ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR)-এর প্রধান উপাদান কী?
A
হেডমাউন্টেড ডিসপ্লে
B
জিপিএস সেন্সর
C
গেমিং কনসোল
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের সমন্বয়ে কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে কোনো বস্তু, ঘটনা বা পরিবেশের বাস্তব বা ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরি করা হয়। এটি বাস্তব নয়, বরং বিজ্ঞানের কল্পনা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে তৈরি একটি কৃত্রিম বাস্তবতা, যা কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং সিমুলেশন তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। এই প্রযুক্তিতে তৈরি পরিবেশ ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব এবং সত্যি মনে হয়, এবং ত্রিমাত্রিক ছবি ব্যবহার করে এমন কঠিন কাজও সম্পন্ন করা সম্ভব, যা বাস্তবে করা কঠিন।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদানসমূহ:
-
হেড-মাউন্টেড ডিসপ্লে (HMD) – চোখের সামনে 3D ভার্চুয়াল পরিবেশ প্রদর্শন করে এবং সম্পূর্ণ ইমারসিভ অভিজ্ঞতা দেয়।
-
ডেটা গ্লাভস – হাতের আন্দোলন এবং ইন্টারঅ্যাকশন শনাক্ত করে।
-
বিশেষ বডি স্যুট – পুরো শরীরের আন্দোলন সনাক্ত করে।
এই সরঞ্জামগুলো ব্যবহারকারীকে শারীরিক ঝুঁকি বা বিপদ ছাড়াই বাস্তবের মতো অভিজ্ঞতা দেয়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহারিক ক্ষেত্রসমূহ:
-
চিকিৎসাক্ষেত্র
-
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা
-
ফ্লাইট সিমুলেশন
-
খেলাধূলা ও বিনোদন

0
Updated: 1 day ago
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কোন ভিত্তির উপর তৈরি?
Created: 1 month ago
A
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ন্যানো প্রযুক্তি
B
কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্ত্ব
C
কম্পিউটার প্রযুক্তি ও ক্লাউড স্টোরেজ
D
অ্যানিমেশন ও মেকানিক্স
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR):
কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত কল্পনাপ্রসূত পরিবেশ, যা ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব মনে হয়।
প্রযুক্তির ব্যবহার:
-
ত্রিমাত্রিক (3D) ইমেজ তৈরি করা
-
ব্যবহারকারীকে পরিবেশে উপস্থিত থাকার অনুভূতি দেওয়া
ব্যবহৃত সফটওয়্যার:
Vizard, VRToolKit, 3D Studio Max, Maya

0
Updated: 1 month ago
এআর (AR) কীভাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) থেকে আলাদা?
Created: 1 day ago
A
এআর বাস্তবে ডিজিটাল তথ্য যোগ করে, ভিআর সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল জগৎ গড়ে।
B
এআর বাস্তবতাকে আড়াল করে, ভিআর তাকে উন্নত করে।
C
এআর ও ভিআর একই প্রযুক্তি, শুধু আলাদা নাম।
D
এআর কেবল কম্পিউটারভিত্তিক, ভিআর কেবল ফোনভিত্তিক।
এআর (Augmented Reality) এবং ভিআর (Virtual Reality) দু’টি প্রযুক্তি হলেও তাদের কাজের ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। এআর বাস্তব জগতের সঙ্গে ডিজিটাল উপাদান যোগ করে, যেমন ফোন বা হেডসেটের মাধ্যমে বাস্তব দৃশ্যে তথ্য, গ্রাফিক্স বা অ্যানিমেশন overlay করা হয়। ব্যবহারকারী বাস্তবের সঙ্গে ভার্চুয়াল উপাদান একসাথে দেখতে পারে। বিপরীতে, ভিআর সম্পূর্ণ একটি ভার্চুয়াল পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে ব্যবহারকারী বাস্তব জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কেবল ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করে।
সঠিক পার্থক্য বোঝাতে হলে উত্তর হলো: ক) এআর বাস্তবে ডিজিটাল তথ্য যোগ করে, ভিআর সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল জগৎ গড়ে।
-
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR):
-
আক্ষরিক অর্থ: কৃত্রিম বাস্তবতা।
-
কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
-
সফটওয়্যার উদাহরণ: Vizard, VRToolkit, 3D Studio Max, Maya।
-
ত্রিমাত্রিক ইমেজের মাধ্যমে অসম্ভব কাজও সম্ভব।
-
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা ব্যবহারকারীদের কাছে বাস্তব মনে হয়।
-
-
অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR):
-
বাস্তব জগতের উপর ভার্চুয়াল বস্তু যোগ করে।
-
বাস্তবের কোনো কিছুতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও কম্পিউটার সিমুলেশন ব্যবহার করে দুই ভিন্ন ঘটনাকে মিলিত করে।
-
উদাহরণ:
-
বিদেশে নতুন শহরে গিয়ে স্মার্টফোনের AR-এর মাধ্যমে দোকান বা রাস্তার তথ্য দেখা।
-
ভিডিও কলিং-এ ফেসে মাস্ক বা ইফেক্ট যুক্ত হওয়া।
-
-
কাজ করে মূলত ক্যামেরার মাধ্যমে।
-
বিশেষ ক্যামেরা সেন্সরের মাধ্যমে চারপাশের বস্তু ও দূরত্ব নির্ণয় করে ত্রিমাত্রিক অগমেন্টেড এলিমেন্ট যুক্ত করা হয়।
-

0
Updated: 1 day ago