেই রিফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কাজ করে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
নারভাস সিস্টেমের স্ট্রাকচারাল এবং ফাংশনাল ইউনিটকে কি বলে?
Created: 1 week ago
A
নেফ্রোন
B
নিউরন
C
থাইমাস
D
মাস্ট সেল
স্নায়ুতন্ত্র গঠনে একটি বিশেষ ধরনের টিস্যু কাজ করে, যাকে বলা হয় স্নায়ু টিস্যু। এই টিস্যু বাহ্যিক পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে তা দেহের অভ্যন্তরে সঞ্চালন করতে সক্ষম এবং ফলস্বরূপ নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
স্নায়ু টিস্যু মূলত যে কোষ দ্বারা গঠিত, তাকে স্নায়ু কোষ বা নিউরন বলা হয়। নিউরন হলো স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক, যা ভ্রূণীয় এক্টোডার্ম থেকে উৎপত্তি লাভ করে। নিউরন বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং সেগুলো স্নায়ু তাড়নার মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংশে প্রেরণ করে।
একটি পূর্ণ বিকশিত নিউরন সাধারণত তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত:
-
কোষদেহ (সোমা)
-
ডেনড্রাইট
-
অ্যাক্সন
নিউরনের সাইটোপ্লাজমে সেন্ট্রিয়োল অনুপস্থিত থাকে, যার ফলে এ কোষ বিভাজিত হতে পারে না। নিউরনের কোষদেহ থেকে একাধিক শাখা (ডেনড্রাইট) উৎপন্ন হয়, যেগুলোর মাধ্যমে স্নায়ু উদ্দীপনা নিউরনের দিকে আসে। অন্যদিকে, কোষদেহ থেকে উৎপন্ন একটি দীর্ঘ তন্তু — অ্যাক্সন, স্নায়ু তাড়না পরবর্তী নিউরনের ডেনড্রাইট পর্যন্ত নিয়ে যায়। প্রতিটি নিউরনে কেবল একটি অ্যাক্সন থাকে।
পরপর দুটি নিউরনের অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইটের সংযোগস্থলে যে বিশেষ সন্ধি গঠিত হয়, তাকে সিনাপস (Synapse) বলা হয়। এই সিনাপসের মাধ্যমেই এক নিউরন থেকে অন্য নিউরনে স্নায়ু তাড়না পরিবাহিত হয়।
প্রতিটি প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রে অসংখ্য নিউরন থাকে। এই স্নায়ু তন্ত্রই উদ্দীপনা সংগ্রহ করে সঠিক প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং জটিল প্রাণীদের ক্ষেত্রে স্মৃতি সংরক্ষণ ও দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago