A
রিয়াদ
B
কায়রো
C
কুয়েত
D
জেদ্দা
উত্তরের বিবরণ
ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সদর দপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত।
Islamic Development Bank (IsDB):
- ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত মুসলিম দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের প্রথম সম্মেলনে IDB গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
- ১৯৭৫ সালের ২০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।
- বর্তমান সদস্য: ৫৭টি।
- সদর দপ্তর: সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত।
- এর প্রেসিডেন্ট: ডক্টর মুহাম্মদ আল-জাসের।
- IDB এর সদস্যপদ লাভের পূর্বশর্ত হলো ওআইসি এর সদস্য হওয়া।
উৎস: IDB ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 weeks ago
সৌদি আরবে আমেরিকান সৈন্য মোতায়েনের উদ্দেশ্য -
Created: 2 months ago
A
ইরাকের আক্রমণ হতে সৌদি আরবকে রক্ষা করা
B
ইরাকের কুয়েত দখল অবসান করা
C
স্বল্পমূল্যে জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করা
D
উপরের সবকটি
সৌদি আরব
মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সৌদি আরব আরব উপদ্বীপের বৃহৎ অংশজুড়ে বিস্তৃত একটি রাষ্ট্র। আয়তনের দিক থেকে এটি এশিয়ার পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। এর উত্তরে রয়েছে জর্দান ও ইরাক, উত্তর-পূর্বে কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন, পূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ-পূর্বে ওমান এবং দক্ষিণে ইয়েমেন। সৌদি আরব ব্যতিক্রমীভাবে এমন একটি দেশ যার দুই দিকেই সমুদ্রসীমা রয়েছে—একদিকে লোহিত সাগর, অন্যদিকে পারস্য উপসাগর।
এই দেশটির ভূপ্রকৃতি প্রধানত মরুভূমি ও পাহাড়ঘেরা। ১৯৩২ সালে ইবনে সাউদের নেতৃত্বে সৌদি আরবে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এটি বিশেষ মর্যাদার অধিকারী, কারণ এখানেই মক্কা ও মদিনা নামক ইসলামের দুই পবিত্র নগর অবস্থিত। দেশটি বিশাল পরিমাণে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদের অধিকারী, যা তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান ভিত্তি।
রাজধানী: রিয়াদ
দাপ্তরিক ভাষা: আরবি
মুদ্রা: সৌদি রিয়াল
জাতিসংঘে সদস্যপদ গ্রহণ: ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫
সৌদি আরবে লিখিত সংবিধান নেই এবং তাদের জাতীয় পতাকায় কালেমা লেখা আছে, যা বিশ্বের একমাত্র এমন পতাকা যা কখনো অর্ধনমিত হয় না।
সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েন:
তেল আবিষ্কারের পর সৌদি আরব দ্রুত এক ধনী রাষ্ট্রে রূপ নেয়। তবে জনসংখ্যা কম হওয়ায় তাদের সেনাবাহিনীতে যোগদানে উপযুক্ত লোকের সংখ্যা সীমিত ছিল। ফলে প্রশিক্ষণের ঘাটতি ও কম জনবল মিলিয়ে সৌদি সেনাবাহিনী তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছিল।
এদিকে তাদের প্রতিবেশী ইরাক একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে তোলে এবং কুয়েতের উপর মালিকানা দাবি করে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ এলাকায় তেমন প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষামূলক বাধা ছিল না, কেবল বিস্তৃত মরুভূমি। সেক্ষেত্রে যদি ইরাকি বাহিনী সেই এলাকা দিয়ে আক্রমণ করত, তাহলে সৌদি সরকার প্রতিরোধ করতে অক্ষম হতো।
এই প্রতিরক্ষা দুর্বলতা দূর করতে এবং তাদের তেলক্ষেত্র সুরক্ষিত রাখতে সৌদি সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নেয়। ফলে সৌদি আরবের ভূমিতে মার্কিন সৈন্য মোতায়েন করা হয়। এর আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তেলের সরবরাহে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
এইভাবে সৌদি আরবের ভৌগোলিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা মার্কিন সামরিক উপস্থিতিকে অনিবার্য করে তোলে।
উৎস: Britannica
[প্রশ্নটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা বর্তমানে আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।]

0
Updated: 2 months ago