ক্লাউড কম্পিউটিং-এ "Scalability" দ্বারা কী বোঝানো হয়?
A
ডেটা লুকানো
B
ডেটার নিরাপত্তা বাড়ানো
C
ব্যবহারকারীর সংখ্যা সীমিত করা
D
চাহিদা অনুযায়ী রিসোর্স পরিবর্তন
উত্তরের বিবরণ
Scalability (স্কেলেবিলিটি)
-
স্কেলেবিলিটি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, যা ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী কম্পিউটিং রিসোর্স (যেমন: স্টোরেজ, প্রসেসিং পাওয়ার, নেটওয়ার্ক) বাড়াতে বা কমাতে সাহায্য করে।
-
উদাহরণ: একটি ওয়েবসাইটে হঠাৎ বেশি ভিজিটর এলে ক্লাউড সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে CPU, RAM, বা Storage বাড়িয়ে দেয়। ভিজিটর কমে গেলে রিসোর্সও কমে যায়। এতে খরচ কমে এবং পারফরম্যান্স ঠিক থাকে।
ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing)
-
এটি হলো কম্পিউটার রিসোর্স যেমন হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস ইত্যাদি ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান করার পদ্ধতি।
-
বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং ২০০৬ সালে Amazon Web Services (AWS) দ্বারা শুরু হয়।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
On-demand self-service
-
Broad network access
-
Limited customization
-
Resource pooling
-
Rapid elasticity
-
Measured service
0
Updated: 1 month ago
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর প্রধান সুবিধা কোনটি?
Created: 2 months ago
A
অন-ডিমান্ড কম্পিউটিং রিসোর্স সরবরাহ করে
B
বেশি খরচের হার্ডওয়্যার দরকার
C
কেবলমাত্র স্থানীয় সার্ভারেই চলে
D
ইন্টারনেট নির্ভরতা হ্রাস করে
ক্লাউড কম্পিউটিং
সংজ্ঞা:
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন একটি কম্পিউটিং মডেল যেখানে ব্যবহারকারী তার নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভের পরিবর্তে ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবা প্রদানকারীর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ, প্রসেসিং এবং অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারে।
ক্লাউড শব্দের উৎস:
-
"ক্লাউড" অর্থ মেঘ, যা ইন্টারনেটের রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন আকাশে মেঘ ছড়িয়ে থাকে, তেমনি ইন্টারনেটও সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
১৯৬০-এর দশকে ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণার সূচনা।
-
২০০৬ সালে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার শুরু করে।
-
২০১০ সালে Rackspace Cloud ও NASA মুক্ত API চালু করে।
মূল সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য (NIST অনুযায়ী):
১. রিসোর্স স্কেলেবিলিটি (Resource Scalability):
-
ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী ছোট বা বড় রিসোর্স সরবরাহ।
-
ব্যবহারকারীর চাহিদা বাড়লে সেবা প্রদানকারীর সেবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পায়।
২. অন-ডিমান্ড (On-Demand):
-
ব্যবহারকারী যখন খুশি সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
-
চাহিদা বাড়ানো বা কমানো সহজ।
৩. পে-অ্যাজ-ইউ-গো (Pay-as-You-Go):
-
ব্যবহারকারী কেবলমাত্র যে পরিমাণ সেবা ব্যবহার করবে, তার জন্য অর্থ প্রদান করবে।
-
আগাম রিজার্ভ বা পেমেন্টের প্রয়োজন নেই।
উপসংহার:
ক্লাউড কম্পিউটিং অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে একটি বিপ্লব, যা ব্যবহারকারীদের কম খরচে, সহজে এবং দক্ষভাবে কম্পিউটিং সুবিধা প্রদান করে।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
অ্যামাজন-এর ক্লাউড প্লাটফর্ম কোনটি?
Created: 1 month ago
A
Azure
B
AWS
C
Cloudera
D
উপরের সবগুলো
অ্যামাজনের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম হলো AWS, যার পূর্ণরূপ Amazon Web Services। ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণার সূচনা হয় ১৯৬০-এর দশকে, তবে বাণিজ্যিকভাবে এর ব্যবহার শুরু হয় ২০০৬ সালে, যখন বিশ্ববিখ্যাত আমাজন তাদের ওয়েব সার্ভিস চালু করে।
-
AWS: Amazon Web Services, অ্যামাজনের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম
-
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ইতিহাস: শুরু ১৯৬০-এর দশকে
-
বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার: ২০০৬ সালে আমাজনের মাধ্যমে
উৎস: aws.amazon.com
অন্যদিকে, Azure হলো মাইক্রোসফটের ক্লাউড সেবা দানকারী প্ল্যাটফর্ম এবং Cloudera একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডাটা ম্যানেজমেন্ট সেবাদানকারী কোম্পানি।
-
Azure: মাইক্রোসফটের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম
-
Cloudera: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডাটা ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন মডেলটি Cloud Computing সেবা প্রদানকারীগণ ব্যবহার করে না?
Created: 1 month ago
A
CaaS
B
laaS
C
PaaS
D
SaaS
ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাগুলোকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি ভাগ নির্দিষ্ট ধরনের সুবিধা প্রদান করে। এগুলো হলো–
-
Infrastructure-as-a-Service (IaaS): এই ধরনের সেবায় ক্লাউড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নেটওয়ার্ক, CPU, স্টোরেজ এবং অন্যান্য মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স ভাড়া দিয়ে থাকে। ব্যবহারকারীরা চাইলে এগুলো দিয়ে নিজেদের সিস্টেম তৈরি ও পরিচালনা করতে পারেন। যেমন: Amazon Elastic Compute Cloud (EC2)।
-
Platform-as-a-Service (PaaS): এখানে সরাসরি ভার্চুয়াল মেশিন ভাড়া দেওয়া হয় না, বরং ভাড়া দেওয়া হয় এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার উপর ব্যবহারকারীরা সহজেই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও ডেভেলপ করতে পারেন। যেমন: Google App Engine।
-
Software-as-a-Service (SaaS): এটি এমন একটি সেবা যেখানে ব্যবহারকারীরা সরাসরি ক্লাউডে চলমান রেডিমেড সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন, আলাদা করে ইন্সটল বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না। যেমন: Google Docs।
অতিরিক্ত তথ্য: অনেক সময় ভুলভাবে CaaS বা অন্য কিছু শব্দ ব্যবহৃত হয়, তবে এগুলো ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মূল সেবার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।
0
Updated: 1 month ago