অগ্ন্যাশয় থেকে নির্গত চিনির বিপাক নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন কোনটি?
A
পেনিসিলিন
B
ইনসুলিন
C
ফোলিক এসিড
D
অ্যামিনো এসিড
উত্তরের বিবরণ
ডায়াবেটিস (বহুমূত্র রোগ)
ডায়াবেটিস মেলিটাস একটি বিপাকজনিত রোগ, যা সাধারণত ইনসুলিন হরমোনের ঘাটতির কারণে দেখা দেয়। এই ইনসুলিন হরমোনটি প্যানক্রিয়াসের (অগ্ন্যাশয়) আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স থেকে নিঃসৃত হয় এবং এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। কখনো কখনো শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা উৎপন্ন ইনসুলিন যথাযথভাবে কাজ করে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন ইনজেকশন বা ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 months ago
এটমিক সংখ্যা একই হওয়া সত্ত্বেও নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা বেশি হওয়ার ফলে ভরসংখ্যা বেড়ে যায় বলে তাদের বলা হয়-
Created: 2 months ago
A
আইসোটোপ
B
আইসোমার
C
আইসোটোন
D
আইসোবার
পরমাণুগুলোর পারমাণবিক সংখ্যা যদি সমান হয় কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাহলে তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয়।
-
সহজ কথায়, একই পরমাণু নম্বর থাকার পরও নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা পার্থক্যের কারণে ভর সংখ্যা পরিবর্তিত হয়, যা আইসোটোপ সৃষ্টি করে।
-
অর্থাৎ, আইসোটোপগুলো মূলত নিউট্রনের তারতম্যের ফলাফল।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট কোন ধরনের শিলা?
Created: 1 week ago
A
স্তরীভূত শিলা
B
পাললিক শিলা
C
আগ্নেয় শিলা
D
রূপান্তরিত শিলা
শিলা (Rocks)
-
পৃথিবীর ভূত্বক যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত, তাদের সাধারণ নাম শিলা।
-
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দুই বা ততোধিক খনিজ পদার্থের সংমিশ্রণে শিলার সৃষ্টি হয়।
-
ভূত্বক গঠনকারী সব ধরনের কঠিন ও কোমল পদার্থই শিলা।
যেমন: নুড়ি, কাঁকর, গ্রানাইট, কাদা, বালি প্রভৃতি। -
গঠনপ্রণালী অনুসারে শিলাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়—
১) আগ্নেয় শিলা
২) পাললিক শিলা
৩) রূপান্তরিত শিলা
আগ্নেয় শিলা (Igneous Rocks)
-
পৃথিবীর জন্মের প্রাথমিক অবস্থায় এটি ছিল উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড। ক্রমে তাপ বিকিরণ ঘটিয়ে এটি তরল আকার ধারণ করে। পরে আরও তাপ বিকিরণের ফলে এর উপরিভাগ শীতল ও কঠিন হয়ে যায়।
-
এভাবে গলিত অবস্থায় থেকে শীতল হয়ে যে শিলা তৈরি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে।
-
আগ্নেয় শিলা পৃথিবীর প্রথম শিলা, তাই একে প্রাথমিক শিলা-ও বলা হয়।
-
এই শিলায় কোনো স্তর নেই, তাই এর অপর নাম অস্তরীভূত শিলা।
-
আগ্নেয় শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায় না।
বৈশিষ্ট্য:
১) স্ফটিকাকার
২) অস্তরীভূত
৩) কঠিন ও কম ভঙ্গুর
৪) জীবাশ্মহীন
৫) অপেক্ষাকৃত ভারী
-
ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় ভূত্বকের দুর্বল অংশে ফাটল তৈরি হলে অভ্যন্তরীণ উত্তপ্ত লাভা বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট জাতীয় শিলার সৃষ্টি করে।
আগ্নেয় শিলার প্রকারভেদ
(ক) বহিঃজ আগ্নেয় শিলা (Extrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা অন্য কোনো কারণে বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে বহিঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এদের দানা সূক্ষ্ম ও রং সাধারণত গাঢ় হয়।
-
উদাহরণ: ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট।
(খ) অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা (Intrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে না গিয়ে ভূগর্ভেই শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এর দানাগুলো স্থূল ও রং অপেক্ষাকৃত হালকা হয়।
-
উদাহরণ: গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট, ল্যাকোলিথ, ব্যাথোলিথ, ডাইক, সিল।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র-
Created: 2 months ago
A
স্ফিগমোম্যানোমিটার
B
স্টেথস্কোপ
C
কার্ডিওগ্রাফ
D
ইকোকার্ডিওগ্রাফ
হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের কারণে রক্ত যখন ধমনির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন ধমনিপ্রাচীরে যে চাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলা হয়।
-
সাধারণত রক্তচাপ বলতে ধমনির রক্তচাপকেই বোঝানো হয়।
-
যখন হৃৎপিণ্ড সঙ্কুচিত অবস্থায় থাকে (সিস্টোল), তখন ধমনিতে যে উচ্চ চাপ থাকে তাকে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়।
-
আর যখন হৃৎপিণ্ড বিশ্রামে থাকে (ডায়াস্টোল), তখন ধমনিতে যে নিম্ন চাপ থাকে তাকে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলে।
-
রক্তচাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র হলো স্ফিগমোম্যানোমিটার।
অন্যদিকে,
-
হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের শব্দ শোনা ও নির্ণয়ের যন্ত্র হল স্টেথোস্কোপ।
-
আর হৃৎপিণ্ডের গতি নির্ণয়ের যন্ত্র হলো কার্ডিওগ্রাফ।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago