কোনটি সরদার জয়েনউদ্দিন রচিত উপন্যাস?
A
নয়ান ঢুলি
B
বেলা ব্যানার্জীর প্রেম
C
অষ্টপ্রহর
D
অনেক সূর্যের আশা
উত্তরের বিবরণ
‘অনেক সূর্যের আশা’ উপন্যাস দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পটভূমিতে সরদার জয়েনউদ্দীনের রচিত একটি কীর্তি। এই উপন্যাস তাঁকে খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা এনে দেয়।
সরদার জয়েনউদ্দীন সম্পর্কে কিছু তথ্য:
-
জন্ম: ১৯১৮ সালে ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) পাবনার সুজানগর উপজেলার কামারহাটিতে এক কৃষক পরিবারে।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
অনেক সূর্যের আশা
-
বেগম শেফালী মির্জা
-
রোদের ঢেউ
-
আদিগন্ত
তাঁর রচিত ছোটগল্পসমূহ:
-
নয়ান ঢুলি
-
খরস্রোত
-
বেলা ব্যানার্জীর প্রেম
-
অষ্টপ্রহর
0
Updated: 1 month ago
প্রদীপ নিবিয়া গেল!'-এ বিখ্যাত বর্ণনা কোন উপন্যাসের?
Created: 2 months ago
A
বঙ্কিমচন্দ্রের 'বিষবৃক্ষ
B
রবীন্দ্রনাথের 'চোখের বালি'
C
বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা
D
রবীন্দ্রনাথের ‘যোগাযোগ’
‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস
-
প্রকাশকাল ও বৈশিষ্ট্য:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’ প্রকাশিত হয় ১৮৬৬ সালে। রহস্যময় আবহ ও গভীর ভাবসম্প্রক্তির কারণে একে রোমান্সধর্মী উপন্যাস বলা হয়। -
কাহিনি সংক্ষেপ:
অরণ্যে এক কাপালিকের আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা কন্যা কপালকুণ্ডলা। সমাজজীবন ও সংস্কারের সঙ্গে অপরিচিত এই কন্যার সঙ্গে নবকুমারের বিবাহকে কেন্দ্র করেই কাহিনি গড়ে ওঠে। কিন্তু সমাজজীবনের সঙ্গে কপালকুণ্ডলার অমিল ও দ্বন্দ্বই গল্পকে নিয়ে যায় করুণ পরিণতির দিকে। -
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য:
কাহিনিতে একদিকে আছে সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলের আগ্রার স্থাপত্য ও নগরজীবন, অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্রের রহস্যময় পরিবেশ। প্রকৃতির সৌন্দর্য, কপালকুণ্ডলার রহস্যময় চরিত্র, এবং ট্র্যাজিক সমাপ্তিই এই উপন্যাসকে বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। -
জনপ্রিয়তা:
বঙ্কিমচন্দ্র জীবিত থাকতেই এ উপন্যাসের আটবার সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। অনেক সমালোচকের মতে, এটি তাঁর সেরা উপন্যাসগুলির একটি। -
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
-
-
বিখ্যাত উক্তি:
-
“পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ।” — কপালকুণ্ডলার নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে বলা সংলাপ।
-
“তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?”
-
“প্রদীপ নিবিয়া গেল।”
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুণ্ডলা উপন্যাস।
0
Updated: 2 months ago
ধূসরতার কবি বলা হয় কাকে?
Created: 4 weeks ago
A
বিষ্ণু দে
B
নির্মলেন্দু গুণ
C
জীবনানন্দ দাশ
D
সমর সেন
জীবনানন্দ দাশ বাংলা আধুনিক কবিতার এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর কবিতায় প্রকৃতি, সময়, একাকিত্ব ও অস্তিত্বের গভীর অনুভূতি মিশে আছে। বাংলা কাব্যের ঐতিহ্যে তিনি এমন এক কবি, যিনি রোমান্টিক সৌন্দর্য ও বাস্তব জীবনের বেদনাকে একসূত্রে গেঁথে এক নতুন কাব্যভাষা সৃষ্টি করেছেন।
জীবনানন্দ দাশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালে, বরিশালে।
-
তাঁকে বলা হয় “ধূসরতার কবি”, কারণ তাঁর কবিতায় জীবনের নিঃসঙ্গতা ও ম্লান বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতাকে বলেছেন “চিত্ররূপময় কবিতা”।
-
তাঁর প্রসিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ ‘বনলতা সেন’ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা।
-
এ গ্রন্থের ‘বনলতা সেন’ কবিতা বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতাগুলির একটি, যা সময় ও ক্লান্ত মানবমনের শান্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
জীবনানন্দ দাশের প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
ঝরাপালক (প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ)
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা
0
Updated: 4 weeks ago
কত সালে 'দুর্গেশনন্দিনী' উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৮৬০
B
১৮৬১
C
১৮৬৫
D
১৮৬৭
‘দুর্গেশনন্দিনী’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে পরিচিত। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা এবং ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের শিরোনাম ‘দুর্গেশনন্দিনী’ শব্দের অর্থ প্রধানের কন্যা।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র হলো তিলোত্তমা এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, এবং বিমলা।
উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।
-
প্রকাশিত হয়েছে ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে।
-
কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র: তিলোত্তমা।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান সাহিত্যিক। তিনি ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্কিমচন্দ্রকে বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য ও রচনা সংক্রান্ত মূল তথ্য:
-
প্রথম উপন্যাস: রাজমোহনস ওয়াইফ (ইংরেজিতে লেখা)।
-
প্রথম বাংলা সার্থক উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
-
দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)।
-
ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
0
Updated: 1 month ago