'কেরামতমঙ্গল' - নাটকটি রচনা করেন কে?
A
আবুল কালাম শামসুদ্দীন
B
আব্দুল্লাহ আল মামুন
C
সেলিম আল দীন
D
মামুনুর রশীদ
উত্তরের বিবরণ
সেলিম আল দীন ছিলেন আধুনিক বাংলা নাটকের অন্যতম প্রধান নাট্যকার। তিনি ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই নভেম্বর তৎকালীন নোয়াখালি জেলার সোনাগাজির সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমদিকে কবিতা লিখলেও ১৯৭২ সালে তাঁর রচিত ‘নীল শয়তান: তাহিতি ইত্যাদি’ নাটকটি টেলিভিশন ও বেতারে প্রচারিত হলে তাঁর নাট্যরচনার পরিচিতি শুরু হয়। একই বছরে ডাকসু মঞ্চস্থ করে ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’, যা নাট্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার অর্জন করে। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে ডাকসু নাট্যচক্র তাঁর লেখা ‘এক্সপ্লোসিভ ও মূল সমস্যা’ মঞ্চস্থ করলে তিনি নাট্যকার হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান।
তাঁর রচিত নাট্যগ্রন্থসমূহ:
-
সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য
-
বাসন
-
কেরামতমঙ্গল
-
কিত্তনখোলা
-
হাতহদাই
-
শকুন্তলা
-
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
-
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
-
চাকা
-
যৈবতী কন্যার মন
-
হরগজ
-
নিমজ্জন

0
Updated: 1 day ago
'নীল দর্পণ' নাটক কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 4 months ago
A
১৮৬০ সালে
B
১৮৬৩ সালে
C
১৮৬৪ সালে
D
১৮৬৬ সালে
‘নীল-দর্পণ’ (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক ও রচনা। এটি ১৮৬০ সালে প্রকাশ পায়। নাটকের মূল বিষয় ছিল তৎকালীন নীলচাষি কৃষক ও নীলকর শাসকদের অবিচার এবং শাসক শ্রেণীর পক্ষপাতমূলক আচরণ।
এই নাটক তৎকালীন সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং কৃষকদের নীল বিদ্রোহে প্রেরণা যুগিয়েছিল।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘A Native’ ছদ্মনামে এর ইংরেজি অনুবাদ করেন, যার শিরোনাম ছিল ‘Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror’ (১৮৬১)। এই অনুবাদ প্রকাশের কারণে পাদ্রি জেমস লং আদালত থেকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘নীল-দর্পণ’কে মার্কিন ‘Uncle Tom’s Cabin’ নাটকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
১৮৬০ সালে ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’ ছদ্মনামে নাটকটি প্রথম ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘নীল-দর্পণ’ দিয়েই শুরু হয় সাধারণ রঙ্গালয়ের অভিনয়।
দীনবন্ধু মিত্রের অন্যান্য নাটকগুলো হলো:
-
নবীন তপস্বিনী,
-
লীলাবতী,
-
কমলে কামিনী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago
বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম নাট্যকার রচিত নাট্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 4 months ago
A
জগৎ মোহিনী
B
বসন্তকুমারী
C
আয়না
D
মোহনী প্রেমপাস
‘বসন্তকুমারী’ নাটক:
মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘বসন্তকুমারী’ (১৮৭৩) বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক। এটি মুসলমান নাট্যকার কর্তৃক রচিত প্রথম নাটক হিসেবে বিবেচিত।
নাটকটির কাহিনিতে রয়েছে—ইন্দ্রপুরের এক বৃদ্ধ রাজার যুবতী রাণী গ্রহণ, সেই রাণীর রাজার যুবক পুত্রের প্রতি আকর্ষণ, প্রেম নিবেদন, পুত্রের প্রত্যাখ্যান এবং বিমাতার প্রতিহিংসাপরায়ণ ষড়যন্ত্র—যার পরিণতিতে রাজপরিবারের সবার মৃত্যু ঘটে।
নাটকটির অপর নাম ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা’।
এছাড়া একই বছর মীর মশাররফ হোসেন রচিত তাঁর দ্বিতীয় নাটক ‘জমীদার দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।
মীর মশাররফ হোসেন:
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিক, যিনি উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ রচনায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে আজিজননেহার ও হিতকরী নামক দুটি পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
তিনি ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্রের সমসাময়িক গদ্যশিল্পী এবং বাঙালি মুসলমান সাহিত্যজগতের অগ্রদূত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
টালা অভিনয়
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 months ago
১৯৪৬ সালের দাঙ্গার পটভূমিকায় বিজন ভট্টাচার্য রচিত নাটক কোনটি?
Created: 4 days ago
A
মরাচাঁদ
B
জীয়নকন্যা
C
গোত্রান্তর
D
অবরোধ
বিজন ভট্টাচার্যের নাটকসমূহ
-
‘জীয়নকন্যা’ নাটক
-
রচনা: বিজন ভট্টাচার্য, ১৯৪৬।
-
পটভূমি: ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা ও গণনাট্য আন্দোলন।
-
বিষয়: বেদে সমাজের সংস্কার, প্রথা-পদ্ধতি, জাতিগত বিশ্বাস ও হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা-বিদ্বেষ।
-
কাঠামো: তিনটি দৃশ্যের গীতিনাট্য।
-
কাহিনী সংক্ষেপ:
-
বেদে-সর্দার কন্যা উলুপী সর্পের দংশনে আহত হয়।
-
গুণীনের দল নানা তন্ত্র-মন্ত্র চালান, তবে সর্প নিরাশার বাণী শোনায়।
-
অবশেষে তাদের প্রচেষ্টায় উলুপীকে বিষমুক্ত করা হয় ও মহাজাগরণ ঘটে, যা তৎকালীন ‘ক্যালাস সরকার’-এর প্রতি প্রতিবাদের প্রতীক।
-
-
-
‘মরাচাঁদ’ নাটক
-
বিষয়: সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষের জীবন-সংগ্রাম।
-
বিশেষত্ব: নাটকের মধ্যে পবন বাউলের গান ব্যবহৃত।
-
-
‘গোত্রান্তর’ (১৯৬০)
-
বিষয়: ছিন্নমূল পূর্ববঙ্গবাসীর ভাগ্যবিপর্যয়।
-
-
‘অবরোধ’ (১৯৪৭)
-
বিষয়: মুনাফাখোর মিল-মালিক ও শোষিত শ্রমিকদের সংগ্রাম।
-
লক্ষ্য: কারখানার মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষ ও কমিউনিজমের আদর্শ।
-
মন্তব্য: পুঁজিবাদী মালিকের চরিত্রায়নের দুর্বলতার কারণে গণনাট্য সংঘ গ্রহণ করেনি।
-
বিজন ভট্টাচার্যের নাটকগুলো মূলত সামাজিক আন্দোলন, শোষণ ও সংগ্রামের প্রতিফলন হিসেবে প্রাসঙ্গিক।

0
Updated: 4 days ago