সোহরাই কোন নৃগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব?
A
রাখাইন
B
ওরাঁও
C
গারো
D
সাঁওতাল
উত্তরের বিবরণ
সাঁওতাল জনগোষ্ঠী
-
সাঁওতাল বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
প্রধান বসবাসস্থান: রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া জেলা।
-
মূল নিবাস: রাঢ়বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার অরণ্য অঞ্চল।
-
ভাষা: অস্ট্রিক ভাষাভাষী, প্রোটো-অস্ট্রালয়েড বংশের অধিবাসী।
-
সাঁওতালরা ভারতীয় উপমহাদেশের আদি বাসিন্দা ও কৃষি সংস্কৃতির প্রবর্তক।
-
উপাস্য: সূর্য ও পর্বত দেবতা (মারাং বুরু), যাদের গ্রামদেবতা হিসেবে পূজা করা হয়।
-
বর্ষের শুরু: ফাল্গুন মাস।
-
উৎসব: প্রতিমাসে বা ঋতু অনুযায়ী বিভিন্ন উৎসব, যেমন সোহরাই উৎসব যা পৌষ সংক্রান্তির দিন উদযাপিত হয়।
-
সামাজিক কাঠামো: পুরুষের আধিপত্য অপেক্ষাকৃত বেশি।
-
সাহিত্য ও ধর্ম: ভাষা আছে কিন্তু লিখিত বর্ণমালা নেই; ধর্ম আছে কিন্তু আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থ নেই।
0
Updated: 1 month ago
নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন কে?
Created: 2 months ago
A
রফিক
B
নূর হোসেন
C
শামসুজ্জোহা
D
আসাদ
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন
-
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক অভ্যুত্থারের মাধ্যমে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
-
এরশাদের ক্ষমতা দখলের পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় প্রধানত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
-
টানা ৯ বছর চলা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য, যা স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে।
-
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
-
আন্দোলনের সময়ে গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামা তরুণ নুর হোসেন পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।
-
নুর হোসেন শহিদের মৃত্যু হয় ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা।
0
Updated: 2 months ago
গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কোনটি?
Created: 2 months ago
A
বিজু
B
ওয়ানগালা
C
সাংগ্রাই
D
রাস পূর্ণিমা
ওয়ানগালা উৎসব
-
এই উৎসবে সালজং দেবতাকে ফসল উৎসর্গ করা হয়। এটি গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
-
• গারো নৃগোষ্ঠী:
-
গারো ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় ও বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়।
-
ভারতে মেঘালয় ছাড়াও আসামের কামরূপ, গোয়ালপাড়া ও কারবি আংলং জেলায় এবং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকাও গাজীপুর জেলায় গারোরা বসবাস করে।
-
গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ের ক্ষেত্রে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে পরিচয় দেন।
-
গারোদের ভাষায় ‘মান্দি’ শব্দের অর্থ ‘মানুষ’।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব ওয়ানগালা; যেখানে দেবতা মিসি ও সালজং এর উদ্দেশ্যে উৎপাদিত ফসল উৎসর্গ করা হয়।
অন্যদিকে:
-
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যারা যে উৎসব করে তাকে বিজু বলে।
-
মার্মাদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো সাংগ্রাই।
সূত্র: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সনদ
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করে? [ আগস্ট,২০২৫]
Created: 1 month ago
A
বান্দরবান
B
খাগড়াছড়ি
C
চট্টগ্রাম
D
রাঙামাটি
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মোট সংখ্যা ৫০টি। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি এবং এখানকার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলনামূলকভাবে সমৃদ্ধ।
-
বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মোট সংখ্যা: ৫০টি।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী: ১৩টি।
-
সংখ্যার দিক থেকে সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী: চাকমা।
-
সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী: মারমা।
-
জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস: রাঙামাটি।
0
Updated: 1 month ago