‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ - উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
A
১৯৭৬ সালে
B
১৯৮৫ সালে
C
১৯৮০ সালে
D
১৯৭৮ সালে
উত্তরের বিবরণ
সেলিনা হোসেনের ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ উপন্যাস মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি আবেগী ও প্রতিবাদী কীর্তি। এটি ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল হলদী গ্রামের এক বয়স্ক নারী, যিনি নিজের ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেন এবং একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে নিজের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দেন। এই মায়ের আত্মসংগ্রাম এবং দেশের জন্য ত্যাগের মহিমা উপন্যাসে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এছাড়াও, উপন্যাসে বর্ণিত গ্রামটি যেন মুক্তিযুদ্ধের প্রতীকী বাংলাদেশ হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
সেলিনা হোসেন সম্পর্কে কিছু তথ্য:
-
বাংলা কথাসাহিত্যের একজন জনপ্রিয় লেখিকা।
-
জন্ম: রাজশাহী শহরে।
-
পৈতৃক নিবাস: লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রামে।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
Created: 1 week ago
A
হাঙর নদী গ্রেনেড
B
শবনম
C
আরেক ফাল্গুন
D
চিলেকোঠার সেপাই
বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। লেখক সেলিনা হোসেন এই উপন্যাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন বাস্তবতা, মানবিক বেদনা এবং ত্যাগের চিত্র অনবদ্যভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এটি কেবল একটি যুদ্ধের গল্প নয়, বরং মানুষের অন্তর্গত সাহস, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের এক অনন্য দলিল।
• লেখক ও প্রকাশকাল: উপন্যাসটি রচনা করেছেন সেলিনা হোসেন (জন্ম: ১৪ জুন ১৯৪৭)। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে, মুক্তিযুদ্ধের পরপরই। লেখিকা নিজে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অভিজ্ঞতা ও প্রত্যক্ষ ঘটনার প্রেক্ষিতে এই কাহিনি নির্মাণ করেছেন।
• মূল বিষয়বস্তু: গল্পে দেখা যায়, একটি সাধারণ পরিবারের নারী চরিত্র তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী নায়িকা মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও মানবিকতা ও মাতৃত্বের চরম প্রকাশ ঘটান। শত্রুদের হাতে ধরা পড়ে তিনি নিজের সন্তানকে রক্ষা করতে নিজের জীবন বিসর্জন দেন। এই চরিত্রটি প্রতীকীভাবে সমগ্র বাঙালি নারীর ত্যাগ ও সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি।
• প্রধান চরিত্রসমূহ: নায়িকা, তোফাজ্জল, শিশুটি, মুক্তিযোদ্ধারা এবং পাকিস্তানি সেনারা—সব চরিত্রই বাস্তবধর্মী। তাদের মাধ্যমে লেখিকা যুদ্ধের ভয়াবহতা, নিষ্ঠুরতা ও বাঙালির অদম্য লড়াইয়ের মনোভাব তুলে ধরেছেন।
• উপন্যাসের প্রেক্ষাপট: উপন্যাসটির পটভূমি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়। নদী, গ্রাম, জনপদ, মৃত্যু ও প্রতিরোধ—সবকিছু মিলে এটি একটি প্রতীকী কাহিনি। নদী ও গ্রেনেড এখানে জীবনের দুই বিপরীত শক্তির প্রতীক—নদী জীবন ও ধারাবাহিকতার, আর গ্রেনেড ধ্বংস ও সংগ্রামের।
• সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: সেলিনা হোসেনের ভাষা আবেগঘন ও কাব্যিক। তিনি নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধের কষ্ট ও বীরত্বকে চিত্রিত করেছেন। উপন্যাসটিতে প্রতীক, উপমা ও বাস্তবতার মিশ্রণ রয়েছে যা পাঠককে গভীরভাবে স্পর্শ করে।
• গুরুত্ব: ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসের ধারাকে নতুন মাত্রা দেয়। এটি শুধু যুদ্ধের ইতিহাস নয়, বরং এক মায়ের আত্মত্যাগের কাহিনি। এই উপন্যাসটি পরবর্তীতে নাটক ও চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে, যা এর জনপ্রিয়তা ও প্রভাবকে আরও বিস্তৃত করেছে।
• অন্যান্য বিকল্প ব্যাখ্যা:
খ) শবনম — সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস; মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
গ) আরেক ফাল্গুন — জহির রায়হান রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস, যা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে লেখা।
ঘ) চিলেকোঠার সেপাই — আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের উপন্যাস; এর বিষয়বস্তু শহুরে মধ্যবিত্তের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নে সঠিক উত্তর হলো “হাঙর নদী গ্রেনেড”, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ত্যাগ ও মাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছে।
0
Updated: 1 week ago
'সধবার একাদশী' প্রহসনের মূল উপজীব্য কী?
Created: 1 month ago
A
বুড়োর বিধবাকে বিবাহ
B
ইয়ংবেঙ্গল দলের উচ্ছৃঙ্খলতা ও অনাচার
C
লম্পট বুড়োর নারী লোভ
D
নতুন জামাই আগমন নিয়ে হট্টগোল
'সধবার একাদশী' (১৮৬৬) দীনবন্ধু মিত্র রচিত একটি প্রহসন, যা তৎকালীন ইয়ংবেঙ্গল দলের উচ্ছৃঙ্খলতা ও অনাচারের সমাজচিত্র উপস্থাপন করে। নাটকটি সামাজিক বিপর্যয় এবং অনৈতিকতার প্রতি সমালোচনামূলক মনোভাব নিয়ে রচিত।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: নিমচাঁদ, কেনারাম, সৌদামিনী, গিন্নী, কাঞ্চন
-
নাটক ও প্রহসন: নাটকটি প্রহসনের মাধ্যমে সামাজিক অনাচারের বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলে।
দীনবন্ধু মিত্র:
-
রায়বাহাদুর দীনবন্ধু মিত্র ছিলেন একজন বিশিষ্ট নাট্যকার।
-
১৮৩০ সালে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
পিতার নাম গন্ধর্বনারায়ণ।
-
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা লিখতেন এবং কলেজ জীবনে সংবাদ প্রভাকর, সাধুরঞ্জন প্রভৃতি পত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হয়।
-
নাটক ও প্রহসন লিখে তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন।
-
তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক ও রচনা হলো 'নীলদর্পণ'।
প্রহসনসমূহ:
-
সধবার একাদশী
-
বিয়ে পাগলা বুড়ো
-
জামাই বারিক
0
Updated: 1 month ago
'চকচক' কোন ধরনের দ্বিরুক্ত শব্দ?
Created: 2 months ago
A
পুনরাবৃত্ত
B
পদাত্মক
C
ধ্বন্যাত্মক
D
অনুকার
ধ্বন্যাত্মক শব্দ
-
সংজ্ঞা: কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যে শব্দগুলো তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়।
-
পুনরাবৃত্তি: ধ্বন্যাত্মক শব্দের পুনরাবৃত্তিকে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব বলা হয়।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের উদাহরণ:
-
কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস-কুটুস, খক খক, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, চকচক, টসটস, থকথকে, ভটভট, হিস হিস
মধ্যবর্তী স্বরধ্বনিসহ উদাহরণ:
-
খপাখপ, গবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম–দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago