প্রকৃতিতে সবচেয়ে শক্ত পদার্থ কোনটি?
A
পিতল
B
হীরা
C
ইস্পাত
D
গ্রানাইট
উত্তরের বিবরণ
হীরকের ব্যবহার
-
কার্বন একটি অধাতু ও বিজারক প্রকৃতির মৌল।
-
কার্বনের কঠিন ও স্ফটিকাকার দানাদার রূপগুলোর মধ্যে হীরক (হীরা) ও গ্রাফাইট অন্যতম।
-
হীরক হলো প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে কঠিন বা শক্ত পদার্থ।
-
এই কঠিনতা ও ধারযুক্ত গঠনের কারণে হীরক সাধারণত কাচ কাটার কাজে ব্যবহৃত হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে শক্ত ধাতু হলো টাংস্টেন।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ।
0
Updated: 3 months ago
রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ কি?
Created: 3 months ago
A
অক্সিজেন পরিবহন করা
B
রোগ প্রতিরোধ করা
C
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা
D
উল্লিখিত সব কয়টিই
- রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ হচ্ছে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করা।
- হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ ফুসফুস থেকে অক্সিজেন নিয়ে তা শরীরের বিভিন্ন কোষে ছড়িয়ে দেয়া।
- এর ফলে জীবিত কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
- এছাড়া হিমোগ্লোবিন কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়।
- হিমোগ্লোবিন বর্ণহীন রক্তকে লাল করে থাকে।
উৎস: National Library of Medicine Website
0
Updated: 3 months ago
HCl (aq) + NaOH (aq) → NaCl (aq) + H2O (l) কোন ধরণের বিক্রিয়া?
Created: 1 month ago
A
বিয়োজন বিক্রিয়া
B
দহন বিক্রিয়া
C
পানি যোজন বিক্রিয়া
D
প্রশমন বিক্রিয়া
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকারভেদ
1️⃣ প্রশমন বিক্রিয়া (Neutralization Reaction)
-
সংজ্ঞা: এসিড এবং ক্ষার দ্রবণ মিশলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যার ফলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
-
প্রক্রিয়া:
-
এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) প্রদান করে।
-
ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH⁻) প্রদান করে।
-
H⁺ এবং OH⁻ যুক্ত হয়ে পানি (H₂O) তৈরি করে।
-
-
উদাহরণ:
2️⃣ পানি যোজন বিক্রিয়া (Hydration Reaction)
-
সংজ্ঞা: আয়নিক যৌগের কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক পানির অণু সংযুক্ত হওয়া।
-
পানি কেলাস: কেলাসে যুক্ত থাকা পানি।
3️⃣ বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)
-
সংজ্ঞা: সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত।
-
প্রক্রিয়া: যৌগের অণু ভেঙ্গে এক বা একাধিক মৌল বা যৌগে পরিণত হয়।
-
উদাহরণ:
4️⃣ দহন বিক্রিয়া (Combustion Reaction)
-
সংজ্ঞা: কোনো মৌল বা যৌগকে বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে জ্বালিয়ে, তা অক্সাইডে রূপান্তরিত করা।
-
উদাহরণ:
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
আকাশ মেঘলা থাকলে গরম বেশি লাগে কেন?
Created: 3 months ago
A
মেঘ উত্তম তাপ পরিবাহক
B
সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মেঘ তাপ উৎপন্ন করে
C
বজ্রপাতের ফলে তাপ উৎপন্ন হয় বলে
D
মেঘ পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপকে ওপরে যেতে বাধা দেয় বলে
দিনের বেলায় সূর্য থেকে যে আলোকরশ্মি বিকিরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসে, তা সাধারণত স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের হয়। এ ধরনের রশ্মি সহজেই মেঘের স্তর ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে।
কিন্তু, যখন এই রশ্মিগুলো ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যেতে চায়, তখন সেগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। ফলে, এই দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তাপরশ্মি আর সহজে মেঘ ভেদ করতে পারে না এবং মেঘের স্তরে আটকে যায়।
এই আটকে পড়া বিকিরণ আবার নিচের দিকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে, যার ফলে ভূপৃষ্ঠ এবং নিকটবর্তী বায়ুমণ্ডল গরম থাকে। বিশেষত মেঘলা দিনে বা রাতে এই প্রক্রিয়াটি তাপ ধরে রাখে, ফলে পরিবেশে উষ্ণতা অনুভূত হয়।
এছাড়া, মেঘলা আবহাওয়ায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়, কারণ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি থাকে। এই অতিরিক্ত আর্দ্রতা ঘাম শুকাতে বাধা দেয়, ফলে শরীরে তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হয়, যাকে আমরা সাধারণভাবে ভ্যাপসা গরম বলে থাকি।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যক্রম
0
Updated: 3 months ago